Advertisement
Advertisement

পুজোটা ঘুমিয়েই কাটাবেন দিতিপ্রিয়া!

‘দাদুর সঙ্গে পুজোয় বেরোতাম’, স্মৃতি রোমন্থন তনুশ্রীর।

Celebs Puja plan
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:September 29, 2018 8:23 pm
  • Updated:September 29, 2018 8:23 pm  

আর মাত্র কয়েকটা দিন। পুজোয় প্ল্যানিং সেরে ফেলেছেন সেলেবরা। কেউ শহরে, কেউ বাইরে। তারকাদের পুজো প্ল্যানিংয়ের প্রথম পর্ব আজ। কথা বলেছেন সোমনাথ লাহা।

দিতিপ্রিয়া রায় (অভিনেত্রী)

Advertisement

পুজোয় আমি বরাবরই কলকাতায় থাকতে সবচেয়ে বেশি ভালবাসি। ছোটবেলায় আমার বেশিরভাগ দুর্গাপুজোই পিসির বাড়িতে কেটেছে। কারণ পিসির বাড়িতে দুর্গাপুজো হয়। তাই ওখানে খাওয়া-দাওয়া, আড্ডা দেওয়া হত। এবারের পুজোটা আমার কাছে বেশ স্পেশাল। পুজোয় এবার আমি নতুন ফ্ল্যাটে শিফট করছি। ছোটবেলা থেকেই টিভিতে মহালয়ার প্রভাতী অনুষ্ঠান দেখতাম। বেশ ভাল লাগত। এবারে জি বাংলায় মহালয়ার বিশেষ অনুষ্ঠান ‘দুর্গারূপেণ’-তে আমি দুর্গা-পার্বতী দুটো চরিত্রেই অভিনয় করেছি। তাই মহালয়ার দিন সকালে উঠে টিভিতে অনুষ্ঠান দেখার পাশাপাশি প্রতি বছরের মতো এবারেও গঙ্গার ঘাটে যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে। পুজোয় এবারে আমার অনেক প্রোগ্রাম রয়েছে। পুজোর উদ্বোধনের সঙ্গে পুজোয় বিচারকের কাজও করতে হবে। পরিক্রমায় গিয়ে বড় বড় পুজোগুলো দেখা হয়ে যাবে ভেবে বেশ ভাল লাগছে। আমি যেহেতু ওয়েস্টার্ন পোশাক পরতে ভালবাসি, পুজোয় তাই ফ্রক, জিন্স এগুলোই পরব। পুজো পরিক্রমা করার সময় শাড়ি পরেই যাব। পুজোর বাড়িতে রান্নাবান্না হয় না। তাই চারদিন বাড়িতেই খাওয়া-দাওয়া করব। আর সবকিছু করে যদি সময় পাই একটু ঘুমানোরও ইচ্ছে রয়েছে।

সংকটজনক দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়, ফের ভরতি হাসপাতালে ]

তনুশ্রী চক্রবর্তী (অভিনেত্রী)

পুজোর সময় বেশ কিছু কাজ রয়েছে। পুজোয় এবার কলকাতাতেই থাকার ইচ্ছে রয়েছে। এখনও সেভাবে কোনও প্ল্যান করিনি। সপ্তমী পর্যন্ত আমার বেশ ব্যস্ততার মধ্যেই পুজো কেটে যাবে। পুজোর উদ্বোধন/পুজো পরিক্রমা এই সমস্ত রয়েছে। ছোটবেলায় পুজোটা অন্যরকম ছিল। কী কী পোশাক কোনদিন পরব পুজোয়, কী খাব, কীরকম দুষ্টুমি করব, বন্ধুদের সঙ্গে কোথায় যাব, এইসব প্ল্যান থাকত। পুজোর সময় বাড়ির কেউ বকাবকি করতেন না। আমার দাদু পুজো করতেন। দাদু তাঁর এক বন্ধুর বাড়িতে দুর্গাপুজো করতেন। দাদু ছিলেন তাঁদের দীক্ষাগুরু। আমি ছোটবেলায় বাড়ির বড়দের সঙ্গে যেতাম ওখানে। খুব নস্টালজিক লাগত। দাদু ষষ্ঠীর দিন নিরামিষ খেতেন বলে বাড়িতেও ওইদিন নিরামিষ পদ রান্না হত। এবারে পুজোয় বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে চুটিয়ে আড্ডা দেওয়া, খাওয়া-দাওয়া করার ইচ্ছে রয়েছে। পুজোর জন্য আলাদা করে কেনাকাটা করি না। আমি প্রায় সারাবছরই শপিং করি। আমার শপিং আমি বিদেশ থেকে করি। তবে পুজোয় ভারতীয় সনাতনী পোশাকই পরব। মার জন্যও শাড়ি কিনেছি। পুজোয় শাড়ি, সালোয়ার, কুর্তা পরব। কিছুদিন আগেই যেহেতু অস্ট্রেলিয়া থেকে ঘুরে এসেছি তাই পুজোয় এবার কলকাতাতেই কাটাব। তবে ইচ্ছে হলে পুজোর মধ্যেও কাছে-পিঠে কোথাও ঘুরে আসতেই পারি। তবে সেটা এখনও ঠিক করিনি।

রাইমা সেন (অভিনেত্রী)

পুজোর সময়টাতেই আমরা সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ি। পুজোর উদ্বোধন/পুজো পরিক্রমা করতে করতেই সময়টা যেন কেটে যায়। অন্য কোনও দিকে বিশেষ তাকানোর সময়টুকু অবধি পাই না। মা আমাকে আর বোনকে প্রতিবছর শাড়ি কিনে দেন। তাই পুজোয় শাড়ি পরারই ইচ্ছে রয়েছে। আর পুজোয় সবরকম খাবারই খাব। কারণ আমরা সারাবছর ডায়েটিং করি। এই চারদিন সব ধরনের খাবার খাওয়ার জন্য। আমার মনে হয় পুজোয় কেউ ডায়েটিং করে না। ইচ্ছে আছে মা-বাবা-বোনের সঙ্গে একসঙ্গে কলকাতায় পুজোটা কাটানোর। দেখা যাক কী হয়। আসলে এতটাই ব্যস্ত থাকতে হয় আমাদের এই সময় যে কোনও আউটিং, কোনও খাওয়া-দাওয়ার প্ল্যানিংও এখনও সেভাবে করে উঠতে পারিনি।

পাকিস্তানে ঢুকে ভিকি কৌশলের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক! প্রকাশ্যে ‘উরি’-র টিজার ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement