Advertisement
Advertisement

Breaking News

উৎসবের মরশুমে রহস্য বাড়িয়ে কেমন হল যিশুর ব্যোমকেশ?

কতটা জমল রহস্য? পুজোর বাজারে কতটা ঝাঁজ ব্যোমকেশের?

Byomkesh is back with a bang
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 23, 2017 2:51 pm
  • Updated:August 6, 2021 6:17 pm  

বিদিশা চট্টোপাধ্যায়:  দুটো গল্প নয়, আসলে তিনটে গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে অঞ্জন দত্তর ‘ব্যোমকেশ ও অগ্নিবাণ’। ‘সত্যান্বেষী’, ‘অগ্নিবাণ’ এবং ‘উপসংহার’। এবং বলতেই হবে তিনটে গল্পকে মিশিয়েছেন দুর্দান্তভাবে। খুব স্বাভাবিকভাবেই স্ক্রিপ্টের মধ্যে এই তিনটে গল্প ঘোরাফেরা করে। তবে ওপেনিং ক্রেডিটস-এ ভিয়েতনাম যুদ্ধের উল্লেখ করে যে সময়টা ধরার চেষ্টা করা হয়েছিল সেটা কেবল ওপেনিং ক্রেডিটস-এ সীমাবদ্ধ। কিছু ফুটেজের মধ্যে দিয়ে। ছবির মধ্যেও বিভিন্ন লেয়ারে এই বিষয়টা চারিয়ে গেলে বড় ভাল হত। ‘ব্যোমকেশ ও অগ্নিবাণ’-এর টিজার খুব আশা জাগিয়েছিল। প্রচণ্ড ফাস্ট এবং অ্যাকশন প্যাকড। কিন্তু তিনটে গল্পকে প্লটে ঢোকাতে গিয়ে সেই গতি কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। এই ছবিটা দেখতে গেলে মনে পড়বে দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ডিটেকটিভ ব্যোমকেশ বক্সী’র কথা। সেখানে সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ ছিল ছটফটে এক তরুণ, অজিত ছিল মার্জিত ও সাবধানী। এই ছবিতেও তাই। কিন্তু এখানে ব্যোমকেশ ওভারস্মার্ট। তাঁদের দুর্বল অভিনয় এই সাদা কালো অংশটাকে অনাকর্ষণীয় করে তুলেছে। দুর্বল বলতে ‘অব্যোমকেশীয়’ মনে হয়েছে মূল চরিত্রের নবাগত অভিনেতা সৌমেন্দ্র ভট্টাচার্যকে। আর অজিত (অরিত্র সেনগুপ্ত) মানেই কি মোটাসোটা, গুবলু অপ্রতিভ বাঙালি ছেলে! পরিচালক অন্যভাবেও ভাবতে পারতেন। ব্যোমকেশের সঙ্গীর মধ্যে একটা কিছু তো থাকবেই।

[পাহাড়চূড়োয় কেমন হল সৃজিতের ‘ইয়েতি অভিযান’?]

Advertisement

প্রত্যেকবারের মতোই এবারেও ভাল লাগে যিশু ও শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের যুগলবন্দি। অন্যকিছু নয়, এই দুই অভিনেতার উপরেই কিন্তু দাঁড়িয়ে আছে অঞ্জন দত্তর ব্যোমকেশ। এবং সেটা দুর্দান্তভাবে পালন করেছেন যিশু। একটা দৃশ্য আছে সেখানে শত্তুরের গার্লফ্রেন্ড লুসির (অঙ্কিতা) সঙ্গে মোলাকাত করে ফিরে অজিতকে গল্প শোনায়। অজিত কাতর কন্ঠে বলে ওঠে, ‘একবারও ফোন করলে না?’  ব্যোমকেশ প্রশ্ন করে ‘কাকে?’  উত্তর আসে ‘না মানে পুলিশকে।’ এই ছোট ছোট টাচগুলো অঞ্জন দত্তর সিগনেচার স্টাইল। দেখতে দেখতে হেসে উঠতে বাধ্য হই। তিনি নিজে আবির্ভূত হয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে। বইয়ে পড়ে এই ভিলেনের যে ছবি, তার সঙ্গে অঞ্জন দত্তর ‘কোকনদ গুপ্ত’-র কোনও মিল নেই। যাঁরা বইয়ে পড়ে মনে মনে ছবি এঁকে রেখেছেন তাঁরা হতাশ হতে পারেন। যিশু এবং স্বস্তিকার ঘন মুহূর্তগুলো একটা এক্স ফ্যাক্টর অ্যাড করে। ‘অঙ্গুরীদেবী’ থেকে ‘মালতাদেবী’- দুটোতেই স্বস্তিকা সফল। অনেকদিন পর সুমন্ত মুখোপাধ্যায়কে দেখে ভালই লাগল। ব্যোমকেশের নির্যাস পরিচালক ধরতে পারলেও, ট্রেলারে যে প্রমিস ছিল সেটা সবটা পূরণ হল না। গৈরিক সরকারের সিনেমাটোগ্রাফি ইন্ডোর শটগুলোকেও চমকপ্রদ করেছে। ‘অগ্নিবাণ’ শব্দে যে জ্বালানি ছিল সেটা দাউদাউ করে জ্বলে উঠল না পার্শ্বচরিত্রদের ধারহীন অভিনয়ের কারণে।

[ভালবাসার এক আশ্চর্য সফর ‘প্রজাপতি বিস্কুট’]

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement