Advertisement
Advertisement

কেমন হল অঙ্কুশ-নুসরতের ‘বলো দুগ্গা মাঈকী’? 

টিকিট বুক করার আগে একবার চোখ বুলিয়ে নিন।

Bolo Durga Mai Ki is nothing but ‘pure entertainment’
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 20, 2017 2:30 pm
  • Updated:August 6, 2021 6:46 pm  

নির্মল ধর: এখন পুজোর ছবির মানে ফুলটুস মস্তি, চিন্তা ভাবনার বিসর্জন। পরিচালক রাজ চক্রবর্তী এই নিয়ম মেনেই বানিয়েছেন ‘বলো দুগ্গা মাঈকী’ নামের ‘বই’টি। হ্যাঁ এটা ‘বই’ই, ‘ছবি’ নয়। জনৈক শুভঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের গল্পকে বীজ করে চিত্রনাট্য লিখেছেন ‘লে ছক্কা’ ও ‘কাটমুন্ডু’ ছবির চিত্রনাট্যকার পদ্মনাভ দাশগুপ্ত। তাঁর কলমে কমেডির পাঞ্চটা মন্দ হয় না। শুভঙ্করের গল্পে বাড়ি পালানো মেয়ে উমা আর ভয়ঙ্কর বড়লোক দাদুর উচ্ছন্নে যাওয়া নাতি সাম্যর জুটিকে নিয়ে মুখরোচক নানা ঘটনায় সাজানো প্রেমপর্ব, সংখ্যাগুরু দর্শকের জন্য একেবারে রেডিমেড রেসিপি। পদ্মনাভ সেই সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন কমেডির ফোড়ন। সুতরাং পুজোয় দর্শকের কাছে এই ‘বই’ হাততালির পাত্র হবে।

[সেন্সরের ছাড়পত্র পেতে হঠাৎ আলিয়ার সম্মতি কেন প্রয়োজন বরুণের?]

Advertisement

পরিচালক রাজ চক্রবর্তী পদ্মনাভর রেসিপি, শুভঙ্করের চুরমুরে গপ্পো দিয়ে রান্নাটা মন্দ করেননি। যোগ করেছেন তাঁর নিজস্ব কিছু সিনেমাটিক ভাবনাও, যা অনেক সময়ই এই ছবির চলনের সঙ্গে হোঁচট খায়। তবুও অস্বীকার করা যাবে না তাঁর চিত্রভাবনার প্রয়োগশৈলীকে। কমেডির একাধিক ফুলকি দর্শক মনে উল্লাস জাগাবে, ফলত দেদার হাততালি। সোশ্যাল সাইটে নুসরতের ছবি ব্যবহারের ব্যাপারটা ভাল। নাটক তো শুরু ওই সোশ্যাল সাইট থেকেই। নইলে সাম্য আর উমার দেখা হতো কী করে! দুর্গা পুজোর ব্যাপারটা প্রাধান্য পেল ছবির দ্বিতীয়াংশে। প্রথমাংশে সাম্য ও বন্ধুদের ফুর্তি ফার্তাতেই কেটেছে। দাদুর (পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়) কার্যকলাপ অতিনাটকীয় হলেও কমেডির মোড়ক থাকায় দর্শক মেনে নিতেও পারে। পুরো ছবিটাই কাকতালীয় ঘটনায় ভরপুর কিন্তু গতিময় হওয়ার ফলে দর্শক প্রশ্ন তোলার কোনও সুযোগ পান না। পরিচালকেরও বোধহয় তেমনটাই অভিপ্রায় ছিল। সুতরাং তিনি সফল।

[‘কাকাবাবু’ প্রসেনজিৎকে শুভেচ্ছা বার্তা ‘ফেলুদা’ সৌমিত্রর]

সত্যি বলতে কি অঙ্কুশ এখনও ‘নায়ক’ হয়ে উঠতে পারছেন না। নাচের দৃশ্যে লাফালাফি করতে পারলেও কমেডি দৃশ্যে তিনি বড়ই নার্ভাস। ডায়ালগ ডেলিভারির টাইমিং নিয়ে এখনও অনুশীলন প্রয়োজন। উমার চরিত্রে নুসরতের সেজেগুজে ঘুরে বেড়ানো ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না। তবে এ ছবির ইউএসপি অঙ্কুশের দুই শাগরেদ সৌরভ-রাজদীপের অভিনয়। গানে সুরকার অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় নিজের জন্যই সেরা গানটি রেখে দিয়েছিলেন। ‘বলো দুগ্গা মাঈকী’ এবারের পুজোয় জয় পাবে না পরাজয়, সেটা জানতে মাত্র ক’দিনের অপেক্ষা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement