মুক্তির অপেক্ষায় ভাইজান অভিনীত ‘ভারত’ এবং তাঁর প্রযোজনায় ‘নোটবুক’। এছাড়াও হাতে রয়েছে বেশকিছু ছবির শুটিং। সব মিলিয়ে শশব্যস্ত সলমন খান। মুখোমুখি অহনা ভট্টাচার্য।
আপনার একেবারে ‘লার্জার দ্যান লাইফ’ ইমেজ। সে কারণেই কি অন্য ধারার ছবিতে আপনার এক্সপেরিমেন্ট ফ্যানেরা পছন্দ
করে না?
সলমন: আপনি আমাকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে দেখেছেন। ছবিতে এবং বাস্তবেও। সত্যিই যদি ‘লার্জার দ্যান লাইফ’ ইমেজ হত, তা হলে ওখানে যাওয়ার প্রয়োজন হত না।
গত বছর সঞ্জয় দত্তের বায়োপিক মুক্তি পেল। যদি কেউ আপনার বায়োপিক বানাতে চান, রাজি হবেন?
সলমন: আমার বায়োপিক! বাপ রে বাপ! (হাসি)
[আরও পড়ুন: মোদির বায়োপিক নিয়ে ক্ষুব্ধ সলমন, প্রযোজকদের নোটিস ধরালো নির্বাচন কমিশনও ]
‘সলমন খান ফিল্মস’—এর নতুন ছবি ‘নোটবুক’ কাশ্মীরের পটভূমিকায় দেখানো এক প্রেমকাহিনি। বর্তমানে কাশ্মীরের অবস্থা নিয়ে আপনার কী মতামত?
সলমন: আমি মর্মাহত। মাই হার্ট গোজ আউট টু দ্য সোলজার্স। আমার মতে, মানুষের সঠিক শিক্ষার প্রয়োজন। যারা এই ধরনের কাজ করছে, তারা যে শিক্ষা পায়, সেটা সঠিক নয়। কারণ, শিক্ষক নিজেই ভুল জিনিস শেখাচ্ছেন। তাই সঠিক শিক্ষা প্রয়োজন।
সুরজ পাঞ্চোলি, আথিয়া শেট্টি, আয়ুষ শর্মা, ওয়ারিনা হুসেন আর এখন জাহির ইকবাল এবং প্রনূতন বেহল। একের পর এক নতুন জুটিকে লঞ্চ করেছেন আপনি। ফিল্ম জার্নি শুরু করার আগে তাঁদের কোনও পরামর্শ দেন?
সলমন: সকলকে একটা কথা বলি- স্টে আউট অফ ট্রাবল। কারণ, আপনি বুঝতেই পারবেন না কখন, কোন পথে ঝামেলা আসবে আপনার জীবনে। তাই সাবধানে থাকাই ভাল।
যখন ‘নোটবুক’-এর চিত্রনাট্য লেখা হচ্ছিল, তার মধ্যে আপনার অবদান কতটা ছিল?
সলমন: আমি জোর করে কৃতিত্ব নিতে চাইব না। অনেক সময় সেটা বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। (হাসি) তবে একটা কথা বলতে চাই, ছবিটা প্রথমে আমাকে অফার করা হয়েছিল। কিন্তু এখন আমার ইমেজ অনেকটাই বদলে গিয়েছে। তাই এই ফিল্মে আমি অভিনয় করিনি।
ইমেজ বদলে গেছে মানে? আপনি আর লাভ স্টোরি করবেন না?
সলমন: লাভ স্টোরি ছাড়া কোনও ছবি হয় নাকি? আমার সব ছবিই তো লাভ স্টোরি।
‘নোটবুক’ একটা থাই ছবি থেকে অনুপ্রাণিত। যার নাম ‘টিচার্স ডায়েরি’। সেই ছবিটা দেখেছেন?
সলমন: কীসের ‘টিচার্স ডায়েরি’? আমাদের ছবিটা ওর চেয়ে অনেক ভাল। এবং সেটাকে ভাল করতে আমাদের অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে।
আপনার ডায়েরি লেখার অভ্যেস আছে?
সলমন: একবার শুরু করেছিলাম। সব সত্যি কথা গড়গড় করে লিখে ফেললাম। কিন্তু পড়ার পরে মনে হল, এগুলো লিখলে কিছু মানুষ সমস্যায় পড়বেন। তাই পুরোটা কেটে দিয়ে আবার লিখলাম। তার পর আবার পড়ে দেখলাম, আমার খুব সমস্যা হচ্ছে। তাই অনেক ভেবেচিন্তে ডায়েরি লেখাই ছেড়ে দিলাম।
অভিনয় না প্রযোজনা, কোনটা বেশি পছন্দের?
সলমন: দুটোই। প্রযোজনায় খাটনি একটু বেশি। অনেক দিকে নজর রাখতে হয়, অনেক কিছু নিয়ে মাথা ঘামাতে হয়। ছবির গান, চিত্রনাট্য, এডিটিং, সব কিছু।
আপনি ছবি পরিচালনা করতে চান না?
সলমন: আমি তো পরিচালক হয়েই নিজের বলিউড কেরিয়ার শুরু করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেটা হল না। থ্যাঙ্ক গড!
ছবি ফ্লপ হলে খারাপ লাগে নিশ্চয়ই।
সলমন: আপনারাই ছবি ফ্লপ করান। আমার দুটো ভাল ছবিকে আপনারা ফ্লপ করিয়েছেন। ‘জয় হো’ আর ‘টিউবলাইট’।
অভিনেতা এবং প্রযোজক হিসেবে আপনার এত বছরের অভিজ্ঞতা…
সলমন: (থামিয়ে) তার পরেও ‘টিউবলাইট’-এর মতো ছবি কী করে তৈরি করলাম, এটাই জানতে চাইছেন তো?
‘টিউবলাইট’ হিট করবে না, এমন আশঙ্কা ছিল আপনার মনে?
সলমন: না। তবে আমার মনে হয়েছিল যে এটা ইদে মুক্তি পাওয়ার মতো ছবি নয়। কারণ আমি জানি গল্পটা কী। আর আমি সেটা বলেওছিলাম। ওরা জেদ করেই ইদে রিলিজ করল। আর দর্শক কাঁদতে কাঁদতে হল থেকে বেরলো। অন্য কোনও উইকএন্ডে রিলিজ করলে এটা হত না। দর্শক টিভি, ডিজিট্যাল প্ল্যাটফর্মে ছবিটা কিন্তু পছন্দ করছে।
এটা ‘টিন্ডার’—এর যুগ। অ্যাপের মাধ্যমে ভালবাসায় বিশ্বাস করেন?
সলমন: আপনি টিন্ডার ব্যবহার করেন নাকি? আমি আমার ফোনে এ রকম অ্যাপ রাখি না।
‘বাম্বল’ ব্যবহার করেন?
সলমন: সেটা আবার কী?
ডেটিং অ্যাপ। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া লঞ্চ করলেন কিছু দিন আগে।
সলমন: এখন ওর আর এসবের কী প্রয়োজন? (হাসি)
[আরও পড়ুন: সেলুলয়েডে তিরাশির বিশ্বজয়ের গল্প, ছবিতে বিশেষ ভূমিকায় কপিল তনয়া]
ওয়েব সিরিজ দেখেন?
সলমন: ক্লিন কনটেন্টের কিছু সিরিজ দেখেছি। বাকি সব রাবিশ!
ওয়েব সিরিজ নিয়ে কিছু ভাবতে পারেন তো?
সলমন: প্রযোজনা করব। তবে আগেই বলে দিচ্ছি, আমার কন্টেন্ট একদম ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’ টাইপের হবে।
আপনি মানুষের কাছ থেকে যে পরিমাণ অ্যাটেনশন পান, সেটা এনজয় করেন? না কি বিরক্ত লাগে?
সলমন: মাঝে মাঝে যখন চাই না, তখনও অ্যাটেনশন পাই। সেটা ভাল লাগে না। আবার অনেক সময় ভালই লাগে।
প্রাইভেসির অভাব বোধ করেন?
সলমন: (হাসি) কিছু কিছু জিনিস জীবনে স্যাক্রিফাইস করতে হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.