সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোটা বছর জুড়েই বলিউড ছিল উত্তাল। বছর যত এগিয়েছে বিতর্কে পড়েছে বারুদ। সিনেমা থেকে তারকারা, খবরে শিরোনামেই সব সময়ই তাঁদের উজ্জ্বল উপস্থিতি। বিতর্ককে তিল থেকে তাল করার জন্য তো নেটিজেনরা হাজির ছিলেনই। তা ২০২২-এ কোন বিতর্ক রীতিমতো সাইক্লোনের আকার নিয়েছিল?
বয়কট ও লাল সিং চাড্ডা
হঠাৎ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই। বয়কট বলিউড, বয়কট আমির খান, বয়কট লাল সিং চাড্ডা! আর এই ট্রেন্ডের চক্করে পড়ে অনেক খাটনি করে বানানো আমিরের লাল সিং চাড্ডা বক্স অফিসে একেবারে মুখ থুবড়ে পড়ল। তা হঠাৎ বয়কট কেন?
পুরনো কাসুন্দি ঘেঁটে কয়েক বছর আগে আমিরের ‘এই দেশ অসহিষ্ণু, এখানে থাকতে ভয় করে!’ মন্তব্যকে টেনে এনে এই ছবি বয়কটের ডাক দিয়েছিল নেটিজেনরা। বয়কট নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে মুখও খুলেছেন আমির। মন্তব্যের জন্য ক্ষমাও চেয়েছিলেন মিস্টার পারফেকশনিস্ট। আমিরের কথায়, ”আমার মন্তব্যে আমি যদি কাউকে আঘাত দিয়ে থাকি, আমি তার জন্য দুঃখিত। আমি কাউকে কষ্ট দিতে চাইনি। যদি কেউ ছবি দেখতে না চায়, আমি তাঁর সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাই।” তবে তাতেও চিঁড়ে ভিজল না। ছবি একেবারেই ফ্লপ।
দ্য় কাশ্মীর ফাইলস
২০২২ সালের সবচেয়ে আলোচিত ছবি দ্য কাশ্মীর ফাইলস। ছবি মুক্তি হওয়ার আগে থেকেই বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছিল পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর এই ছবিকে। গত ১১ মার্চ মুক্তি পেয়েছে বিবেক অগ্নিহোত্রী পরিচালিত ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ (The Kashmir Files)। নয়ের দশকে কাশ্মীর থেকে কীভাবে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উৎখাত করা হয়েছিল, কীভাবে পরিবারগুলির উপর চলেছিল নিপীড়ন, সেই বাস্তব চিত্রই ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন পরিচালক। অনুপম খের (Anupam Kher) ছাড়াও ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী, পল্লবী যোশী, দর্শন কুমারের মতো তারকারা।
অন্যদিকে এই ছবি নিয়ে বাকযুদ্ধে মাতেন অনুরাগ কাশ্য়প ও বিবেক অগ্নিহোত্রী। এর শুরু অনুরাগের এক সাক্ষাৎকারকে কেন্দ্র করেই। যেখানে অনুরাগ বলেছিলেন,”বলিউডের সবাই যদি প্যান-ইন্ডিয়া ছবি বানাতে শুরু করে তাতে সাফল্য ৫-১০ শতাংশে এসে দাঁড়াবে। ‘কান্তারা’ এবং ‘পুষ্পা’র মতো ছবি সাহস দেয় নিজেদের গল্প বলার। ‘কেজিএফ ২’ যদিও বড় সাফল্য। কিন্তু তার মানে তো এই নয় যে, সবাই এই ধরনের ছবি বানাতে শুরু করবে। তাহলে ভারি মুশকিল। মৌলিক বিষয় নির্বাচনের সাহস রাখতে হবে” এই সাক্ষাৎকারের উল্লেখ করে বিবেক অনুরাগের উদ্দেশে লেখেন, ”বলিউডের এক এবং একচ্ছত্র অধীশ্বর ওরফে অনুরাগের থেকে আমি পুরোপুরি ভিন্ন মত পোষণ করি, আপনি কি তা মানবেন স্যর?”
ব্যস, বিবেকের এই টুইটেই ক্ষেপে লাল অনুরাগ। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর পালটা টুইট। অনুরাগ লিখলেন, ”ভুল আপনার নয়। আপনার সিনেমার। গবেষণাটা এমন করে করা হয়েছে, যেন আপনার-আমার এই এখনকার টুইট। ঠিক আছে, আর একটু যত্ন নিয়ে করবেন এর পর।”
তবে এই টুইট দেখে কিন্তু চুপ থাকেননি বিবেক। তিনিও দিলেন অনুরাগকে পালটা। দ্য় কাশ্মীর ফাইলস ছবির প্রসঙ্গ তুলে বিবেক লিখলেন, ”হে ভগবান! দয়া করে এই ছবির জন্য করা ৪ বছরের সব গবেষণা ভুল প্রমাণ করে দাও। গিরিজা টিকু, বিকে গঞ্জু, বায়ুসেনা হত্যা, নদীমার্গ সব কিছু ভুল ছিল। কাশ্মীরের পণ্ডিতদের উপর নির্যাতনের ৭০০ ভিডিয়ো, সব মিথ্যা! প্রমাণ করে দাও আগে, তার পর আমিও জানাব, এই ভুল আর কখনও করব না।”
নগ্ন রণবীর
রণবীর সিং (Ranveer Singh)। ‘লার্জার দ্যান লাইফ’। বলিউডের এই নায়ক কখন কী করেন বলা মুশকিল। সবচেয়ে বেশি চমক যে তাঁর পোশাকে, তা বলাই বাহুল্য। কখনও ধোপদুরস্ত, কখনও একেবারেই বিদঘুটে পোশাকে তিনি অনায়াসে হাজির হয়ে যান সকলের সামনে। কিন্তু এবার আর সে সবের ধার ধারেননি তিনি। এবার রণবীরকে দেখা গেল বিনা সুতোয়। ‘পেপার ম্যাগাজিনে’র জন্য সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে ফটোশুট করলেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই ছবিগুলি ছড়িয়ে পড়েছে নেট ভুবনে।
নিজের এহেন অবতার নিয়ে কথা বলতে গিয়ে রণবীর জানিয়েছেন, সকলের সামনে নগ্ন হতে তাঁর বিন্দুমাত্র অসুবিধে হয় না। তাঁর কথায়, ”শারীরিক ভাবে নগ্ন হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে খুব সহজ।” রণবীরের মতে, ”আমি হাজার হাজার মানুষের সামনে নগ্ন হয়ে যেতে পারি। আমার কিস্যু যায় আসে না। তবে বাকিরা অস্বস্তিতে পড়বেন।”
তবে রণবীর বিন্দাস থাকলেও, তাঁর ফটোশুট দেখে নিন্দার ঝড় উঠেছিল গোটা দেশে। এমনকী, এই ফটোশুটের জন্য পুলিশের কাছে অভিযোগও দায়ের হয়েছিল রণবীরের নামে। পরে অবশ্য রণবীর ক্ষমাও চেয়েছেন।
নায়িকা ও আর্থিক দুনীর্তি
২০০ কোটি টাকার আর্থিক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত ‘ঠগ’ সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিনের (Jacqueline Fernandez) সম্পর্ক নিয়ে তুমুল শোরগোল বলিউডে। বিশেষ করে জ্যাকলিনের সঙ্গে সুকেশের একটি অন্তরঙ্গ ছবি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই বিতর্কের মুখে পড়েন জ্যাকলিন। খবরে আসে, সুকেশের কাছ থেকে নাকি দামি দামি উপহারও নিয়েছিলেন তিনি। আর তা নিয়েই নিন্দুকরা জ্যাকলিনের উপর একেবারে ঝাঁপিয়ে পড়েন। জ্যাকলিনকে বিপাকে পড়তে দেখে নিজেকে সামলাতে পারেননি ‘প্রেমিক’ সুকেশ। শেষমেশ নিজেকে দোষী হিসেবে তুলে ধরে সংবাদমাধ্যমকে লিখে ফেলছিলেন এক আবেগঘন চিঠি। সুকেশের কথায়, ‘জ্যাকলিন একেবারেই নির্দোষ। ওসব দামি উপহার ভালবাসার প্রতীক!’ সুকেশ মামলায় ইডির নজরে প্রথম থেকেই ছিলেন জ্যাকলিন। অভিনেত্রীর নামে লুকআউট নোটিসও জারি হয়েছিল।
সুকেশ চন্দ্রশেখর মামলায় নাম জড়িয়েছে বলিউডের নোরা ফতেহি, জাহ্নবী কাপুর ও সারা আলি খানেরও। সম্প্রতি এই কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে ভূমি পেডনেকরও। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের দাবি, চন্দ্রশেখর জাল বিছিয়েছিল ভূমির জন্যও। তবে ইডিকে নায়িকা জানিয়েছেন, তিনি ওই প্রতারকের থেকে কোনও উপহার নিতে রাজি হননি।
বিতর্কে শাহরুখ ‘পাঠান’ খান
একটা গানেই বিতর্ক! না, গানে নয়। বরং দীপিকার পরনের গেরুয়া রঙের বিকিনিই সব নষ্টে গোঁড়া। অন্তত হিন্দুত্ববাদী সংগঠন এবং দেশের গেরুয়া শিবিরের কাছে তো অবশ্য়ই। আর এই এক গানের চোটে, দীপিকা ও শাহরুখ খাচ্ছেন নাকানি চোবানি। গান সুপারহিট। তবে বিতর্কের আগুন রোজই বাড়ছে। ফলাফল শাহরুখের ‘পাঠান’ ছবি বয়কটের ডাক!
‘পাঠান’ (Pathaan) ছবির গান ও বেশ কিছু দৃশ্য নিয়ে আপত্তি তোলেন মধ্যপ্রদেশের বিজেপি নেতা নরোত্তম মিশ্র। টুইট করে তিনি জানিয়েছেন, “পাঠান ছবির বেশ কিছু দৃশ্য অশোভন। এই দৃশ্যগুলো বাতিল না করলে মধ্যপ্রদেশে এই ছবিকে মুক্তি দেওয়া যাবে না।” তাঁর কথায়, “পাঠান ছবির এই গান ও দৃশ্য পরিচালকের নোংরা মানিসকতার পরিচয়। এর তীব্র বিরোধিতা করছি।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং ‘বয়কট পাঠান’ (Boycott Pathaan)। নেটদুনিয়ার একাংশ গানের দৃশ্য শেয়ার করে ছবি বয়কটের ডাক দিয়েছে। ‘বয়কট পাঠান’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে লেখা হয়েছে, “পাঠান ছবিতে তোতলাটা নায়িকাকে গেরুয়া রঙের পোশাক পরিয়েছে আর গানের নাম দিয়েছে বেশরম রং।” এই টুইট শেয়ার করেই আবার সাধ্বী প্রাচী গোটা ভারতবর্ষেই ছবিটি বয়কটের ডাক দিয়েছেন। অনেকে আবার দীপিকার সঙ্গে তাঁর স্বামী রণবীর সিংয়ের নগ্ন ফটোশুটের কার্টুন শেয়ার করেও ব্যঙ্গ করেছেন। গোটা বলিউডকে বয়কট করার ডাকও দেওয়া হয়েছে। তবে বিতর্কের মাঝেও ইউটিউবে গানটির ভিউ বাড়ছে হু হু করে।
হু ইজ কে কে!
বলিউডে যখন লাল সিং চাড্ডা, কাশ্মীর ফাইলস, সুকেশ কাণ্ড, পাঠান তুমুল বিতর্ক তুলেছে। পিছিয়ে ছিল না টলিপাড়া। জনপ্রিয় গায়ক রূপঙ্করের এক ফেসবুক লাইভ নিয়ে কেলেঙ্কারি। সঙ্গে যোগহল কলকাতা এসে গায়ক কেকের মৃত্যু! সোশ্যাল মিডিয়ায় রূপঙ্করকে তুলোধনা। বড়সড় বিপাকে পড়েছিলেন রূপঙ্কর। কটাক্ষের পর কটাক্ষ ধেয়ে এসেছিল রূপঙ্করের দিকে। অনেকে তো বলেই ফেলেছিলেন, কেকের মৃত্যুর জন্য দায়ী রূপঙ্কর।
ফেসবুক লাইভে ঠিক কী বলেছিলেন রূপঙ্কর?
রূপঙ্করের (Rupankar Bagchi) কথায়, নজরুল মঞ্চে গায়ক কেকে-এর লাইভ কনসার্ট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তাঁর কিছু কনসার্টের ভিডিও নজরে পড়েছিল। দারুণ পারফরম্যান্স। দারুণ গায়ক কেকে, এতে কোনও সন্দেহ নেই। তবে এই ভিডিওগুলো দেখে বুঝলাম, এরকম ভিডিও এখানকার শিল্পীদেরও রয়েছে। যেমন, আমার ভিডিও থাকে, অনুপমের ভিডিও থাকে, সোমলতার ভিডিও থাকে, ইমনের ভিডিও থাকে, রাঘবের, মনোময়ের, উজ্জ্বয়িনীর ভিডিও থাকে বা ক্যাকটাস, রূপম আরও অনেকের ভিডিও থাকে সোশ্যাল মিডিয়ায়। গান শুনে যা বুঝলাম, কেকে-এর থেকে তো আমরা সবাই ভাল গান গাই। আমাদের নিয়ে এত উত্তেজনা বোধ করেন না কেন? কী কারণ? আমি একটু আগে যেসব শিল্পীর নাম নিলাম তাঁরা সবাই কে কে-র তুলনায় ঢের ভাল শিল্পী। কিন্তু আপনারা মুম্বইকে নিয়ে এত মাতামাতি করে যাচ্ছেন। দক্ষিণ ভারতকে দেখুন, পাঞ্জাবকে দেখে শিখুন, ওড়িশাকে দেখুন। বাঙালি হন। বাঙালি হন প্লিজ! বিতর্কের পরে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে ক্ষমাও চেয়েছিল রূপঙ্কর।
বিতর্কে ‘কালী’ পোস্টার
‘কালী’ (Kaali) তথ্যচিত্রের পোস্টার টুইট করেছিলেন পরিচালক লীনা মণিমেকালাই। তারপর থেকেই ধীরে ধীরে নেটিজেনদের মধ্যে ক্ষোভ জমতে শুরু করে। পোস্টারে দেখা যায়, মা কালীর (Goddess Kaali) বেশে এক অভিনেত্রীর মুখে সিগারেট ও অন্য হাতে এলজিবিটিকিউ-এর রেনবো পতাকা। এর জেরেই সোশ্যাল মিডিয়ার রোষানলে পড়েন পরিচালক। হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগ ওঠে। কেন্দ্রকে চিঠি দিয়ে তথ্যচিত্রটির প্রদর্শন বন্ধ করার দাবিও তোলেন নেটিজেনদের একাংশ। এখানেই শেষ নয়, মুণ্ডচ্ছেদের হুমকিও পান লীনা। অযোধ্যার হনুমান গড়ি মন্দিরের মোহন্ত রাজু দাস মুণ্ডচ্ছেদের হুমকি দেন।
বিতর্কে কবীর সুমন
‘বিদ্বেষপূর্ণ’ মনোভাব থেকেই সন্ধ্যা মুখোপাধ্য়ায়কে পদ্মশ্রী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ছিল কেন্দ্রীয় সরকার! এক সাংবাদিক বৈঠকে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে পদ্মশ্রী দেওয়ার সিদ্ধান্তে ঠিক এই ভাষাতেই কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র নিন্দা করেছিলেন কবীর সুমন। কবীর সুমন ছাড়াও এই সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আবুল বাশার, শুভাপ্রসন্নের মতো বিশিষ্টরা।
গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের পদ্মশ্রী প্রত্যাখ্যান নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে কবীর সুমন জানিয়ে ছিলেন, ‘গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের ভারতরত্ন পাওয়া উচিৎ । যে ভারত সরকার গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে পদ্মশ্রী দেওয়ার ধৃষ্টতা দেখালো আমি কবীর সুমন, তাদের জুতো পেটা করতে চাই। আমার প্রথম প্রতিক্রিয়া এটাই। আমার এ মন্তব্য শোনার পর কেউ গ্রেপ্তার করতে পারেন। মানহানির মামলা করতে পারেন। তাতে আমি বিন্দুমাত্র ভয় পাচ্ছি না। বাংলার সন্তান আমি। নিজেকে বাঙালি বলতে গর্ব বোধ করি। গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় সারা বিশ্বের বাঙালির গর্ব। তাঁকে ছোট করে বাঙালিকে হেয় করলো এই সরকার। রাম শ্যাম যদু মধু পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ। আর গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় স্রেফ পদ্মশ্রী!? এই কেন্দ্রীয় সরকার নির্লজ্জ নয় তদুপরি বেহায়া’ সাংবাদিক বৈঠকেও কবীর সুমনের গলায় শোনা গেল সেই সুর।
কবীর সুমন জানিয়েছিলেন, “বিদ্বেষ থেকে পদ্মশ্রী দেওয়া হয়েছে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে। শ্বেতাঙ্গরা অন্তত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নোবেল পুরস্কারটা দিয়েছিলেন। সেখানে তাঁরা অন্য কিছু বিচার করেননি। এই কলকাতা শহরে দুই জন বসে আছেন যাঁরা পদ্মভূষণ পেয়েছেন। তাঁদের কেরিয়ারটা দেখুন। আর সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের কেরিয়ারটা দেখুন। এই বয়সে এসে ধাক্কা খেলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। এমনকী, গীতশ্রীর প্রয়াণের পরেও কেন্দ্রকে কটাক্ষ করেছিলেন সন্ধ্যা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.