সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খেয়েছে লোকটা এই মাথাটাই৷ এই লোকটাই কিন্তু৷ অবিকল শীতের মতো মোলায়েম রোদ যেন৷ শিরশিরে বাতাস এসে বলছে, ‘হাউ মেনি রোডস মাস্ট আ ম্যান ওয়াক ডাউন?’ বৃদ্ধ স্মৃতির আঁচে পুড়ছেন কেউ৷ ২০১৬ সালে সাহিত্যে নোবেল পেলেন বব ডিলান৷ না কি নোবেল পেল বব ডিলানকে?
প্রেমের জন্য হৃদয়কে পুড়িয়ে দিয়েছিলেন ‘মিস্টার টাম্বোরিন ম্যান’৷ কিন্তু এই গীতিকারের নোবেলপ্রাপ্তি আর তাঁকে ঘিরে আপাতত দ্বিধাবিভক্ত নেট দুনিয়া৷ আপামর ডিলান অনুরাগীরাও খানিক অভিমান, খানিক আবেগে দিশাহারা৷ প্রায় অশীতিপর এই তরুণকে বড় বেশি দেরিতেই স্বীকৃতি দিয়েছে স্টকহোমের সুইডিশ অ্যাকাডেমি৷
অ্যাকাডেমির স্থায়ী সচিব সারা ড্যানিয়াস এদিন বলেন, “হয়তো অনেকের কাছে এই খবর বেশ খানিকটা চমকের মতোই! কিন্তু বব একজন অসামান্য কবি৷ এমনভাবে পদ্যকে তিনি ভেঙে দিয়েছেন, তা বলার নয়৷ গত ৫৪ বছর ধরে তিনি নিজেকে লেখার মাধ্যমে বারবার আবিষ্কার করেছেন৷” ইংরেজি যাঁদের কথ্যভাষা, তাঁদের মধ্যে বব তো এক সংগীত বিপ্লবী৷ নিজেকে সমানে ভেঙে চলেছেন৷ পুনর্নির্মাণ করে চলেছেন৷ উল্লেখ্য, জর্জ বার্নার্ড শ’-এর পর ডিলানই দ্বিতীয় ব্যক্তি যিনি নোবেল ও অস্কার দু’টি সম্মানই পেয়েছেন৷
বব ডিলান কেন নোবেল পেলেন? শুধুমাত্র গানের অসামান্য বাণীর জন্য? না কি এ তাঁর সময়ের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন নোবেল কমিটির? এদিকে ১৯৬৫-১৯৬৬ সাল নাগাদ ডিলান গদ্য ও পদ্যের সংকলনে একটি বই লিখেছিলেন৷ বইটি ‘ট্যারান্টুলা’ নামে প্রকাশিত হয় ১৯৭১ সালে৷ উত্তাল সময়ের ভাষার জন্যই কি এই সম্মান? ৪৬ বছর আগের সেই সাহিত্যকীর্তি? কারও অবাক লাগছে৷ গানের গীতির জন্য গ্র্যামি ইত্যাদি তো রয়েইছে৷ কেউ বলছেন, ঘুম থেকে উঠেই এই খবরে মন ভাল হয়ে গিয়েছে৷ কেউ বলছেন জোয়ান বেইজ, লিওনার্ডো কোহেনও তো সঙ্গে ছিলেন৷ বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ গীতিকারদের অনেকেই অসামান্য কবি, এরকম কথাও বলেছেন অনেকে৷ আবার কারও মতে এটা অত্যন্ত ভুল সিদ্ধান্ত৷ কেউ রাজনীতির গন্ধও পেয়েছেন এই সম্মান প্রাপ্তিতে৷ কিন্তু সবকিছুর পরেও তিনি ডিলান৷ ফরএভার ইয়ং!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.