সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্যাপারটা বেশ চোখে পড়ার মতো! এত বছর পরে পুত্রসন্তানের মুখ দেখতে চলেছে পতৌদি পরিবার! মানে, সেরকমই তো শোনা যাচ্ছে! লন্ডনে গিয়ে ভ্রুণের লিঙ্গ পরীক্ষা করিয়ে দেখেছেন করিনা কাপুর খান আর সইফ আলি খান! যাই হোক, ছেলে হোক বা মেয়ে, সোহা আলি খান তো পিসি হচ্ছেনই! সেই ব্যাপারটা নিয়ে কি তাঁর মনে এতটুকুও আনন্দ নেই?
তাই তো দেখা যাচ্ছে! ক্রমাগত বউদি করিনার গর্ভাবস্থা নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে নানা কথা বলে চলেছেন সোহা। আর, সেই বিবৃতিগুলোর কোনওটাই খুব একটা সোজা পথে হাঁটছে না! রীতিমতো ব্যঙ্গবিদ্রুপের সুর ঝরে পড়ছে সোহার বক্তব্যে। তার সঙ্গে বিরক্তিও!
যেমন, এর আগেই একটি সাক্ষাৎকারে করিনাকে নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন সোহা। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তাঁরা কেউ কেন করিনার বিশ্রামের ব্যাপারটা মাথায় রাখছেন না? গর্ভাবস্থার শেষের দিকেও কেন তাঁরা করিনাকে কাজ করতে দিচ্ছেন? সোহার উত্তর এসেছিল খুব কাঠ-কাঠ ভাবে! “আমার অনেক বন্ধু আছেন যাঁরা আট মাসের গর্ভাবস্থাতেও কাজ করেছেন! করিনাও করছে! কী এসে গেল তাতে? যতক্ষণ পর্যন্ত ও সুস্থ আছে, এটা নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার আছে কি?” একেকটি শব্দে যেন বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন সোহা!
এবং, স্বাভাবিক ভাবেই চমকে উঠেছিলেন সবাই! এ কী বলছেন সোহা! অসুস্থ হয়ে পড়লে তবেই করিনাকে নিয়ে মাথা ঘামাবেন তাঁরা, তার আগে নয়?
তবে, চমকের যে ঢের বাকি ছিল, তা টের পাওয়া গেল এবার! এবার সাংবাদিকদের রীতিমতো ঝাঁঝিয়ে উঠলেন সোহা। তাঁরা জানতে চেয়েছিলেন, নবাগত অতিথিকে বরণ করার জন্য কেমন প্রস্তুতি চলছে! আসলে, নবাব খানদানের ব্যাপার তো! তাই কৌতূহল একটা থাকবেই! সোহার উত্তর ছিল, “না, কোনও প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে না!” এর পরেই আসে অবধারিত প্রশ্ন- পিসি হিসেবে সোহা নিজে কি কোনও প্রস্তুতি নিচ্ছেন? কিছু কি কিনে রেখেছেন করিনার সন্তানের জন্য? ব্যস! আর যায় কোথায়!
“আমি না সত্যিই বুঝতে পারছি না পিসি হিসেবে আমার ঠিক কী করা উচিত! বা, আদৌ কিছু করা উচিত কি না! কী করব আমি পিসি হচ্ছি বলে? ঘর সাজাতে বসব? না কি করিনার সন্তান হচ্ছে বলে আমায় সোয়েটার বুনতে বসতে হবে?” সোহার জবাব!
বউদি-ননদ দ্বন্দ্ব? না কি পক্ষ অবলম্বন না করে দাদার আগের পক্ষ থেকে পাওয়া ভাইপো-ভাইঝির প্রতি এভাবেই সুবিচার করতে চাইছেন পিসি?
কে জানে!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.