সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের খবরের শিরোনামে অক্ষয় কুমার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎকারের পর থেকে ক্রমাগত সমালোচিত হচ্ছেন অভিনেতা। মুম্বইয়ে নির্বাচনের সময় ভোট না দেওয়া নিয়ে কটাক্ষের শিকার হন তিনি। প্রথমটায় শোনা গিয়েছিল অক্ষয় কুমার কানাডার নাগরিক। আর সেই কারণেই তিনি ভোট দিতে পারেননি। কানাডা প্রশাসনের তরফে সাম্মানিক নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়েছে তাঁকে। এত জল্পনার পর অবশেষে নিজের নাগরিকত্ব নিয়ে মুখ খুললেন ‘কেশরী‘ অভিনেতা। শুধু তাই নয়, কেন কানাডার পাসপোর্ট ছাড়তে চান না অক্ষয়, এও জানা যায়।
[আরও পড়ুন : শোয়ের মাঝেই গাঢ় চুম্বন নিক-প্রিয়াঙ্কার, দেখুন সেই ভিডিও ]
অক্ষয় বলেন, “আমার নাগরিকত্ব নিয়ে হঠাৎ এত অযথা উৎসাহ কেন দেখানো হচ্ছে এবং নেতিবাচক কথা রটানো হচ্ছে বুঝতে পারছি না। আমি তো কখনও লুকোইনি কিংবা অস্বীকার করিনি যে আমার কাছে কানাডার পাসপোর্ট রয়েছে। পাশাপাশি, এটাও সত্যি যে আমি বিগত সাত বছরে কানাডা যাইনি। আমি ভারতে কাজ করি। আর হ্যাঁ, আমার যাবতীয় ট্যাক্সও এই দেশে ঠিক সময়ে দিয়ে দিই।”
বিরক্ত হয়ে অক্ষয় কুমার বলেন, “ভারতের জন্য আমার ভালবাসার প্রমাণ এত বছরেও কাউকে দিতে হয়নি। তাহলে এখন কেন, আমার নাগরিকত্ব নিয়ে অযথা টানাটানি করে কেন বিতর্কের সৃষ্টি করা হচ্ছে! এটা একান্তই ব্যক্তিগত, অরাজনৈতিক এবং আইনত বিষয়। এতে অন্যের মাথা ঘামানোর কোনও প্রয়োজন দেখছি না।” পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছেন যে দেশকে আগামী দিনে শক্তিশালী করে তুলতে যা যা দরকার, তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন।
— Akshay Kumar (@akshaykumar) May 3, 2019
[আরও পড়ুন : অ্যাকশন-রোমাঞ্চে ভরপুর ‘ইন্ডিয়াজ মোস্ট ওয়ান্টেড’ ট্রেলার, অনন্য অর্জুন ]
তবে, দেশপ্রেম এবং কানাডার নাগরিকত্ব নিয়ে অক্ষয়ের বিস্ফোরক মন্তব্যের পরই নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এক ভিডিও। সেটি অবশ্য বেশ পুরনো। এই ভিডিওতে তিনি দাবি করেছিলেন, কানাডার টরন্টোই নাকি তাঁর শহর । শুধু তাই নয়, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে অবসর নেওয়া পর তিনি যে কানাডাতেই থাকতে শুরু করবেন পাকাপাকিভাবে, সেকথাও সেই ভিডিওতে বলেছেন তিনি। নাগরিকত্ব ইস্যুতে ভোটের আবহে রীতিমতো ভাইরাল এই ভিডিও।
উল্লেখ্য, ২৯ এপ্রিল চতুর্থ দফা নির্বাচনে মুম্বইতে অন্যান্য বলিউড সেলেবদের সঙ্গে অক্ষয়-পত্নী টুইঙ্কলকে ভোট দিতে দেখা গেলেও, কোনও পোলিং বুথেই দেখা মেলেনি খিলাড়ি কুমারের। আর তারপর থেকেই তাঁর নাগরিকত্ব নিয়ে ওঠা প্রশ্নকে ঘিরে বাড়ে আরও জল্পনা।
“Toronto is my home, after I retire from this industry I will settle in Canada” pic.twitter.com/Ypet1U0oBJ
— Tarique Anwer (@tanwer_m) May 3, 2019
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.