সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রিল লাইফে ‘হলি ডে’, ‘বেবি’, ‘রুস্তাম’ ছবিগুলির মধ্যে দিয়ে দেশপ্রেমের বার্তা দেন তিনি। কিন্তু রিয়েল লাইফেও যে তিনি একজন বড় দেশভক্ত, তার উদাহরণ একাধিকবার দিয়েছেন অক্ষয় কুমার। বরাবরই সেনা জওয়ানদের পাশে পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। গত মাসে ছত্তিশগড়ের সুকমায় নকশাল হামলায় নিহত সিআরপিএফ জওয়ানদের পরিবারকে প্রায় ১.০৮ কোটি টাকা দান করেছিলেন বলি অভিনেতা। এবার নিজের ইন্ডাস্ট্রির জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন খিলাড়ি কুমার। বি-টাউনের স্টান্ট আর্টিস্টদের জন্য এবার জীবনবিমার ব্যবস্থা করছেন তিনি।
ছবিতে বেশিরভাগ স্টান্ট নিজেই করে থাকেন অক্ষয়। সে সব স্টান্ট কতটা ঝুঁকিপূর্ণ, কী পরিমাণ বিপদের সম্মুখীন হতে হয়, তা বেশ ভালভাবেই জানেন তিনি। সেই কারণে কয়েক বছর আগেই বিনোদন জগতের স্টান্টম্যান ও স্টান্টওম্যানদের নিরাপত্তা নিয়ে সরব হয়েছিলেন তিনি। খোলা চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন, তাঁদের জীবনবিমার ব্যবস্থা করা হোক। তাঁর আর্জি অবশেষে কাজে এল। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, স্টান্টম্যানদের জন্য জীবনবিমার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। যাতে ৩৮০ জন মহিলা ও পুরুষ স্টান্ট আর্টিস্ট কোনও সমস্যায় পড়লে অর্থ পেতে সমস্যায় না পড়তে হয়। ১৮ থেকে ৫৫ বছর পর্যন্ত সব স্টান্ট আর্টিস্টই এই বিমার আওতায় পড়বেন। শুটিংয়ের সেটে কোনওরকম চোট পেলে দেশের প্রায় ৪ হাজার হাসপাতালে ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার খরচ পাবেন তাঁরা। কোনও আর্টিস্টের মৃত্যু হলে তাঁর পরিবার পাবে ১০ লক্ষ টাকা। খিলাড়ি কুমার এবং শল্য চিকিৎসক ডক্টর রামাকান্ত পাণ্ডার উদ্যোগেই এর পরিষেবা পাবেন তাঁরা।
জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেতার সমাজসেবার উদাহরণ বহু রয়েছে। শহীদ জওয়ানদের প্রতি নিজের কর্তব্য পালন করতে ভুল করেন না অক্ষয়। শহিদ পরিবারকে সরাসরি সাহায্য করার জন্য একটি অনলাইন পোর্টাল তৈরির পরামর্শ দিয়েছিলেন অভিনেতা। কেন্দ্রের সম্মতিতে তা বাস্তবেও পরিণত হয়েছে। ‘ভারত কে বীর’ অ্যাপটি বর্তমান বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অনেকেই অক্ষয়ের এসব কাজকে পাবলিসিটি স্টান্ট বলে ঠাট্টা করেন। কিন্তু ধারাবাহিকভাবে অন্যের সাহায্য করে অক্ষয় প্রমাণ করেছেন, নিছক প্রমোশনের জন্য তিনি এ কাজ করেন না। দেশ ও সাধারণ মানুষ সম্পর্কে তাঁর আবেগ কখনও গোপন করেননি অক্ষয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.