Advertisement
Advertisement
A R Rahman

‘জয় হো’ গানের সুরকারই নন অস্কার জয়ী রহমান! বিস্ফোরক দাবি রাম গোপালের

২০০৯ সালের অস্কার মঞ্চে সাড়া ফেলে দিয়েছিল 'স্লামডগ মিলিওনেয়ার' ছবিটি।

A R Rahman not compose Jai Ho song says Ram Gopal Varma
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:April 21, 2024 12:10 am
  • Updated:April 21, 2024 12:10 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০০৯ সালে অস্কার মঞ্চে ১০ বিভাগের মধ্যে ৮ টি পুরস্কার পেয়ে বিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছিল ‘স্লামডগ মিলিওনেয়ার’। ওই মঞ্চেই ‘জয় হো’ গানের জন্য সেরা সঙ্গীত পরিচালকের পুরস্কার পান ভারতীয় সঙ্গীত শিল্পী এ আর রহমান (AR Rahman)। এই গান নিয়েই এবার বিতর্ক চরমে উঠল। পরিচালক রাম গোপাল বর্মার দাবি, এআর রহমান নাকী ওই গানটির সুরকারই নন। গানটিতে সুর দিয়েছিলেন সুখবিন্দর সিং। যদিও রামগোপালের এমন দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন গায়ক সুখবিন্দর।

সুভাষ ঘাই পরিচালিত ‘যুবরাজ’ ছবির জন্য বানানো হয়েছিল ‘জয় হো’ গানটি। রাম গোপালের অভিযোগ,পরিচালকের থেকে টাকা নিয়ে সুখবিন্দর সিংকে দিয়ে সুর তৈরি করান রহমান। এই ঘটনায় রেগে গিয়ে সুভাষ ঘাই যুবরাজে ওই গান ব্যবহার করেননি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রাম গোপাল বর্মা জানান, সেই সময় লন্ডনে ছিলেন রহমান। সেখান থেকেই তিনি সুখবিন্দরকে নির্দেশ দেন জয় হো গানটিতে সুর দেওয়ার জন্য। সুভাষ ঘাই নাকী গানটির জন্য ভীষণ তাড়া দিচ্ছিলেন। তাই সুখবিন্দরের সাহায্য নেন রহমান। ‘যুবরাজ’ ছবিতে গানটি ব্যবহার না হলেও ২০০৮ সালের ছবি স্লামডগ মিলিয়নারে ওই সুর ব্যবহার করে অস্কার আসে রহমানের ঝুলিতে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মদের দাম না মিটিয়ে ক্লাবে ভাঙচুর! বিপাকে পরীমণি, আবার জেল?]

রাম গোপাল বর্মা বলেন, ৩ কোটি টাকা নিয়ে অন্যকে দিয়ে গান সুর করানোয় রহমানের উপর রীতিমতো ক্ষুব্ধ ছিলেন সুভাষ। সুভাষ ঘাইকে উদ্ধৃত করে সরকার ছবির পরিচালক বলেন, “তোমার সাহস ছিল না, আমার সামনে বলার? আমার যদি সুখবিন্দরকে লাগত, তা হলে আমিই ওকে দিয়ে কাজটা করাতাম। আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে সুখবিন্দরকে দিয়ে সুর করানোর অর্থ কী?” চূড়ান্ত অশান্তির কারণেই শেষ পর্যন্ত যুবরাজ থেকে বাদ পড়ে ‘জয় হো’ গানটি। তবে রহমানের বিরুদ্ধে এমন বিস্ফোরক অভিযোগ ওঠার পর এখনও এবিষয়ে মুখ খোলেননি পরিচালক সুভাষ ঘাই।

[আরও পড়ুন: সম্মোহনের শক্তি নিয়ে আসছে ‘নয়ন রহস্য’, ফেলুদার যত কাণ্ড গরমের ছুটিতে, দেখুন ট্রেলার]

যদিও গান নিয়ে প্রবল বিতর্কের মাঝে সুখবিন্দর বলেন, “এ আর রহমান গানটির সুর করেছেন, আমি শুধু গেয়েছি। রাম গোপাল বর্মাজি ইন্ডাস্ট্রির অনেক বড় নাম, তবে হয়ত তিনি ভুল শুনেছেন এই ব্যাপারে।” সুখবিন্দর আরও জানান, “গুলজার সাহেব এই গানটি লিখেছিলেন, রহমান এটি পছন্দ করেছিলেন। এর পর মুম্বইয়ের জুহুতে আমার স্টুডিওতে তিনি এই সুর রচনা করেন। তিনি সুভাষজিকে তা শুনিয়েছিলেন। আমি তখনও পর্যন্ত গানটি গাইনি।” সুখবিন্দরের দাবি, গানটি শোনার পর ‘যুবরাজ’ ছবির চরিত্রের সঙ্গে মিল না হওয়ায় গানটি বাতিল করেন সুভাষ ঘাই। তবে সেদিনই গানটি রেকর্ড করা হয়। এবং এ আর রহমানকে পাঠানো হয়। পরে যুবরাজের জন্য অন্য একটি গান সুভাষজিকে দেন রহমান।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement