সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এখন তাঁর জগৎজোড়া নাম। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও ছড়িয়েছে তাঁর নাম। কিন্তু একসময় বহুবার নিজের জীবন শেষ করে দেওয়ার কথাও ভেবেছিলেন এ আর রহমান। ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত এমন মনে হত তাঁর।
নিজের ‘অনুমোদিত’ জীবনী ‘নোটস অফ আ ড্রিম: অ্যান অথোরাইজড বায়োগ্রাফি অফ এ আর রহমান’-এর প্রকাশ অনুষ্ঠানে এমন সব অজানা তথ্যই ফাঁস করলেন অস্কার ও গ্র্যামি জয়ী এই সংগীত পরিচালক। রহমানের বাবাও ছিলেন মিউজিক কম্পোজার। নাম আর কে শেখর। রহমানের বয়স যখন ৯, তখন মৃত্যু হয় তাঁর বাবার। বাবাকে হারিয়ে সংকটে পরে রহমানের পরিবার। তাঁর সমস্ত বাদ্যযন্ত্র ভাড়া দিয়েই তখন দিন চলত তাঁদের। সুরের সঙ্গে রহমানের বাঁধন তখন থেকেই। কিন্তু, যত দিন যাচ্ছিল স্বাভাবিক আর সাধারণ জীবন যাপন এক ঘেঁয়ে হয়ে উঠছিল তাঁর কাছে। বাবার অভাব বোধও বড্ড বেশি প্রভাব ফেলেছিল তাঁর উপর। একটা সময় রহমানের মনে হতে শুরু করেছিল তাঁকে দিয়ে ভাল কিছু হবে না। একঘেয়ে জীবন বইতে না চাওয়া রহমান এরপরই বারবার আত্মহত্যার কথা ভাবতে শুরু করেন।
[ ‘ওর বিয়ে তো আমার কী?’ প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে এমনটাই বললেন শাহরুখ ]
তবে এই অবস্থা বদলায় রহমানের একটি সিদ্ধান্তের পর। টুক টাক সুর দেওয়ার কাজ চলছিলই। রহমান ঠিক করেন বাড়ির পিছন দিকের বাগানে নিজের স্টুডিও খুলবেন। সেখানেই পুরোদমে চলবে সংগীতের সুর দেওয়া আর সংগীত অনুষ্ঠান আয়োজন করার কাজ। আর এই একটি সিদ্ধান্তেই জীবন বদলে যায় রহমানের। রহমানের করা একটি বিজ্ঞাপনের জিঙ্গল শুনে ভাল লাগে পরিচালক মণিরত্নমের। এরপরই রোজা ছবির সংগীতের জন্য তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন মণিরত্নম। আর পিছনে তাকাতে হয়নি রহমানকে। ‘রোজা’-র গান গোটা বিশ্বের সংগীত প্রেমীদের নজর টেনে আনে চেন্নাইয়ের এই তরুণের উপর। ভাল কাজের সম্মান হিসাবে আসে জাতীয় পুরস্কারও।
[ বাজি ফাটানোর থেকেও আলো দিয়ে বাড়ি সাজাতে ভালবাসেন এই তারকারা ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.