Advertisement
Advertisement
Bangladesh

ভোটমুখী বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট, প্রকাশ্যে মার্কিন কংগ্রেস সদস্যদের বিতর্কিত চিঠি!

চিনের সঙ্গে ‘অতি সখ্যে’ প্রশ্নের মুখে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক!

USA Bangladesh Relations effect on forthcoming Bangladesh Election | Sangbad Pratidin
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:June 3, 2023 2:21 pm
  • Updated:June 3, 2023 2:24 pm  

বাংলাদেশে ভোট আসন্ন। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করা লক্ষ‌্য। কিন্তু যদি কেউ বাধা দেয়, দল এবং কর্তৃপক্ষের কাউকে যদি চিহ্নিত করা হয়, তবে তাদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগামী দিনে ভিসা দেবে না! মার্কিন ভিসা নীতিতে পরিবর্তন আসবে। লিখছেন জয়ন্ত ঘোষাল। 

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মনস্তত্ত্ব বিভাগের অধীনে ‘কেমব্রিজ সোশ্যাল ডিসিশন মেকিং ল্যাবরেটরি’। সংক্ষেপে ‘সোশ‌্যাল ল্যাব’। এই ল্যাবের অধিকর্তা এবং সামাজিক মনস্তত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক স্যান্ডার ভ‌্যান ডের লিন্ডেন সম্প্রতি একটি বই লিখেছেন। ‘ভুল তথ্য’ বা ‘মেকি তথ্য’, যাকে আমরা ‘ফেক নিউজ’ বলি, সেই অসত্যের বিরুদ্ধে কীভাবে জনসমাজে প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ‘ইমিউনিটি’ তৈরি করা যায়। বইটির নাম ‘ফুলপ্রুফ’ (Foolproof: Why we fall for misinformation and how to build Immunity)। এখানে তিনি বলছেন, কেমব্রিজের ল্যাবরেটরিতে এই বিষয়ে পড়ানো হয়, মানুষের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করার জন্য কী কী অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। রাজনৈতিক দুনিয়া এবং কর্পোরেট দুনিয়ায় এই অস্ত্রগুলি ব্যবহার করা হচ্ছে। বইটিতে একটি অধ্যায় আছে, নাম: ‘Weapons for Mass persuasion.’ ‘Weapons of mass destruction’-এর মতো। তিনি দেখিয়েছেন, নির্বাচনের আগে কীরকম সামাজিক ইনজেকশন দেওয়া বেড়ে যায়। মস্তিষ্ককে মোটিভেট করার জন্য ‘মিসইনফরমেশন প্যাথোজেন’ তৈরি করা নানারকমের ষড়যন্ত্রের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করা। সবথেকে বড় কথা একটা ‘illusory truth’ যেটাতে মানুষের মনে হবে যে, এটাই আসল ঘটনা। অথচ সেটা ‘ফ্যাক্ট’ নয়, ‘ফিকশন’।

Advertisement

বাংলাদেশের নির্বাচন আসন্ন। ২০২৪-এর জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশে ভোট হওয়ার কথা। ভোট যত এগিয়ে আসছে তত বাংলাদেশ হয়ে উঠছে অগ্নিগর্ভ। কিছুদিন আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে কয়েকজন মার্কিন কংগ্রেস সদস্যের একটি চিঠি লেখা নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড হয়ে গেল। চিঠিতে সাংসদদের দাবি, বাংলাদেশে ভোট আসছে, সেই ভোট শান্তিপূর্ণভাবে করতে হবে। তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। যদি এই অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে কেউ বাধা দেয়, দল ও কর্তৃপক্ষের কাউকে যদি চিহ্নিত করা হয়, তবে তাদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগামী দিনে ভিসা দেবে না। মার্কিন ভিসা নীতিতে পরিবর্তন আসবে। এই চিঠি কীভাবে ফাঁস হল! চিঠিটি বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে কোথা থেকে এল তা নিয়েও বিস্তর গবেষণা শুরু হয়ে গিয়েছে।

[আরও পড়ুন: ‘শতাব্দীর সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা’য় রেলের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ মমতা, ঘোষণা আর্থিক সাহায্যেরও]

বিখ্যাত ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ পত্রিকায় শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎকারভিত্তিক একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। প্রতিবেদনটির নাম: ‘দ‌্য আয়রন লেডি’। সেদিন বাংলাদেশের একজন সাংবাদিক জিজ্ঞেস করছিলেন, ‘আয়রন লেডি’ তো মার্গারেট থ্যাচারকে বলা হত। থ্যাচার যে সব বিষয়ে খুব প্রশংসিত চরিত্র ছিলেন, তা নয়। ভারতে ইন্দিরা গান্ধীকেও ‘আয়রন লেডি’ বলা হয়েছে। ইন্দিরা গান্ধীর ক্ষেত্রে সবসময় ‘লৌহ মানবী’ বিশেষণটা সদর্থকভাবে ব্যবহৃত হয়নি। ‘জরুরি ব্যবস্থা’ জারি করার জন্য তাঁকে অনেকে বলেছেন, তিনি
‘লৌহ মানবী’ বলেই ওরকম নির্মম সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছিলেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে কেন, তা নিয়েও বিচার-বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ‘দ্য ইকোনমিস্ট’-এর ওই প্রবন্ধের একটি জায়গায় লেখা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর সংবাদমাধ্যমে, এমনকী, ভারতেও নাকি এই প্রশ্ন উঠছে– বাংলাদেশ সরকার চিনের দিকে বেশি ঝুঁকছে, চিনের সঙ্গে বেশি বন্ধুত্ব করছে। চিনের সঙ্গে ‘অতি সখ্য’ ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ককেও প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড় করাচ্ছে।
যেভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে সন্দেহের চোখে দেখছে, তাতে একের-পর-এক সংবাদ এইভাবে প্রকাশিত হতে থাকলে আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্ট নতুন ভিসা পলিসি গ্রহণ করবে বলে হুমকি দিয়েছে। নতুন ভিসা নীতি দেখে বিএনপি-র কিছু নেতা বলতে শুরু করেছে, এটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর পাঠানো অ‌্যাটম বোমা। বাংলাদেশের নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণভাবে হয়, তারা কড়া নজর রাখবে। বিরোধী বিএনপি-র অভিযোগ, বাংলাদেশে আদতে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হচ্ছে না।

[আরও পড়ুন: ১৪ বছর আগে আরও এক ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’, ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস]

ভারতের নাক গলানো নিয়েও হাসিনা-বিরোধী শক্তি দীর্ঘদিন ধরে প্রশ্ন তুলছে। আওয়ামি লিগের কিছু নেতার বক্তব‌্য, নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে হতে বাধা দেওয়ার প্রধান কারিগর আসলে বিএনপি, আওয়ামি লিগ নয়। সে কারণে চিঠির মূল টার্গেট আসলে বিএনপি। আমেরিকার ভিসা নীতির প্রভাব কিন্তু এসে পড়বে বিএনপির উপরই। এই তুলকালাম পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশের রাজনীতির বিষয়ে উৎসাহ রাখি বলেই মনে হচ্ছে, যেন কেউ ষড়যন্ত্র করছে। বিষয়টির নেপথ্যে চিনের ভূমিকা কী তা প্রমাণসাপেক্ষ। অভিযোগ করা সোজা। এটাকে বলা হয় ‘গসিপ’। কিন্তু এই ‘illusory truth’ তৈরি করে ‘mass persuasion’-এর অস্ত্র হিসাবে সেই গুজবকে ব্যবহার করা যেতে পারে। তাতে ভারত এবং বাংলাদেশ কারওরই লাভ দেখছি না। এই মুহূর্তে দু’-দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মধুর ও সুরক্ষিত রাখা বড় বেশি জরুরি।

গত ১৭ মে পাঁচ মার্কিন সাংসদ মিলে আদৌ চিঠি দিলেন কি না তার কোনও কনফরমেশন স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে দেওয়া হয়নি। ফলে বাংলাদেশে যখন এই চিঠির কপি সংবাদমাধ‌্যমের দপ্তরে, তখন আওয়ামি লিগের দিক থেকেও পাল্টা প্রচার চালানো হয়, এটা বিএনপি-র তৈরি গুজব। এই গুজবে কান দেবেন না। এরপরও
প্রশ্ন থেকে যায়, এই চিঠি যদি পূর্বপরিকল্পিত হয় এবং এর নেপথ্যে যদি কোনও ক্ষুদ্র মানব-গোষ্ঠী সক্রিয় বলে মনে হয়, যা বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারকেও জানাচ্ছে, যার ফলে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ চলছে– এই অবস্থায় কাদের লাভ এবং কেন?

চিঠিতে একটি বিষয় খুব গুরুত্ব পেয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা খুব খারাপ অবস্থার মধ্যে আছে। তাদের উপর অত্যাচার হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে এই কয়েক বছরে প্রচুর সংখ্যালঘু হিন্দু ভারতে চলে এসেছে। ভারত সরকারও কিন্তু তাই মনে করে, কেননা, তথ্যভিত্তিক যে-রিপোর্ট ভারতের কাছে এসেছে তাতেও বলা হচ্ছে হিন্দু অত্যাচারিত হয়েছে, মানবাধিকার অনেক বেশি লঙ্ঘিত। সেটা কিন্তু হয়েছে বিএনপি-র ক্ষমতায় সময়।

যেমন, অটলবিহারী বাজপেয়ীর প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ব্রজেশ মিশ্রকে ঢাকায় ছুটে আসতে হয়েছিল দুর্গাপুজোর পর সাংঘাতিকভাবে গোলমাল ও সংখ্যালঘু মেয়েদের উপর নির্যাতনের ঘটনা ঘটার ফলে। বিজেপি এবং আরএসএসের চাপে অটলবিহারী বাজপেয়ী ব্রজেশ মিশ্রকে পাঠিয়ে ইস্যুটা খালেদার সঙ্গে উত্থাপন করেছিলেন। কিন্তু শেখ হাসিনা আসার পর সংখ্যালঘুদের সেরকম শোচনীয় অবস্থার মধ্যে কখনও পড়তে হয়নি। বরং সংখ্যালঘুদের উপর তাঁর ‘দরদ’ তীব্র, শেখ হাসিনা ‘হিন্দুপ্রেমী’ ও ‘ভারতপ্রেমী’– এরকম ছবি তৈরি করতে আগ্রহী কেউ কেউ। সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের নানারকম অসত্য তথ্য দিয়ে এমন একটি পরিবেশ তৈরি করার একটা চেষ্টা চলছে যাতে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে গোলমাল বেধে যায়।

[আরও পড়ুন: ‘মরণপুরীতে নবজন্ম’, ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ বাঁচলেও আতঙ্কে কাঁটা যাত্রী]

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর মধ্যেও চাপ সৃষ্টিকারী একটি গোষ্ঠী কাজ করছে যারা ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক কলুষিত করতে চায়। সবচেয়ে লাভবান এর ফলে যদি কেউ হয় তা হল চিন। কারণ চিন ভারতের সঙ্গে তার আক্রমণাত্মক মনোভাবে এখনও কোনও পরিবর্তন আনেনি। কিছুদিন আগে কাশ্মীরে ‘জি২০’-র পর্যটন বিষয়ে কমিটির যে-বৈঠক হয়, তাতেও চিন শামিল হয়নি।

এখানে আসল কথাটা মনে রাখতে হবে। পৃথিবীর সমস্ত দেশই সার্বভৌম রাষ্ট্র। তারা তাদের সার্বভৌমত্বের স্বার্থই শেষ পর্যন্ত দেখবে। বাংলাদেশে নির্বাচন হচ্ছে, সেই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে হবে, এবং না হলে ‘ভিসা নীতি’ কী নেওয়া হবে– এটা অন্য কোনও সার্বভৌম রাষ্ট্র কি বলতে পারে? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর নির্বাচনে রাশিয়ার পুতিনের কী ভূমিকা ছিল তা নিয়ে এখনও রাশিয়াকে কাঠগড়ায় দঁাড়াতে হয়। তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্ররও অন্য কোনও দেশের নির্বাচন নিয়ে দাদাগিরি করা অশোভন শুধু নয়, অনুচিত-ও। চিনের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা চুক্তি অনেক দিন আগে থেকেই আছে।

আসলে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর স্টেট ডিপার্টমেন্টের একাংশ ঐতিহাসিকভাবে একটু বেশি পাকিস্তান-ঘেঁষা। এমনই একজন অফিসার জন ডেনি লুই। ঢাকায় ডিসিএম ছিলেন। পাকিস্তানেও ছিলেন দীর্ঘদিন ‘পোস্টেড’। অবসর গ্রহণের পরে যে সমস্ত লেখা লেখেন, সেগুলোয় চিন এবং পাকিস্তানের কারণগুলো বেশি তুলে ধরা। ২০১৩। জন ডেনি লুই যখন বাংলাদেশের ডিসিএম, অ্যাম্বাসাডর ড‌্যান মোজেনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর বেশ কিছু অফিসারের প্রতিনিধি দলকে নিয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে যান। তখন শেখ হাসিনা রসিকতা করে অ্যাম্বাসাডর ড‌্যান মোজেনাকে বলেছিলেন, ‘আপনাকে তো আমরা বিএনপি-র স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য বলে মনে করে থাকি’। এই রসিকতাটি সেই সময় বাংলাদেশের বহু সংবাদপত্রে প্রকাশিত পর্যন্ত হয়েছিল।

ভুললে চলবে না, বাংলাদেশের যে বিদেশনীতি সেটা ‌‘বঙ্গবন্ধু’ মুজিবুর রহমান করে দিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে বলা আছে, সব দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল রাখা হবে। কারও সঙ্গেই সংঘাতে যাওয়া হবে না। দুটো ভিন্ন দেশের বিবাদের জন্য বাংলাদেশ তাদের নিজস্ব বিদেশনীতি প্রভাবিত হতে দেবে কেন? ভারত ঠিক এমনটাই তো করছে, কারণ আমেরিকার সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখেও তারা ন্যাটো-র সদস্য হয়নি। আবার, আমেরিকার অঙ্গুলিহেলনে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করেনি। ইউক্রেনের সঙ্গে বৈঠক করে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালনেরও চেষ্টা করছে। এই এক চশমা দিয়ে আমাদের বাংলাদেশকেও দেখতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর চশমা পরে বাংলাদেশকে কেন দেখব? বাংলাদেশের উচিত ভারতকে সেই রাজনৈতিক পরিসর দেওয়া যাতে বাংলাদেশ চিনের সঙ্গে সুসম্পর্ক রক্ষা করতে পারে, আবার ভারতের সঙ্গে তার যে ঐতিহাসিক মৈত্রী বা বন্ধুত্ব তাতে হেরফের না ঘটে।

[আরও পড়ুন: ‘উচ্চপর্যায়ের তদন্ত হবে, দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করবেন না’, মৃত্যুমিছিলের মাঝে আরজি রেলমন্ত্রীর]

বাংলাদেশে যখনই ভোট আসে তার আগে নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুসকে নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। হাসিনা সরকারের সঙ্গেও মহম্মদ ইউনুসের নানা বিষয়ে প্রকাশ্য বিবাদ দেখা দিয়েছে। আদালতে মহম্মদ ইউনুসের বিরুদ্ধে উপহার সামগ্রী নেওয়ার জন্য তাঁকে কর দিতে নির্দেশ দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, তিনি দেশের সামরিক সাহায্য নিয়ে রাষ্ট্রনায়ক হতে চেয়েছিলেন। শেখ হাসিনা এখনও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর
সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার চেষ্টায় রত। এটি পর্যায়ক্রমিক লড়াই। তাঁর সার্বভৌমত্ব সুরক্ষিত করার জন্য। এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ভারত সর্বশক্তি দিয়ে বাংলাদেশের মৈত্রীকে অটুট রাখুক– এটিই কাম্য।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement