Advertisement
Advertisement
Shyama sangeet

‘শ্যামা মায়ের চরণতল’… কালীপুজো অসম্পূর্ণ শ্যামাসঙ্গীত ছাড়া

বামাখ‌্যাপা, কমলাকান্ত ও রামপ্রসাদ, নজরুলদের লেখা গান অবিস্মরণীয় হয়ে রয়েছে।

Shyama Sangeet is an integral part of Kali Puja
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:October 31, 2024 4:06 pm
  • Updated:October 31, 2024 4:52 pm

উনবিংশ শতাব্দীতে কলকাতার জমিদার বাড়িগুলিতে কালীপুজোর প্রচলন হয়। রামকৃষ্ণদেব, বামাখ‌্যাপা, কমলাকান্ত ও রামপ্রসাদের জন্য বাংলায় কালীপুজো ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। কালীপুজোর অন্যতম আকর্ষণ শ‌্যামাসঙ্গীত। যার অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচয়িতা নজরুল ইসলাম। লিখছেন তন্ময় সিংহ

বছরের বিভিন্ন সময় কালীপুজো হলেও, এই সময়টায়, মানে দুর্গাপুজোর পরের অমাবস্যায়– মূলত প্রধান উৎসবটি হয়। দুর্গাপুজো তার ব্যাপকতা ও বিপুল খরচের কারণে কিছুদিন আগে পর্যন্ত মূলত কিছু বড় এলাকা নিয়ে হত। কিন্তু কালীপুজো হত ও হয় পাড়া কেন্দ্র করে। কালীপুজোকে ঘিরে এ-পাড়ার সঙ্গে ও-পাড়ার লড়াই ছিল দেখার মতো। বাঙালির সমস্ত মহাপুরুষ সাধক থেকে বিপ্লবীরা মা কালীর আরাধনায় বিভিন্ন সময় ব্রত থেকেছেন। রামপ্রসাদ, বামাখ‌্যাপা থেকে শুরু করে রামকৃষ্ণদেব– মা কালীর মহিমা সারা ভারতে বিশেষত সমস্ত বাঙালির মধ্যে প্রচার করেছেন। কলকাতা জুড়ে শ্যামা কালী আর কালো কালীর পুজোর এই ব্যাপক প্রচলনের জন্যই কবে রসিক জনেরা বলে গিয়েছে– ‘জয় কালী কলকাত্তাওয়ালি, জোরসে বোলো আর বাজাও তালি।’

Advertisement

অসীম শক্তির প্রতীক মা কালী, সেই শক্তিকে আবদ্ধ রাখার সাধ্য কোনও বস্ত্রের মধ্যে নেই, তাই তিনি দিগম্বরী। এই ত্রিনয়না দেবী মা কালী আসলে দেবী মহামায়ার চণ্ড রূপ। অসুর রক্তবীজের সেনাবাহিনীকে প্রচণ্ড যুদ্ধে পরাজিত করে, দেবতাদের স্বর্গরাজ্য ফিরিয়ে দিয়ে প্রচণ্ড বিজয় নৃত্য শুরু করেন মা কালী। তখন সৃষ্টি স্থিতিকে ধ্বংস হওয়ার হাত থেকে বঁাচাতে স্বয়ং মহাদেব শুয়ে পড়েন মা কালীর পায়ের নিচে। পায়ের নিচে স্বামীকে পড়ে থাকতে দেখে লজ্জিত হন দেবী এবং জিভ কাটেন তিনি। গলায় চারদিকে অসুরদের কাটা মুণ্ড-সহ এলোকেশী দিগম্বরীরূপে পায়ের নিচে শিবকে নিয়েই পূজিত হন বাংলায় মা কালী।

দেবী কালীর মোট আটটি রূপ থাকলেও, যেহেতু রামকৃষ্ণদেব কৃষ্ণকালীরূপে দেবীর আরাধনা করেছিলেন, তাই সারা বাংলায় এর ব্যাপক প্রসার আছে। কলকাতায় বড় কালী মন্দিরগুলির মধ্যে মা সতীর একান্ন পীঠের অন্যতম কালীঘাট। এখানে দেবীর চারটি আঙুল পড়েছিল এবং কালীপুজোর দিন দেবীর লক্ষ্মীরূপের আরাধনা করা হয়। অন্যদিকে, রানি রাসমণির প্রতিষ্ঠা করা ভবতারিণীর মন্দির অর্থাৎ দক্ষিণেশ্বরের কালীমন্দির ছিল রামকৃষ্ণদেবের লীলাক্ষেত্র। এছাড়াও বিখ্যাত কবিয়াল অ্যান্টনি ফিরিঙ্গির প্রতিষ্ঠা করা বউবাজারের কালী, বিখ্যাত তান্ত্রিক উদয়নারায়ণের প্রতিষ্ঠা করা ঠনঠনিয়া কালী এবং রঘু ডাকাতের প্রতিষ্ঠা করা কাশীপুরের কৃপাময়ী কালী মন্দির এবং চিত্তেশ্বর রায় অর্থাৎ, চিতু ডাকাতের চিৎপুরের চিত্তেশ্বরী কালী মন্দির, করুণাময়ী কালী মন্দির– এগুলি কলকাতার প্রাচীনতম পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম। এছাড়াও মা সতীর অন্যতম সতীপীঠ তারাপীঠকে নিয়ে সাধক বামাখ‌্যাপার আরাধনা বাংলা জুড়ে কালীপুজোর ব্যাপক প্রচলন করেছে। হালিশহরের সাধক রামপ্রসাদের কালী-সাধনা এবং তঁার শ্যামাসঙ্গীতগুলি আমাদের এখনও মুগ্ধ করে। বাঙালিদের কালী‌পুজোর ইতিহাস জানতে গেলে আমাদের পিছিয়ে যেতে হয় নবদ্বীপের তান্ত্রিক কৃষ্ণানন্দর সময়ে, যিনি প্রথম প্রতিমা তৈরি করে কালীপুজো করেন। তার আগে আম্রপটে কালীপুজো হত। এই অষ্টাদশ শতকেই নদিয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় কালীপুজোকে জনপ্রিয়তা দেন। উনবিংশ শতাব্দীতে কলকাতার বড় বড় জমিদার বাড়িতে কালীপুজোর প্রচলন হয় এবং সাধক রামকৃষ্ণদেব, বামাখ‌্যাপা, কমলাকান্ত ও রামপ্রসাদের জন্য বাংলায় কালীপুজো ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।

মন রে কৃষিকাজ জানো না।
এমন মানবজমিন রইল পতিত, আবাদ করলে ফলত সোনা।

কালী নামে দেওরে বেড়া, ফসলে তছরুপ হবে না।
সে যে মুক্তকেশীর (মন রে আমার) শক্ত বেড়া, তার কাছেতে যম ঘেঁষে না।

সাধক রামপ্রসাদ আর তঁার শ্যামাসঙ্গীত বাংলার কালীপুজোর ইতিহাসে একটি স্মরণীয় ঘটনা। তান্ত্রিক ও ডাকাতদের পূজিত দেবীকে বাংলার ঘরে-ঘরে মা ও মেয়ে-রূপে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এই শ্যামাসঙ্গীতগুলির ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। রঘু ডাকাতের নরবলি দিতে গিয়ে রামপ্রসাদের জায়গায় মা কালীকে দেখা এবং তার জীবন ভক্তিপথে পরিবর্তিত হওয়া রামপ্রসাদের মহিমার অন্যতম কীর্তি। হিসাবের খাতায় শ্যামাসঙ্গীত লেখা রামপ্রসাদ নিজের গ্রামে ফিরে এসে পঞ্চমুণ্ডের আসনে দেবীর সাধনা করে দর্শন পান। তিনি মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র, নবাব সিরাজদৌল্লা-সহ সকলকে মুগ্ধ করেছিলেন বলে শোনা যায়। মা কালীকে গঙ্গায় বিসর্জন দিতে গিয়ে তঁার সঙ্গে গঙ্গায় তলিয়ে যাওয়া রামপ্রসাদের শ্যামাসংগীতগুলি আজও কালীপুজোর অন্যতম আকর্ষণ হিসাবে আপামর বাঙালিকে মুগ্ধ করে।

মানুষই দেবতা গড়ে তাহারই কৃপার পরে করে দেব মহিমা নির্ভর।

আমাদের জীবনে আমরা সবসময়ই মহিমান্বিত আরাধ্যদের আরাধনা করতে ভালবাসি। সবসময় মনে হয় তঁাদের আশীর্বাদ আমাদের জীবনে মঙ্গল নিয়ে আসবে। সাধক বামাখ‌্যাপা তারাপীঠের মা তারাকে নিয়ে আরাধনা করেছিলেন। তারাপীঠের মহাশ্মশানে কখনও বামাচরণ জ্বলন্ত চিতার কাছে বসে থাকতেন, কখনও বাতাসে কথা বলতেন, গ্রামের সাধারণ মানুষ মনে করত খ‌্যাপা আস্তে-আস্তে তার নাম বামাচরণ থেকে হয়ে যায় বামাখ‌্যাপা। প্রচলিত ধ্যানধারণার বাইরে মায়ের পুজো করার জন্য তঁাকে তৎকালীন পুরোহিত সমাজের বিরোধিতার মুখে পড়তে হয়েছিল। কিন্তু মায়ের অপার মহিমা এবং বারবার তঁার ডাকে আবির্ভূত হয়ে সেখানকার রানিকে নির্দেশ দিয়ে, তিনি বামাকে স্বাধীন করেছিলেন তঁার পুজো করার জন্য। বামাখ‌্যাপা কখনও মায়ের প্রসাদ নিজে খেয়ে, কখনও আবার মায়ের মালা নিজে পরে আরাধনা করতেন এবং তঁারই মহিমায়‌ দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে তারাপীঠের কথা। আজও, মৃত্যুর ১০০ বছর পরেও, তারাপীঠে বছরে কোটি
কোটি মানুষের সমাগম হয় এবং এই তীর্থক্ষেত্রটি মহিমান্বিত হয়ে আছে সাধক বামাখ‌্যাপার সঙ্গে। যদি তুমি মনের মধ্যে অহংকারের কালো মেঘ পুষে রাখো, স্বয়ং ঈশ্বরও আলোর পথ দেখাতে পারবে না।

ওই সময়ই হুগলির কামারপুকুর থেকে কলকাতায় এসে পৌঁছন বিখ্যাত সাধক রামকৃষ্ণদেব। জাগতিক শিক্ষায় তঁার কোনও আগ্রহ না থাকলেও সাধন মার্গে তঁার ছিল অপার ভক্তি। মাত্র ১৯ বছর বয়সে দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরের পূজারি নিযুক্ত হয়ে তিনি দীক্ষিত হন। গদাধরের নাম বদলে হয়ে যায় সাধক রামকৃষ্ণ পরমহংস। প্রচলিত পথের পরিবর্তে তিনি তঁার মতো করে দেবীর পুজো করতে থাকেন। দেবীর সঙ্গে তঁার সাক্ষাতের কথা লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে এবং জীবদ্দশায় তিনি সাক্ষাৎ কিংবদন্তিতে পরিণত হন। অল্প দিনের মধ্যেই প্রচলিত ধর্মীয় পথ ছেড়ে তিনি সহজে মানুষের কাছে প্রচার করতে থাকেন দেবীর মাহাত্ম্য। স্ত্রী সারদা দেবীকে তিনি আধ্যাত্মিক জ্ঞান দান করেন এবং জগদম্বারূপে পুজো করেন। সরল সাধারণভাবে ধর্মকে সাধারণ মানুষের কাছে ব্যাখ্যা করার জন্য তিনি ‘লোকগুরু’ হিসাবে বিখ্যাত হন। নাটকের জগৎ থেকে ধর্মীয় জগৎ এবং স্বামী বিবেকানন্দর মতো বিখ্যাত শিষ্যদের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক জগতে তিনি হিন্দুধর্মকে নতুন দিশা দেখান। ‘যত মত তত পথ’– মা কালীর সাধকের অন্যতম সহজ জীবনযাপনের উপাদান আজও আমাদের পথ দেখায়।

সবে মাত্র তুমি যন্ত্রী, আমরা তোমার তন্ত্রে চলি।
তুমি যেমন নাচাও তেমনি নাচি, যেমন বলাও তেমনি বলি।

পাঠান্তর: সবে মাত্র তুমি যন্ত্রী, যন্ত্র আমরা তন্ত্রে চলি।
তুমি যেমন রাখো তেমনি থাকি, যেমন বলাও তেমনি বলি।

মৃন্ময়ী কালীমূর্তিতে বেল কঁাটা দেওয়ার সঙ্গে-সঙ্গেই রক্ত বেরতে দেখিয়েছিলেন সাধক কমলাকান্ত। বর্ধমানের বোরহাটের মন্দির সেই থেকেই ‘কমলাকান্তের কালী মন্দির’ নামে প্রসিদ্ধ হয়ে আছে। কথিত আছে মৃত্যুর আগে গঙ্গা দেখতে চান বলে মাটি খুঁড়ে বেরিয়ে এসেছিল গঙ্গার জল। সেই জল এখনও বাধা আছে এই কালীবাড়িতে। রাজাকে সুরাপাত্র থেকে ঢেলে দুধপান করার কথা এবং অমাবস্যায় স্নান দেখানোর কথাও প্রচলিত আছে এই সাধক কমলাকান্ত এবং মন্দিরটিকে ঘিরে।

কলকাতার পাথুরিয়াঘাটার বিখ্যাত কালীবাড়ি, যেখানে সাবেকি মেজাজে এখনও দেবীর আরাধনা হয়ে আসছে। এই পুজোর উদ্যোক্তা ও প্রথম সভাপতি ছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস। বাঙালি বিপ্লবীদের আনাগোনা এবং গোপন মিটিংয়ের জায়গা ছিল এই কালীবাড়ির ব্যায়াম সমিতি। ইংরেজ বাজারে পতিত হয় দশভুজা কালী, ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য দেবীর শক্তিরূপের আরাধনা করেন বিপ্লবী কমলকৃষ্ণ চৌধুরী। পুরুলিয়ার ঝালদার শিলফোড় পাহাড়ের কালী আরাধনার সঙ্গেও জড়িত আছে বিপ্লবীদের ইতিহাস। আবার বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কথা শোনা যায় মেদিনীপুর শহরের কর্নেলগোলার কালী মন্দিরের। এই শহরের লালদিঘির কেওড়াতলা কালীমন্দির বিপ্লবীদের চারণভূমি ছিল। মা কালীর পুজোর মাধ্যমে শৌর্য, সাধনা ও বীরত্বের পাঠ নেয় অগ্নিযুগের বিপ্লবী থেকে একবিংশ শতাব্দীর সামাজিক মাধ্যমে থাকতে অভ্যস্ত বাঙালি। পুজোর উপচার ও উৎসবে যুক্ত হয়েছে হরেক নতুনত্ব।

সাধনার পাশাপাশি আমরা দেখতে পাই এখনকার দিনে কালীপুজোকে ঘিরে মূলত আলো এবং বাজির রোশনাই। বর্তমান পশ্চিমবঙ্গে কালীপুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য বাজি। যদিও আমরা উনবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত কালীপুজো উপলক্ষে বাজির ব্যবহার বা বাংলা জীবনে বাজির ব্যবহারের খুব একটা ব্যবহার দেখা যায় না। বাজির প্রদর্শনের দিকে মূলত বাঙালির ঝেঁাক আসে কালীপুজোর সঙ্গে আলোর সম্পর্কের জন্যই। বুড়িমার চকোলেট বোমা ফাটায়নি এমন বাঙালি সত্যিকারের বিরল। তবে পরিবেশ দূষণ ও বিভিন্ন কারণে শব্দবাজি ছেড়ে সবুজ বাজিতে নজর হুজুগে বাঙালির। কালীপুজোর সঙ্গে পঁাঠাবলি, পটকা ফাটানো, আর মদ্যপানের কোনও শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যা নেই। তবে অনেক সময় মাংসাহার নিয়ন্ত্রণের জন্য এই পঁাঠাবলি প্রথা চালু হয়েছে বলে অনেকে ব্যাখ্যা করেন। তবে মূলত ভোজনবিলাসী, আওয়াজসর্বস্ব বাবুরা নিজ গরজে এমন প্রথা চালু করেছেন বলে মনে হয়। তবে কালীপুজোর সঙ্গে জবা ফুলের সম্পর্ক গভীর। মা কালী স্বয়ং শক্তির প্রতীক এবং জবার লাল রং শক্তি ও শৌর্যের প্রতীক। তাই কালীপুজো জবা ফুল ছাড়া হয় না।

বল রে জবা বল
কোন সাধনায় পেলি শ্যামা মায়ের চরণতল।

এই শ্যামাসঙ্গীতের রচয়িতা কোনও হিন্দু মহাপুরুষ কিংবা সাধক নন। এরকম অসংখ্য শ্যামাসঙ্গীত রচনা করেছিলেন নজরুল ইসলাম। মা কালীর পুজোতে শুধুমাত্র যে হিন্দু ধর্মের মানুষ আকৃষ্ট হয়েছিলেন তা নয়, মুসলমান সমাজের মধ্যেও মা কালীর প্রভাব আমরা দেখতে পাই। মুসলমানদের সুফি সাধকদের মধ্যেও কালীপুজোর ব্যাপক প্রভাব আমরা দেখতে পাই, যেমন পাভাগড়ে সাদন শাহ এবং ইটাওয়াতে সৈয়দ বাবার মাজার। ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গর সময় কালীঘাটে কালী মায়ের সামনে স্বদেশি আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার শপথ নেওয়া হাজার-হাজার মানুষ তৎকালীন ইংরেজ ভাইসরয় লর্ড কার্জনকে ভীত করেছিল। পাশ্চাত্য বিভিন্ন দেশে আমরা তাই কালীপুজোর ভয়াল রূপটি দেখতে পাই। দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া জুড়ে কালীপুজোর প্রভাব আছে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে কালীপুজো ও তন্ত্র সাধনা হয়। কিন্তু তারপরেও পশ্চিমবঙ্গের কালীপুজো বিশ্বে অনন্য। শহর কলকাতায় নামে দর্শনার্থীর ঢল। ‘কালী কলকাত্তাওয়ালি’-র নানা অবতারেরই যে দেশজোড়া খ্যাতি!

(মতামত নিজস্ব)

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement