সিন্ধু, সাক্ষী এবং ত্রিপুরার বাঙালি কন্যা দীপা ভারতীয় সমাজে নারী-বিদ্বেষের বিরুে ব্যাপক প্রচারের মস্ত বড় হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে৷ সযত্নে লালন করলে, যথার্থ ও যথেষ্ট সুযোগ করে দিতে পারলে আপনার মেয়েও একদিন এমন জায়গায় পৌঁছতে পারে, যা শুধু আপনাদের পরিবার নয়, সকলের মুখে হাসি ফোটাতে পারে৷
অঞ্জন বসু: ওলিম্পিকের মতো আন্তর্জাতিক আসরে এবার যেভাবে মেয়েরা দেশের মান রাখল এবং তা দেখে উদ্বেল হয়ে উঠল কোটি কোটি মানুষ, তারপর অন্তত নারীশক্তির ওপর ভরসা রাখতে শিখুক ভারত৷ বড় বিচিত্র আমাদের দেশ এবং বৈপরীত্যে ভরা–একদিকে যখন বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে চূড়ান্ত পারদর্শিতা দেখিয়ে দেশের মুখরক্ষা শুধু নয়, মুখ উজ্জ্বল করতে এগিয়ে আসছে মেয়েরা, যুদ্ধবিমান চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে দুঃসাহসী মেয়েদের, এভারেস্টের শিখরে অভিযান করছে তারা–কবে সেই তিন দশক আগে বিপদসংকুল আণ্টার্কটিকায় সফর করেছে বাঙালি কন্যা, পশ্চিমের দেশ থেকে মহাকাশেও গিয়েছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত তরুণী, তখনই অন্যদিকে ভবিষ্যতের বিপদ ও বোঝাস্বরূপ ভেবে কত কন্যাভ্রূণ যে হত্যা করা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, তার কোনও নির্দিষ্ট হিসাব বোধ হয় কারও কাছে নেই৷ ভবিষ্যতের কত সম্ভাবনা, কত প্রতিভাকে যে আমরা শুধুমাত্র অজ্ঞানতা ও সংস্কারের বশে খুন করছি প্রতিদিন, তা আমরাও জানি না৷
সিন্ধু, সাক্ষী এবং ত্রিপুরার বাঙালি কন্যা দীপাও ভারতীয় সমাজের একটা অংশের মধ্যে এখনও লুকিয়ে থাকা নারী-বিদ্বেষের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচারের মস্ত বড় হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে৷ ওদের দেখিয়ে বলা যেতে পারে, সযত্নে লালন করলে, যথার্থ ও যথেষ্ট সুযোগ করে দিতে পারলে আপনার মেয়েও একদিন এমন জায়গায় পৌঁছতে পারে, যা শুধু আপনাদের পরিবার নয়, সকলের মুখে হাসি ফোটাতে পারে৷ শুধু ছেলেরাই সব পারে, মেয়েরা নয়–এইরকম দীর্ঘদিন লালিত একটা ভ্রান্ত ধারণাকে এবার সকলের চোখের সামনে ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে ভারতের তিন প্রান্তের ওই তিন কন্যা৷ ওরাই নতুন প্রজন্মের ভারতীয় নারীর যথার্থ বিজ্ঞাপন হয়ে উঠতে পারে–ক্রীড়া জগতের ঊর্ধ্বে উঠে সর্বত্র, সর্ব বিষয়ে৷ যে দৃঢ়তা নিয়ে ওরা লড়াই করেছে, তা তো প্রয়োজন জীবনের সর্বক্ষেত্রেই৷
এবার ওলিম্পিকের আসরে ভারতীয় মেয়েদের এই ভূমিকা দেখে একটা কথা বলতে খুব ইচ্ছে করছে–তা হল, আমরা সচরাচর তেমন কোনও ঘটনা প্রসঙ্গে যে বলে থাকি–‘মেয়েরাও পারে’–সেই কথাটা পাল্টে এবার থেকে বলা শুরু হোক, ‘হ্যাঁ, মেয়েরাই পারে’৷ এই কথাটা মুখে মুখে চালু না হওয়া পর্যন্ত বোধ হয় কন্যাসন্তানের গুরুত্বটা সমাজের সর্বস্তরে সকলের মর্মে সঠিকভাবে পৌঁছবে না৷ কিন্ত্ত এই গুরুত্বটা সম্যকভাবে না বোঝা বা বোঝানো পর্যন্ত দেশের সকল কন্যাসন্তানকে নিরাপদে রক্ষা করাও সম্ভব হবে না৷
পরিসংখ্যান কিন্তু আমাদের ক্রমেই বার্তা দিয়ে চলেছে যে, এদেশে এখনও সকল কন্যাসন্তান সমানভাবে নিরাপদ নয়৷ যত দিন গড়াচ্ছে, এই বিশ্ব যত আধুনিক হয়ে উঠছে সর্ব অর্থে, আমাদের সমাজের একটা অংশের মধ্যে কন্যাসন্তান যেন ততই বিপন্ন্ হয়ে উঠছে৷ কোথাও আধুনিক প্রযুক্তির সহযোগিতায় জন্মের আগেই লিঙ্গ নির্ধারণ করে তাদের হত্যা করা হচ্ছে, অথবা জন্মের পর খুন করা হচ্ছে শিশুকে, আরও নিষ্ঠুরভাবে৷ নিঃশব্দে ক্ষমাহীন এক অপরাধ হয়ে চলেছে ভারতীয় সমাজের একটা অংশের মধ্যে, আইন করেও যার কোনও সমাধান করা সম্ভব হয়ে উঠছে না৷ এবং বোধ হয় হবেও না, যদি না ভারতীয় সমাজের ওই অংশের মানুষজনের মানসিকতার বদল ঘটানো যায়, যা বেশ খানিকটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার এবং দুরূহও বটে৷
সমস্ত প্রাণীজগতে নারী ও পুরুষের সংখ্যায় একটা ভারসাম্য রক্ষা করে চলাই সৃষ্টিকর্তা প্রকৃতির চিরকালীন রীতি৷ মানবসমাজে সেই ভারসাম্য সাধারণত নষ্ট হয়ে যায় বহির্জগতের অযাচিত হস্তক্ষেপে, যার মূলে রয়েছে এমন কিছু সামাজিক ব্যাধি, যা বহু যুগ ধরে নিঃশব্দে বহু পরিবারের ক্ষতির কারণ হয়ে রয়েছে৷ ওই ব্যাধির যথার্থ নিবারণ না করে শুধু ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ স্লোগান তুলে এই সমস্যার সমাধান কখনও সম্ভব নয়৷
আসলে আমাদের যেতে হবে সমস্যার আরও একটু গভীরে, যেখানে জড়িয়ে রয়েছে পারিবারিক স্বার্থ, পারিবারিক অর্থনীতির নানা অঙ্ক৷ কন্যাসন্তানের অর্থই পরিবারের ওপর তার বিবাহের বোঝা, পণের দাবি মেটানো থেকে আনুষঙ্গিক সহস্র রকমের ব্যয়বহন–জমিজমা, ঘটিবাটি বিক্রি করে হলেও৷ এই অর্থচিন্তাই কন্যাসন্তানের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অনর্থ ঘটিয়ে চলেছে৷ প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ধারাবাহিকভাবে বয়ে আসা এই অনর্থ থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে না পারলে কন্যাসন্তানের জীবনের নিশ্চিত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করাও সম্ভব হবে না৷ পুত্র না কন্যা–এই চিন্তায় বিপন্ন প্রায়শই সন্তানসম্ভবা মায়েরাও পুত্রসন্তানের জন্ম দিলে তিনি ‘সৌভাগ্যবতী’ আর কন্যাসন্তান হলে ‘হতভাগী’–এইরকম এক কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানসিকতাকে সমূলে উত্পাটিত করতে না পারলে এই লক্ষ্যে বেশি দূর এগনোও যাবে না৷ তাই কন্যাভ্রূণ হত্যা নিবারক আইনের [Pre Conception and Pre-Natal Diagnostic Techniques Act—P.C.P.N.D.T.A, 1994] পাশাপাশি পণপ্রথা নিবারণেও কঠোর আইন ও তার যথাযথ প্রয়োগ প্রয়োজন৷ তার আগে অবশ্য প্রয়োজন এই বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা তৈরির জন্য ব্যাপক প্রচারাভিযান, সম্ভব হলে আন্দোলনও, যার যথেষ্ট অভাব এখন রয়েছে৷
আমাদের দেশে নারী ও পুরুষের সংখ্যাগত ভারসাম্য যে বেশ কয়েকটি রাজ্যে ইতিমধ্যেই বিপজ্জনক জায়গায় চলে গিয়েছে, ২০১১ সালের জনগণনার তথ্যেই তা স্পষ্ট হয়ে রয়েছে৷ স্বাধীনতার সময় কিন্তু মোটামুটি পরিস্থিতি স্বাভাবিকই ছিল৷ প্রকৃতিগতভাবে যে ভারসাম্য তৈরি হয়, তাকে নষ্ট করার ‘অমানবিক’ প্রক্রিয়া তখনও ছিল না, চিকিৎসাশাস্ত্রে সেই প্রযুক্তিও তখন আসেনি৷ অর্থনৈতিকভাবে যত চাপেরই সৃষ্টি হোক না কেন, মানুষও সেই যুগে এতটা ‘অমানুষ’ হয়ে ওঠেনি৷ ছয়ের দশক পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল৷ যেমন, ১৯৬১ সালের পরিসংখ্যান বলছে, সেইসময় ১০০ নারীর অনুপাতে পুরুষের সংখ্যা ছিল ১০২.৪–যাকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে স্বাভাবিক বলেই ধরে নেওয়া যায়৷ কিন্তু এই ভারসাম্যটা নষ্ট হতে দেখা যায় সাত-আটের দশক থেকে৷ ১৯৮১ সালে ১০০ নারীর অনুপাতে পুরুষ ১০৪.২, তার বিশ বছর বাদে ২০০১ সালে ১০০ অনুপাতে ১০৭.৫ এবং ২০১১-র জনগণনায় এই অনুপাত দাঁড়ায় ১০০-এ ১০৮.৯৷ ধীরে ধীরে পুরুষের সংখ্যা বাড়ছে, কমছে নারী৷ ভারতে হাজার পুরুষে এখন নারী ৯৪৩৷
পাঁচবছর আগের আদমশুমার অনুযায়ী কেরল ও পণ্ডিচেরি বাদে দেশের আর সমস্ত রাজ্যেই পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা কম৷ কেরলে অনুপাত ১০০০ পুরুষে ১০৮৪, আর পণ্ডিচেরিতে ১০০০-এ ১০৩৭ নারী৷ তামিলনাড়ুতে ৯৯৬, অন্ধ্রপ্রদেশে ৯৯৩, কর্নাটকে ৯৭৩৷ দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলোতে পরিস্থিতি তবু অনেকটা ভদ্রস্থ, ব্যবধান খুব বেশি নয়, ভারসাম্য রয়েছে যথেষ্ট৷ অন্য রাজ্যগুলোর মধ্যে একমাত্র মধ্য ভারতের ছত্তিশগড় ভাল জায়গায় রয়েছে–হাজার পুরুষে ৯৯১ নারী৷ আর তার কাছাকাছি রয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারতের মেঘালয় (৯৮৯), আর মণিপুর (৯৮৫)৷ শিলং পাহাড়ের মেঘালয় রাজ্যে গারো, খাসি উপজাতিদের মধ্যে এখনও রয়েছে মাতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থা৷ তাই তাকে একটু ব্যতিক্রমীই বলতে হবে৷
পশ্চিমবঙ্গের স্থান ভারতের মধ্যে ষোড়শ৷ এখানে হাজার পুরুষে ৯৫০ নারী–এইরকম তথ্যই রয়েছে জনগণনা সমীক্ষায়৷ অসম (৯৫৮), ত্রিপুরাও (৯৬০) রয়েছে আমাদের রাজ্যের ওপরে৷ সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হরিয়ানায় (৯৭৭), যে রাজ্য থেকে সাক্ষী নামক তরুণী গোটা সমাজের শাসানিকে অগ্রাহ্য করে, উপেক্ষা করে নিজ লক্ষ্যে স্থির থেকে এবার ওলিম্পিক পদক অর্জন করেছে৷ এখন তাকে নিয়ে ওই রাজ্যে অনেক কাণ্ড চলছে৷ কিন্তু নারীর প্রতি অবিচার, কন্যাভ্রূণ হত্যা, খাপ-পঞ্চায়েতের ফতোয়া ইত্যাদিতে সবার শীর্ষে রয়েছে হরিয়ানা৷
এই বিষয়ে একটা সাধারণ ধারণা চালু রয়েছে যে, যথাযথ শিক্ষার অভাবই বোধ হয় এইরকম অসংগতি বা ভারসাম্যহীনতার কারণ৷ কিন্ত্ত বাস্তব চিত্র সম্পূর্ণ অন্যরকম তথ্য আমাদের সামনে হাজির করছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে ভারতে গ্রামাঞ্চলের তুলনায় শহরাঞ্চলেই কন্যাভ্রূণ হত্যার ঘটনা বেশি৷ তার একটা কারণ অবশ্য শহরেই তুলনায় উন্ন্ত চিকিৎসা-বিজ্ঞানের সুযোগ নিয়ে সন্তানজন্মের আগেই তার লিঙ্গ নির্ধারণ বা শনাক্ত করা সম্ভব৷ বেআইনি হলেও এই কাজ এখনও ব্যাপকভাবে চলছে শহরাঞ্চলে এবং তার ফল ক্রমেই ভয়ংকর হয়ে উঠছে৷ এখানে দু’টি উদাহরণ অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক৷ একটি আমাদের রাজধানী শহর দিল্লি এবং অন্যটি হরিয়ানা-পাঞ্জাবের যৌথ রাজধানী কেন্দ্রশাসিত চণ্ডীগড়৷ দিল্লিতে পুরুষ ও নারীর অনুপাত হাজারে ৯৬৮ এবং চণ্ডীগড়ে আরও কম, ৯১৮ মাত্র৷ অস্বাভাবিক কোনও প্রক্রিয়া আরোপিত না হলে এমন পরিস্থিতি কখনও সম্ভব হতে পারে না৷ কিন্ত্ত এই অবস্হার প্রতিকার কী, মোকাবিলাই বা করা যায় কীভাবে, সেই বিষয়ে কোনও স্পষ্ট দিশা আমাদের সামনে এখনও নেই৷
ভয়ংকর অমানবিক এক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এই দেশে কত শক্তি বিনষ্ট হয়ে চলেছে, কত অজানা প্রতিভা চিরতরে হারিয়ে যাচ্ছে, ভাবতে বসলে ভীষণ ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে মন৷ এইসব দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার সঙ্গে এক গভীর সামাজিক সংকটের আশঙ্কাও কিন্ত্ত তৈরি হচ্ছে আমাদের সমাজে৷ একটা সময় আসতে পারে, যখন কিছু রাজ্যে অনেক পুরুষ বিবাহযোগ্য কন্যাই খুঁজে পাবে না৷ এখনও তো সকলের যত মাথাব্যথা মেয়ের বিয়ে নিয়ে৷ পাত্র পাওয়া যাবে কী যাবে না! কিন্ত্ত এমন চললে এই পরিস্হিতি উল্টে যেতে আর খুব বেশি সময় বোধ হয় লাগবে না৷ চিন্তার বিষয় তো বটেই৷ আমাদের পশ্চিমবঙ্গে যেমন, হাজারে ৫০ নারী ঘাটতি হলে নয় কোটিতে সংখ্যাটা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, একবার হিসেব কষে দেখুন তো!
অথচ আমাদের এই দেশে রাজনীতি থেকে শুরু করে জীবনের প্রায় সর্বক্ষেত্রে নারীশক্তির অবাধ বিচরণ আমরা দেখেছি বহু বছর ধরে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো সর্বশক্তিমান দেশে এবারই প্রথম একজন নারী শীর্ষ রাষ্ট্রীয় পদের জন্য নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছেন৷ তিনি জিতে মার্কিন রাষ্ট্রপতি পদে অভিষিক্ত হওয়ার সুযোগ পাবেন কি না, তা জানতে আরও অন্তত মাস আড়াই অপেক্ষা করতে হবে৷ ইংল্যান্ডে সেই মার্গারেট থ্যাচারের পর এতদিন বাদে এসেছেন একজন মহিলা প্রধানমন্ত্রী৷ জার্মানিতে এই প্রথম একজন মহিলা চ্যান্সেলর গত কয়েক বছর ধরে সরকার চালাচেছন৷ চিন-রাশিয়ার মতো দেশে আজ পর্যন্ত কোনও মহিলার ভাগ্যে এই সুযোগই হয়নি৷ কিন্ত্ত ভারতে ঠিক পাঁচদশক আগে (১৯৬৬) ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী পদে বসে অন্তত দেড় দশক (’৬৬-’৭৭ এবং ’৮০-’৮৪–মোট ১৫ বছর) দোর্দণ্ডপ্রতাপে দেশ পরিচালনা করেছেন৷ রাজ্যে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদেও এসেছেন অনেক মহিলা৷ সুচেতা কৃপালিনী, নন্দিনী শতপথি, আনোয়ারা তৈমুর থেকে শীলা দীক্ষিত, মায়াবতী, জয়ললিতা, বসুন্ধরা রাজে, আনন্দী বেন, মেহবুবা মুফতি এবং আমাদের পশ্চিমবঙ্গের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ অনেক বছর আগে, সেই পাঁচের দশকে আমাদের রাজ্যে রাজ্যপালও হয়েছিলেন এক মহিলা, সরোজিনী নাইডু-কন্যা পদ্মজা৷ কী আশ্চর্য, তবু ভারতীয় সমাজের একটা বড় অংশের এখনও ভরসা নেই কন্যাসন্তানের ওপর৷ কন্যাসন্তান তাদের কাছে ‘অবাঞ্ছিত’৷
এই মানসিকতার মানুষদের ভ্রান্তি নিরসনে ভারতের নারীশক্তি রক্ষা ও তার বিকাশে এখন সত্যিই নতুন করে লড়াই শুরু করা প্রয়োজন৷ এই লড়াইয়ে মস্ত বড় হাতিয়ার হতে পারে সিন্ধু-সাক্ষী-র ওলিম্পিক সাফল্য এবং দীপা-র চমকপ্রদ কীর্তি৷ ছেলেরা যা পারেনি, তা তো ওরাই করে দেখিয়েছে! এখন ওরাই হোক ভারতীয় নারীর সেরা বিজ্ঞাপন৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.