Advertisement
Advertisement
Medicine Price

কোন ওষুধে সারবে এই রোগ?

রাজনৈতিক দলগুলি ওষুধের কোম্পানিগুলির লভ্যংশের সিংহভাগ খেয়ে নিচ্ছে বলেই বাড়ছে ওষুধের দাম?

Medicine price hike in India
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:March 31, 2024 3:28 pm
  • Updated:March 31, 2024 3:33 pm  

যে কোনও মধ‌্যবিত্ত পরিবার জানে, বিগত কয়েক মাসে কী হারে ওষুধের দাম বেড়েছে। ইলেক্টোরাল বন্ড এবং অরবিন্দ ফার্মার ঘটনাগুলি মন দিয়ে লক্ষ করলেই বোঝা যাবে, রাজনৈতিক দলগুলিই ওষুধ কোম্পানিগুলির লভ‌্যাংশের সিংহভাগ খেয়ে নিচ্ছে বলেই সেই ক্ষতি কোম্পানিগুলি ওষুধের দামের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। লিখছেন অভিজিৎ তরফদার। 

দিন তিনেক আগে প্রকাশিত একটি সংবাদসূত্র অনুসারে কেন্দ্রীয় ‘ওষুধ মূল‌্যমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা’ (Central Drug Standards Control Organization) ‘CDSCO’ বাজারে যে-সমস্ত ওষুধ চালু আছে– সেগুলির গুণমান সম্বন্ধে নিশ্চিত হওয়ার জন‌্য একটি স‌্যাম্পল সার্ভে করে। প্রায় ২,১০০টি ওষুধের স‌্যাম্পল সংগ্রহ করে দেখা যায়, তার মধ্যে ১০০-র বেশি স‌্যাম্পলে ওষুধের গুণমান প্রত‌্যাশার তুলনায় কম। এসব ওষুধের মধ্যে জীবনদায়ী ওষুধ, যেমন অ্যামক্সিসিলিনের মতো অ‌্যান্টিবায়োটিক থেকে শুরু করে টেলমিসার্টানের মতো রক্তচাপ কমানোর ওষুধ, অথবা ব‌্যথা কমানোর প‌্যারাসিটামল, কী নেই?

Advertisement

এই তথ্যের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা যাক ‘দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া’-র ১৫ মার্চে প্রকাশিত একটি তালিকা, সেই তালিকায় ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ‌্যমে যে-টাকা রাজনৈতিক দলগুলিকে দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে যেসব সংস্থা ২০ কোটি থেকে ১০০ কোটি টাকার বন্ড কিনেছে, তাদের নাম সন্নিবিষ্ট হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, তালিকার অন্তত ন’টি নাম কোনও-না-কোনও ওষুধ কোম্পানির– যার মধ্যে সানফার্মা, জাইডাস, সিপলা, ম‌্যানকাইন্ড, ইনটাস– কে নেই? ডক্টর রেড্ডিস এবং টরেন্ট ফার্মা তো ৮০ কোটির কাছাকাছি দামের বন্ড কিনেছে। মনে রাখতে হবে, এই টাকা আইনসম্মতভাবে বন্ডের মাধ‌্যমে খরচ করা হয়েছে। যদি অরবিন্দ ফার্মার ঘটনা সত‌্য হয়, এর চেয়ে অনেক বেশি টাকা রাজনৈতিক দলগুলিকে দেওয়া হয়, যা হিসাব-বহির্ভূত, অর্থাৎ কালো।

 

[আরও পডুন: নিঃসন্তান মহিলাকে দিনরাত গঞ্জনা! শাশুড়িকে ‘খুন’ করে আত্মসমর্পণ গৃহবধূর]

ওষুধ কোম্পানিগুলির সঙ্গে ডাক্তারদের অবৈধ সম্পর্ক নিয়ে অনেকেই সোচ্চার ছিলেন। সেই কারণে, ঘুরপথে ডাক্তারদের বেআইনি সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার রাস্তা আইন করে বহু দিন আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেই উদ্যোগকে প্রত্যেকেই সাধুবাদ জানিয়েছিল। ফলে, দল বেঁধে ওষুধ কোম্পানির পয়সায় ডাক্তারদের বিদেশভ্রমণে ভাঁটা পড়েছিল। ডাক্তারদের মোটামুটি বাধ‌্য করা হয়েছিল, কোম্পানির দেওয়া ওষুধের নাম (‘ট্রেড নেম’) না-লিখে যাতে তাঁরা ওষুধের কম্পোজিশন লেখেন। একটা উদাহরণ দিলে স্পষ্ট হবে: অ‌্যান্টিবায়োটিক সিফ্রান না লিখে তাঁরা লিখবেন ‘সিপ্রোফ্লক্সাসিন’ (Ciprofloxacin), যাতে যে কোনও কোম্পানির সিপ্রোফ্লক্সাসিন দোকানদার দিতে পারেন। তাতে অবশ‌্য ক্রেতার কতটা সুবিধা হয়েছিল বলা মুশকিল। কারণ, তখন কোন কোম্পানির সিপ্রোফ্লক্সাসিন দেওয়া হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা চলে গেল ওষুধ বিক্রি করছেন যিনি, তাঁর হাতে। ফলে, যেসব ওষুধ কোম্পানি ডাক্তারদের মালদ্বীপ বেড়াতে নিয়ে যেত, তারা-ই যেসব রিটেলার (অর্থাৎ দোকানদার) ওষুধ বিক্রি করছে, তাদের জন‌্য ব‌্যাংকক-পাটায়া রাউন্ড ট্রিপের টিকিট কাটতে শুরু করল।

উপভোক্তা, অর্থাৎ সাধারণ মানুষ, যাঁরা ওষুধ কিনছেন, তাঁরা ওষুধের দাম কমতে তো দেখলেন না-ই, বরং তা দিন-দিন বেড়ে যেতে লাগল। যে কোনও মধ‌্যবিত্ত পরিবার, যেখানে মাসের বাজারে ওষুধ খাতে দু’-তিন হাজার টাকা ধরা থাকে, তঁারা প্রতে‌্যকে জানেন, বিগত কয়েক মাসে কী হারে ওষুধের দাম বেড়েছে। ইলেক্টোরাল বন্ড এবং অরবিন্দ ফার্মার ঘটনাগুলি মন দিয়ে লক্ষ করলেই তঁারা বুঝতে পারবেন, ডাক্তার-ওষুধ কোম্পানি অথবা ট্রেডার-ওষুধ কোম্পানি ইত‌্যাদির দিকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে আসলে মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল, রাজনৈতিক দলগুলিই ওষুধ কোম্পানিগুলির লভ‌্যাংশের সিংহভাগ খেয়ে নিচ্ছে বলেই সেই ক্ষতি কোম্পানিগুলি ওষুধের দামের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

এখানেই আসে ওষুধের গুণমানের কথা। যে-সার্ভের কথা দিয়ে এই প্রতিবেদন শুরু করেছিলাম, ‘CDSCO’-র করা সেই স‌্যাম্পল সার্ভেতে ১০৪টি স‌্যাম্পলে ওষুধের গুণমান প্রত‌্যাশার তুলনায় কম ছিল। প্রত‌্যাশা কী ও কতখানি– সেই প্রসঙ্গে পরে আসছি, শুধু গুণমান নিয়েই যদি আলোচনা করি, তাহলে প্রশ্ন করা যেতেই পারে, যেসব মানুষ ওসব কম-গুণমান-সম্পন্ন ওষুধ খেলেন, তঁাদের কী হল? ধরা যাক, কেউ উচ্চরক্তচাপে ভুগছেন, টেলমিসার্টানের বদলে চকের গুঁড়ো খেয়ে তঁাদের যদি রক্তচাপ বেড়ে যায়, তার জন‌্য হার্ট অ‌্যাটাক বা স্ট্রোক হয়, এমনকী মারা যান মানুষটি, তার দায়িত্ব কে নেবে?

 

[আরও পডুন: ‘বিজেপির মুখোশ খুলতে মহুয়াকে জেতান’, কৃষ্ণনগরের ইতিহাস তুলে রাজমাতাকে তোপ মমতার]

যাদের নিয়মিত ওষুধের গুণমান পরীক্ষা করার কথা, অথচ করে না, দায় তাদের নয়! যেসব কোম্পানি ওষুধ তৈরি করে, রাজনৈতিক দলগুলিকে দান-খয়রাত করার অছিলায় তারা কম গুণমানের ওষুধ বিক্রি করবে, দায় তাদের নয়! রাজনৈতিক দলগুলি জনসেবার মহান ব্রতে জীবন উৎসর্গ করেছে? অতএব ভোট বৈতরণি পার হতে গেলে অমন অল্পস্বল্প টাকা-পয়সা নিতেই হয়, দায় তাদেরও নয়। একটু খেঁাজ নিলেই দেখা যাবে ব‌্যাঙের ছাতার মতো ওষুধ-প্রস্তুতকারক সংস্থা গজিয়ে উঠেছে। নাম-না-জানা ওষুধ কোম্পানিতে ছেয়ে গিয়েছে বাজার।

কিছু দিন আগেই কলুটোলা স্ট্রিটে একটি জাল ওষুধ-বিক্রেতা সংস্থার দোকান সিল করে দেওয়া হল। মনে রাখতে হবে, এগুলি হিমবাহের মাথাটুকু কেবল। হিমবাহের গভীরে তলিয়ে দেখার দায়িত্ব যাদের, তারা ভেঙে পড়ার আগে চোখের সামনে গজিয়ে ওঠা দশতলা বাড়িই দেখতে পায় না, সেখানে দায় পড়েছে জলের তলায় কী ঘটে চলেছে তার সুলুকসন্ধান নেওয়ার! পাশাপাশি এটাও মনে রাখতে হবে, পৃথিবীর বহু দেশে যেখানে খাদ‌্য বা ওষুধে ভেজাল যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মতো শাস্তি দাবি করে, ভারতে এই জাতীয় অপরাধের দণ্ড এতখানি কম, আমার-আপনার মতো সাধারণ মানুষও ভাবতেই পারে, লাভের মাত্রা যখন প্রায় একশোভাগ, অন‌্যদিকে শাস্তি নামমাত্র, ওষুধ ভেজালের ব‌্যবসায় একবার নেমে দেখলে ক্ষতি কী?

আসলে দেশ হিসাবে আমাদের অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো! ‘হিউম‌্যান ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্স’-এ একধাপ
উঠে আমরা বিশ্বে ১৩৯ নম্বর। ‘হ‌্যাপিনেস ইনডেক্স’-এও তথৈবচ। ‘করাপশন ইনডেক্স’-এ সর্বনিম্ন স্থান অধিকার করার জন‌্য কিছু দিনের মধে‌্যই আমরা হয়তো আফগানিস্তানের মতো দেশের সঙ্গে যুদ্ধ করব, ব‌্যবসাদার-রাজনীতিবিদ এই অসাধু যোগসাজশ কোনও দিনই বন্ধ হওয়ার নয়। ফলে, গণতন্ত্রের উৎসবে যতবারই আমরা গা ভাসাই না কেন, সাধারণ মানুষ যে-তিমিরে ছিল থেকে যাবে সেই তিমিরেই।
ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি সম্পর্কে দু’টি ঘটনা বলে এই নিবন্ধে ইতি টানব। প্রথমটি ব‌্যক্তিগত অভিজ্ঞতা। দ্বিতীয়টি শোনা।

একবার হায়দরাবাদে গিয়েছিলাম একটি কনফারেন্সে বক্তৃতা দিতে। কানে এল, কাছাকাছি অনেকগুলি ওষুধ তৈরির প্ল‌্যান্ট আছে, যেখানে বাল্ক ড্রাগ ম‌্যানুফাকচার হয়। একটি কোম্পানিকে জানিয়ে গেলাম কারখানা দেখতে। সেখানে গিয়ে আমি তাজ্জব। প্ল‌্যান্টটির আড়াআড়ি দু’-খানা ভাগ। একভাগে যেসব ওষুধ তৈরি হয়, তা সাপ্লাই হয় দেশে। সেখানে ব‌্যবস্থাও ঢিলে ঢালা। অন‌্যভাগের ওষুধ রফতানি হয় বিদেশে। সেখানকার পরিস্থিতিও এককথায় যুদ্ধকালীন। পান থেকে চুন খসার উপায় নেই। অর্থাৎ, আমাদের জন‌্য ওষুধের গুণমান যেমন-তেমন হলেই হল, তা ম‌্যানেজ করে নেওয়া যাবে, আর ম‌্যানেজ করার উপায় তো ম‌্যানুয়ালে লেখাই আছে। বিদেশে যেসব ওষুধ যাবে, তার বেলায় জারিজুরি খাটবে না, সেখানে গুণমানে এতটুকু খামতি হলেই কনট্র‌্যাক্ট বাতিল। এবং হয়ও তা, যা কাগজে-পত্রে মাঝেমধে‌্যই প্রকাশিত হয়। অতএব তার বেলায় ওষুধের গুণমান বজায় রাখার চেষ্টায় খামতি নেই।

 

[আরও পডুন: ‘কুরুক্ষেত্র’ বারাকপুর, পার্থ-অর্জুনের ‘মহাভারতে’ শেষ হাসি কার? ফ্যাক্টর হবে বামেরা?]

দ্বিতীয় যে-তথ‌্য আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই, তা একটি কনফারেন্সে গিয়ে শোনা, বক্তা ছিলেন
এক তরুণ অধ‌্যাপক, যঁার বিষয় ক্লিনিকাল ফার্মাকোলজি। তার আগে অন‌্য একটি ব‌্যাপারে সামান‌্য আলোকপাত করে নেওয়া যাক। একটি ভাল মোবাইল বা কম্পিউটারের মতো, নতুন কোনও ওষুধ এখনও আমরা তৈরি করতে শিখিনি, তাহলে আমরা কী করি? বিদেশের কোনও ওষুধ কোম্পানি যখন গবেষণা করে (ওসব দেশে ওষুধ কোম্পানিগুলি সিংহভাগ বিনিয়োগ করে ঘুষ দিতে নয়, গবেষণায়) কোনও ওষুধ আবিষ্কার করে, তখন আমাদের দেশের কোম্পানিগুলি অপেক্ষা করে যত দিনে তাদের পেটেন্টের সীমা শেষ হয়ে যায়।

সেই সীমা শেষ হলে, ধরা যাক দশ বছর, আমাদের দেশের কোম্পানিগুলি, যে-কাজে তারা সিদ্ধহস্ত, সেই কাজ অর্থাৎ ‘নকল’ করতে শুরু করে। এই কাজ কিন্তু আইন মেনেই হয়। এই জাতীয় ওষুধ, যাদের সাধারণভাবে ‘জেনেরিক’ ওষুধ বলা হয়, তার মূল‌্য কিন্তু অসীম। প্রাণদায়ী কোনও ওষুধ, যার দাম হয়তো ছিল একশো টাকা, দাম কমে হয়ে গেল দশ টাকা। মনে আছে, একটি আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে আফ্রিকার এক ডাক্তার আমাকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন, ‘তুমি ইন্ডিয়ান? তোমাকে অভিনন্দন। তোমাদের দেশের জেনেরিক ওষুধ না-পেলে আমরা কখনওই আফ্রিকায় কিডনি ট্রানসপ্লানটেশন প্রোগ্রাম সেইভাবে চালু করতে পারতাম না। ইউরোপ বা আমেরিকার বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে ওষুধ কিনব আমাদের সেই সামর্থ‌্য কোথায়?’

এবার আসি, ভারতীয় কোনও ওষুধ কোম্পানি যখন কোনও জেনেরিক ওষুধ তৈরি করে, তার গুণগত মান কীভাবে নির্ধারিত হয়? সেই অধ‌্যাপকের মতে, হিসাবটা এইরকম, ভারতীয় ওষুধটি মূল ওষুধের ৮০ ভাগ মানে পৌঁছতে পারলেই তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। অর্থাৎ, একজন ভারতীয় একজন মার্কিনের তুলনায় প্রথমেই ওষুধের গুণমানে শতকরা ২০ ভাগ পিছিয়ে। আর তার পরের কোম্পানিগুলি? সেখানেই ধেঁায়াশা। তাদেরও কি মূল ওষুধটির ৮০ ভাগ গুণমানে পৌঁছলেই চলবে, না কি দেশে প্রথম যে-ওষুধটিকে ছাড়পত্র দেওয়া হল তার আশিভাগ, অর্থাৎ ৬৪ শতাংশ গুণমানেই সে দোকানে দোকানে আত্মপ্রকাশ করবে– সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও পরিষ্কার নয়।

 

[আরও পড়ুন: ‘ছাপরির বউ ছাপরি’, হার্দিকের ‘দুর্দিনে’ নেটিজেনদের কটাক্ষের শিকার স্ত্রী নাতাশা]

অনেকেই জানতে চান, ন‌্যায‌্যমূলে‌্যর দোকানে বিক্রি হওয়া ওষুধ সম্পর্কে। ব‌্যক্তিগতভাবে আমি ন‌্যায‌্যমূলে‌্যর দোকানে যেসব ওষুধ বিক্রি হয়, তাদের ওপর ভরসা রাখার পক্ষপাতী। আমি মনে করি, এতে অসংখ‌্য গরিব মানুষের উপকার হয়। কম দামে তঁারা জীবনদায়ী ওষুধ পান, এর চেয়ে ভাল বিকল্প আর হতে পারে না।

কিন্তু এখানেও প্রশ্ন থেকে যায়। এসব ওষুধের গুণমান যথাযথভাবে নির্ধারিত হয় তো? গুণমান বিচার করা যাদের দায়িত্ব, তাদের ওপর কোনও অদৃশ‌্য অঙ্গুলিহেলন কাজ করে না তো? এসব দোকান, এবং দোকানে বিক্রিত হওয়া ওষুধ যে প্রতিষ্ঠানগুলি তৈরি করে, সেই ওষুধ নির্মাণ সংস্থাগুলি কয়েকটি বিশেষ পরিবারের মধে‌্য সীমাবদ্ধ নয় তো, যারা ‘হোলি গ্রেইল’, যাদের সম্বন্ধে প্রশ্ন করার অবশ‌্যম্ভাবী ফল ‘দেশবিরোধী’ তকমা পাওয়া, যার পরিণতি তিহার জেলে বাকি জীবনের হাতছানি?

আসলে ঠকতে-ঠকতে আমরা বিশ্বাস করতে ভুলে গিয়েছি। নিত‌্যনতুন আবিষ্কার ভারতের জনসাধারণকে বরং এটাই শিখিয়েছে, নতুন-নতুন গাজর আমাদের সামনে ঝুলিয়ে রেখে শেষ অবধি ফায়দা তুলে নিয়ে যাবেন রাজনৈতিক নেতারাই, যঁারা শুধু জনসাধারণের সেবা করে প্রতি পঁাচ বছর অন্তর ফুলেফেঁপে উঠছেন, আমরা তা দেখছি, অথচ কিছু বলার উপায় নেই!

(মতামত নিজস্ব)
লেখক বিশিষ্ট চিকিৎসক
[email protected]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement