Advertisement
Advertisement

Breaking News

Mamata Bannerjee

তবে কি এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী?

বিরোধী ঐক্যের মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Mamata Banerjee to be the face of anti-BJP front | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:July 24, 2021 2:40 pm
  • Updated:July 24, 2021 2:40 pm  

পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। সেই কারণে দেশজুড়ে মোদি-বিরোধী শক্তিগুলি উজ্জীবিত। ২১ জুলাইয়ের ভাষণে মমতা বুঝিয়ে দিলেন, তাঁর এই মুহূর্তের রাজনৈতিক অগ্রাধিকার- ২০২৪ সালে নরেন্দ্র মোদির সরকারের অপসারণ। লিখছেন জয়ন্ত ঘোষাল

জয় বাংলা থেকে জয় হিন্দুস্তান! এবার ২১ জুলাই শহিদ দিবসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) এটাই ছিল সর্বশেষ স্লোগান। আর এই ছোট্ট একটি বাক্যেই নিহিত রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সময়ের রাজনীতির রোড-ম্যাপ। এর পাশাপাশি, আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার কথা বলতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, ‘খেলা’ শেষ হয়নি, ‘খেলা হবে’ ২০২৪-এর জন্যও। দেশজুড়ে খেলা হবে। আর তাই আগামী ১৬ আগস্ট, যেদিন হাজরায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথায় সিপিএমের আশ্রিত গুন্ডাবাহিনী আঘাত হেনেছিল, সে দিনটিকে স্মরণ করে পালিত হবে ‘খেলা দিবস’। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, এই দিবস পালিত হবে দেশজুড়ে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে লড়াই, গভীর অনিশ্চয়তার মুখে দেশ]

অতএব, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মুহূর্তের রাজনীতির সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার- ২০২৪ সালে নরেন্দ্র মোদির সরকারের অপসারণ। মমতা তাঁর পঁয়তাল্লিশ মিনিটের বক্তৃতায় বলেছেন, তিনি চান ‘গদ্দার-মুক্ত ভারত’। কেননা, বিজেপি ‘গদ্দার’-দের তৈরি করে। অনেকে বলছেন, নাম না করে তিনি শুভেন্দু অধিকারীকেও আক্রমণ করেছেন এই কথার সূত্রে। তবে এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আক্রমণের প্রধান লক্ষ্য শুভেন্দু অধিকারী নন, তিনি দেশ থেকে নরেন্দ্র মোদির সরকার তথা বিজেপির বিতাড়ন চাইছেন।

কাজটা যে খুব সহজ, এমন নয়। এই মুহূর্তে জাতীয় স্তরে বিজেপির সবচেয়ে বড় ‘বিকল্প’ যে দল, তা কংগ্রেস। কিন্তু কংগ্রেস এক গভীর সংকটের আবর্তে। রাহুল গান্ধী দলের সভাপতি আছেন না নেই, সেটা এখনও স্পষ্ট হল না। কিন্তু আগামী দিনে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের কান্ডারি থাকবেন কি থাকবেন না, সেটাও পরিষ্কার নয়। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের সঙ্গে নভজ্যোত সিং সিধুর লড়াই অব্যাহত। সিধু হাইকমান্ডের আশীর্বাদে রাজ্য সভাপতি হয়েও ঘোষণা করেছেন, তিনি ক্ষমা চাইবেন না ক্যাপ্টেনের কাছে। তবে সিধু ও ক্যাপ্টেন বৃহস্পতিবার এক মঞ্চে উপস্থিত থাকায় ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান, এই দুই নেতার মধ্যে সংঘর্ষ-বিরতির মৃদু সম্ভাবনা রয়েছে। দেখা যাক, পাঞ্জাবে কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ কী হয়!

একইরকম সমস্যা রাজস্থানের শচীন পাইলট আর মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকে নিয়ে। এমনকী, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীকেও অপসারণের দাবিতেও বিক্ষোভ শুরু হয়ে গিয়েছে। কংগ্রেস চূড়ান্ত সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে। রাহুল গান্ধীকে এখনও ‘সিরিয়াস পলিটিশিয়ান’- এই তকমা দেওয়া যাচ্ছে না। যেমন, উত্তরপ্রদেশেও মুখ্যমন্ত্রী হতে চান অখিলেশ যাদব, কিন্তু মুলায়ম সিং যাদবের মধ্যে যে ‘ওল্ড স্কুল’ রাজনীতির কৌশল ছিল, অখিলেশ এখনও ঠিক সেইভাবে উপযুক্ত হয়ে উঠতে পারেননি। এমতাবস্থায়, পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে ২০০-র বেশি আসনে জয়লাভ করল তৃণমূল, তা-ও এমন একটা পরিস্থিতিতে, যখন বিজেপি ধরেই নিয়েছিল, তারা ভোটে জিতে গিয়েছে। এখনও মনে আছে, সেই সময় বিজেপির নেতারা, মমতা ক্ষমতাচ্যুত হলে কী কী করবেন না করবেন- সেসব নিয়ে আমার সঙ্গে আলোচনা করতেন।

পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) বিধানসভা নির্বাচন কিছু না হলেও একটা ‘মিথ’-কে ভাঙতে সক্ষম হয়েছে। তা হল, নরেন্দ্র মোদিকে পরাস্ত করা যায় না। ওই যে ‘ডন’ ছবির ডায়লগ ছিল যে, ‘ডন কো পকড়না মুশকিল হি নেহি, না মুমকিন হ্যায়।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। আর শুধু এইটুকুর জন্যই দেশজুড়ে যারা মোদিবিরোধী ‘ক্লায়েন্টেল’, তারা উজ্জীবিত। ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী ঐক্যের একটা প্রধান ‘ফালক্রাম’ হয়ে উঠেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে স্তালিন থেকে কেজরিওয়াল, শরদ পাওয়ার থেকে তেজস্বী যাদব- সবাই একত্র হচ্ছেন। দিগ্বিজয় সিং, চিদম্বরম এমনকী, ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং পর্যন্ত মমতার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। মধ্যপ্রদেশে কমলনাথ ঘোষণা করেছেন যে, মমতার নেতৃত্বে এবার বিরোধী ঐক্য হবে। কমলনাথ আরও জানিয়েছেন, তিনি ভোপাল বা রায়পুরে মমতার জন্য সভা করতে প্রস্তুত। এতে বোঝা যাচ্ছে, মমতার নেতৃত্বে এবার রাজ্যে রাজ্যে জনসভা হবে।

মমতার পঁয়তাল্লিশ মিনিটের এই বক্তৃতাও কিন্তু এর আগের শহিদ দিবসের বক্তৃতার থেকে অনেকটা আলাদা। শহিদ দিবস পালন শুরু হয়েছিল কমিউনিস্টদের অপশাসনের বিরুদ্ধে। তারপর রাজ্য রাজনীতির গঙ্গায় অনেক স্রোত বয়ে গিয়েছে, অনেক পালাবদলের পালা হয়েছে, মমতার দশ বছরের শাসন অতিবাহিত। এখন মমতা তাঁর নিজের রাজ্যে নিজেকে সুসংহত করে এগচ্ছেন দিল্লির দিকে। তাড়াহুড়ো করতে চাইছেন না। তিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন, এমন মনোভাবও প্রকাশ করছেন না, উলটে শরদ পাওয়ার, চিদম্বরম থেকে শুরু করে যে যে নেতা এই ডিজিটাল সভায় উপস্থিত হয়েছেন, তাঁদের লক্ষ্য করে তিনি বলেছেন, তিনি একজন সৈনিকের মতো কাজ করবেন, প্রবীণ নেতাদের পরামর্শ নিয়ে কাজ করবেন। অর্থাৎ, একটা বিনীত মনোভাব নিয়েই কিন্তু তিনি এগচ্ছেন।

এবারের ২১ জুলাইয়ের বক্তৃতা অভিনব, কারণ পঁয়তাল্লিশ মিনিটের এই ডিজিটাল বক্তৃতা খুব স্ট্রাকচারড। এই বক্তৃতা বিভিন্ন কম্পোনেন্টে ভাগ করে রীতিমতো স্ক্যান করা যায়। এতে একদিকে যেমন আছে পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন এবং পশ্চিমবঙ্গের কথা, উন্নয়নের দিশা দেখানোর চেষ্টা, অন্যদিকে, তার চেয়ে অনেক বেশি রয়েছে সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপি-মুক্ত হতে গেলে কীভাবে বিরোধীদের ঐক্য স্থাপন করতে হবে, অ-বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীদের এক হতে হবে- তা নিয়ে আলাপ। এমনকী, তিনি দিল্লিতে এলে ২৭, ২৮, ২৯ তারিখে কী করতে চাইছেন, কেন আসছেন, সেটাও খোলসা করেছেন।

যখনই সংসদের অধিবেশন হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি আসেন। সেদিক থেকে দেখতে গেলে, দিল্লির রাজনীতি কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নতুন নয়। ১৯৮৪ সালে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে পরাস্ত করে প্রথমে তিনি দিল্লির রাজনীতিই করতে এসেছিলেন। সেটা লোকসভার রাজনীতি। আগে তিনি রেলমন্ত্রী হয়েছেন, তারপর মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। নরেন্দ্র মোদি যেমন আগে মুখ্যমন্ত্রী হয়ে তারপর প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগে কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন নরসিমা রাওয়ের সময়, ’৯১ সালে, তারপর এনডিএ সরকার এবং ইউপিএ ২ সরকারের আমলেও। এরপর তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। তাই দিল্লির রাজনীতির ব্যাকরণ তাঁর অজানা নয়। পঁয়তাল্লিশ মিনিটের বক্তৃতায় তিনি হিন্দি, ইংরেজি এবং বাংলার মিশেল ঘটিয়েছেন। যখন তিনি তাঁদের ফোন ট্যাপ করার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের কাছে অভিযোগ করছেন, তাঁদের ব্যবস্থা নিতে বলছেন- তখন বিচারপতিদের কাছে হাতজোড় করে ইংরেজিতে আবেদন জানিয়েছেন যে, আপনারা নিজে থেকেই এ-ব্যাপারে মামলা করুন, তদন্ত করুন।

রাজ্যে রাজ্যে তাঁর বক্তৃতা এবারে ডিজিটালি পৌঁছেছে। এমনকী, আমেদাবাদেও তাঁর বক্তৃতা শুনেছেন উৎসাহীরা। অনেকেই জানেন, রাজ্যে-রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সেই রকম সংগঠন নেই, কিন্তু মমতাকে গোটা দেশের মানুষ চেনেন এবং তিনি এই শহিদ দিবসে তাঁর বক্তৃতার মাধ্যমে দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে গেলেন। সবটাই পরিকল্পনামাফিক করছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রিত্ব নিয়ে উত্তেজিত হয়ে কোনও কথা বলছেন না ঠিকই, তবে একটা ফ্রন্ট গঠনের সম্ভাবনার কথা বলেছেন।

মমতার দিল্লিতে আসার আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পিকে এসে গিয়েছিলেন, তাঁরা বিরোধী নেতাদের নিয়ে নৈশভোজ করেছেন এবং একটা ‘আরম্ভের আগের আরম্ভ’-এর কাজ সুনিপুণভাবে করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও নিজেকে সাংঘাতিকভাবে পরিণত করে তুলেছেন। অভিষেক যেহেতু দিল্লিতে লোকসভার সদস্য, তাঁকে সবাই চেনেন, তিনি দলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসাবে সুনিপুণভাবে মমতার দিল্লি সফরের রেড কার্পেট প্রস্তুত করেছেন, তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য সবরকমের ব্যবস্থা করছেন।

আমি বলি, অভিষেক যেটা করছেন, তা সন্ধেবেলা প্রদীপ জ্বালানোর আগে বিকেলের সলতে পাকানো। আর তাঁর সঙ্গে স্বভাবতই রয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। এইরকম একটা পরিস্থিতিতে মমতার এবারের দিল্লি সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি রাজনীতির জল মাপবেন, স্বাভাবিক। তিনি সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে যেমন কথা বলতে চান, ঠিক সেইভাবেই কথা হবে শরদ পাওয়ারের সঙ্গে। এমনকী, বিরোধী নেতারা সবাই যদি থাকতে পারেন, তাহলে ছোটখাটো একটা বৈঠকও হতে পারে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই সেই প্রস্তাব দিয়েছেন শরদ পাওয়ারের কাছে। আবার প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছেন।

একটা জিনিস খুব স্পষ্ট যে, ভোটের সময় যে-ভাষায় সাধারণত রাজনৈতিক দলের নেতারা কথা বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন কিন্তু সেই ভাষায় কথা বলছেন না। তিনি মোদির সঙ্গে দেখা করতে চাইছেন, বয়কট করতে চাইছেন না, কোনওরকম প্রতিহিংসাপরায়ণতা যাতে বিজেপি না দেখায়, তার জন্য অনুরোধ করছেন। তাঁর অনুগামীদের তিনি বলেছেন যে, কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক তিনি সুষ্ঠুভাবে গড়ে তুলতে চান, শিল্প চান, অর্থনীতির উন্নতি চান এবং কেন্দ্র ও রাজ্য যাতে সাংবিধানিকভাবে ‘এক’ হয়ে কাজ করতে পারে তার প্রত্যাশা রাখেন। আমলাদের যাতে বলির পাঁঠা না করা হয়, তার জন্য তিনি অনুরোধ জানাচ্ছেন। কিন্তু এখানেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন, যদি কেন্দ্র প্রতিহিংসাপরায়ণ মনোভাব নেয়, তাহলে তিনি চুপ করে থাকবেন না। তেমনটা হলে, শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়, দেশজুড়েই তিনি আক্রমণাত্মক রাজনীতিতে নেমে পড়বেন।

এখন ‘বিবিসি’ থেকে শুরু করে রয়টার্স, এমনকী, বিদেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার সাংবাদিকরা, যাঁরা দিল্লিতে আছেন, তাঁরা অনেকেই প্রশ্ন করেন, তবে কি এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী? যেভাবে তিনি বিজেপিকে পরাস্ত করেছেন, তাতে তাঁর সর্বভারতীয় গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে। সব নেতাই তাঁকে গ্রহণ করতে রাজি। তাঁর এই কৃতিত্ব, তাঁর এই সাফল্য একটা মস্ত বড় মূলধন। আমরা ’৪৭ সালের পর থেকে এখনও পর্যন্ত বাঙালি প্রধানমন্ত্রী পাইনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা আসে, তাহলে তা হবে ঐতিহাসিক।

পশ্চিমবঙ্গের লোকসভার আসন বিয়াল্লিশটা। বিয়াল্লিশের বিয়াল্লিশটা পেলেও কেন্দ্রে তৃণমূল সরকার কী করে হবে, এই প্রশ্ন যাঁরা তুলছেন, তাঁদের মনে করাতে পারি, অতীতেও কোয়ালিশন সরকার হয়েছে। কোয়ালিশন সরকার টেকেনি এটা যেমন সত্য, তেমনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আজকের বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে একটা ঐক্যবদ্ধ সরকার গঠন যে অসম্ভব- একথাও বলা যায় না। কেননা অতীতে যা হয়েছে সেই ভুলগুলো শুধরে নিয়ে যদি জোট সরকার গঠন হয়, তবে এই ‘ব্রুট মেজরিটি’ বা নিরঙ্কুশ সরকারের আধিপত্যে যাঁরা ক্লান্ত, গণতন্ত্রকে যাঁরা প্রতিনিয়ত নিগৃহীত হতে দেখছেন, একধরনের একনায়কতন্ত্রকে আধিপত্যকামিতার শিকড়ে পৌঁছে যেতে দেখছেন- তাঁদের কাছে জোট সরকার গণতন্ত্রের দখিনা বাতাস নিয়ে আসতে পারে। আমরা, বাঙালিরা, একবার জ্যোতিবাবুর সময় প্রধানমন্ত্রিত্বের পদ থেকে বঞ্চিত হয়েছি। ’৪৭ সালের পর, অবশেষে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হন-তবে বাঙালির জন্য তা হবে গর্বের বিষয়।

[আরও পড়ুন: ভারতকে ভাবাচ্ছে আফগানিস্তান]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement