Advertisement
Advertisement

Breaking News

আন্তর্জাতিক সুখী দিবসেও কেন সুখে নেই ভারত?

কখনও ভেবে দেখেছেন?

Here’s why India should not celebrate International Day of Happiness
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 20, 2018 4:43 pm
  • Updated:August 8, 2019 6:04 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুখের দিন আজ৷ সকাল থেকে দিন যতোই খারাপ যাক আজ সত্যিই সুখে থাকার সময়৷ সারা বিশ্বে পালিত হচ্ছে সুখী দিবস, ইন্টারন্যাশনাল ডে অফ হ্যাপিনেস৷ কিন্তু সুখের এই দিনেই অসুখী ভারত৷ খবর মিলেছে সাম্প্রতিক গ্লোবাল হ্যাপিনেস ইন্ডেক্সে৷ যেখানে ১৫৫টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১২২৷ পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান এমনকী পাকিস্তানের থেকেও সুখের নিরিখে পিছিয়ে ডিজিটাল ইন্ডিয়া৷

অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন৷ তাহলে এ ভারত কেমন ভারত, সুখের ঠিকানা নেই যেথায়? দেশ নাকি উন্নয়নের পথে তরতরিয়ে এগোচ্ছে, তাহলে কেন এই অধঃপতন? কারণ নিয়ে নানা মুনির নানা মত রয়েছে৷ এরই মধ্যে কয়েকটি যুক্তি প্রকাশ্যে এসেছে৷

Advertisement

[৪ বছর ধরে কেন মিথ্যাচার সরকারের? ক্ষোভে ফুঁসছে মসুলে নিহত ভারতীয়দের পরিবার]

সম্পত্তির বৈষম্য: উন্নয়নশীল দেশ ভারত৷ কিন্তু এ উন্নয়নের সিংহভাগই চলে যাচ্ছে গুটি কয়েক মানুষের কাছে৷ মধ্যবিত্ত সামলাচ্ছে নোট বাতিল, জিএসটি-র ধাক্কা৷ কুসংস্কারের অন্ধকার গ্রাস করছে দারিদ্রকে৷

জনসংখ্যা: যে কোনও পরিকল্পনা তখনই কার্যকর হবে যখন জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রিত হবে৷ এ দেশের জনসংখ্যা বহু আগেই একশো তিরিশ কোটি ছাড়িয়েছে৷ আর তা উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে৷ এমন দেশে কোনও পরিকল্পনা কেমন করে ফলপ্রসূ হবে?

বেকারত্ব: জনসংখ্যা বাড়লে বেকারত্বও বাড়বে৷ আবার অনেককে নিজের মেধার তুলনায় স্বল্প আয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়৷ কাজেও সন্তুষ্টি নেই৷ ফলে মানসিক চাপ বাড়তে থাকে৷

vrindavan-india-july-13-2015-very-old-sad-indian-woman-sitting-on-her-bed-in-a-dormitory-at-the-ashram_r09u8pnke_thumbnail-full01

একাকীত্ব: ব্যস্ত হচ্ছে মানুষ৷ পরিবারের জন্য সময় কমছে৷ কমছে ভালবাসা৷ একান্নবর্তী পরিবারের দেখা পাওয়া এখন দুষ্কর৷ একা থাকার প্রবণতা বাড়ছে৷ কিন্তু এই একাকীত্বই পরবর্তীকালে মানসিক অবসাদের প্রধান কারণ হয়ে উঠছে৷

চাকরি: সরকারি থেকে বেসরকারি ক্ষেত্রে চাকরির সংখ্যা বেড়েছে৷ তার থেকেও বেড়েছে কর্মক্ষেত্রে টিকে থাকার প্রতিযোগিতা৷ যাতে ক্রমাগত এগিয়ে যাওয়ার লড়াই চালিয়ে যেতে হয়৷ এই দৌড় মানুষকে অবসন্ন করে তোলে৷

[রাম জন্মভূমিতে কখনই মসজিদ ছিল না, দাবি শঙ্করাচার্যের]

সামাজিকতা: রকবাজির সময় গিয়েছে৷ আড্ডার দিনও বোধহয় ফুরিয়েছে৷ এমনকী, এক পাড়ার দুই বাড়িতে ভাল-মন্দ রান্নার বাটি দেওয়া-নেওয়া প্রায় বন্ধ৷ বিকেলের আড্ডার তুলনায় টেলিভিশনে সামনে বসে থাকাই শ্রেয় মনে করে এই যুগ৷ ফলে সামাজিকতা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে৷ পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে, অসুস্থ মানুষ রাস্তায় পড়ে থাকলেও মানুষ তাকানোর প্রয়োজন বোধ করেন না৷

স্বাস্থ্য: শরীর ভাল থাকলে মনও ভাল থাকে৷ কিন্তু ব্যস্ত জীবনে তেমন খাওয়া-দাওয়ার সময় কোথায়? অনিয়মিত খাওয়া-দাওয়াই ডেকে আনছে বিপদ৷ বাড়ছে অসুখ৷ ওদিকে আবার সুস্থ হওয়ার খরচও যে অনেক৷

sad-indian-man-with-his-hand-4272x2848_23961

অসহিষ্ণুতা: ইস্যুভিত্তিক রাজনীতির শিকার হুজুগে মানুষ৷ কাউকে বক্তব্যের জন্য কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হচ্ছে, কাউকে পোশাকের জন্য সমালোচিত হতে হচ্ছে৷ ইতিহাস নির্ভর সিনেমা তৈরি করে সংসদে পর্যন্ত জবাবদিহি করতে হচ্ছে পরিচালককে৷ আবার তাকে ছাড়পত্র দেওয়ার সাহিত্যসভায় যোগ দিতে পারলেন না সিবিএফসি প্রধান৷ এমন দেশে সৃষ্টির স্বাধীনতা কোথায়?

দুর্নীতি: যে কোনও দেশের অন্যতম সমস্যা দুর্নীতি৷ তবে এর সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী ভারতবর্ষ৷ ১৩৫ কোটির জনসংখ্যার দেশে ঘুণপোকার মতো বাস করছে দুর্নীতি৷ এ দূর করা আদৌ কি সম্ভব?

[মর্মান্তিক! নিউমোনিয়া সারাতে চার মাসের শিশুকে গরম লোহার ছেঁকা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement