Advertisement
Advertisement

Breaking News

কীভাবে জন্মাল দেশের প্রথম নিউক্লিয়ার সাবমেরিন?

সালটা ১৯৭১৷ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের টানটান উত্তেজনার মধ্যেই মুম্বই ও কলকাতা বন্দরে হামলা চালাতে প্রস্তুত মার্কিন-ব্রিটিশ রণতরী৷ সেই প্রথম একটি পারমাণবিক যুদ্ধজাহাজের প্রয়োজন অনুভব করে নয়াদিল্লি৷কী ছিল দেশের একমাত্র পারমাণবিক যুদ্ধজাহাজ ‘আইএনএস অরিহন্ত’-এর জন্মের নেপথ্য কাহিনী? ফিরে দেখলেন দীপেন্দু পাল...

Here is the story behind the journey of the submarine INS Arihant from an idea an 1971 to a prowler in India’s seas in 2016.
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 26, 2016 3:48 pm
  • Updated:August 16, 2019 7:15 pm  

সালটা ১৯৭১৷ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের টানটান উত্তেজনার মধ্যেই মুম্বই ও কলকাতা বন্দরে হামলা চালাতে প্রস্তুত মার্কিন-ব্রিটিশ রণতরী৷ সেই প্রথম একটি পারমাণবিক যুদ্ধজাহাজের প্রয়োজন অনুভব করে নয়াদিল্লি৷কী ছিল দেশের একমাত্র পারমাণবিক যুদ্ধজাহাজ ‘আইএনএস অরিহন্ত’-এর জন্মের নেপথ্য কাহিনী? ফিরে দেখলেন দীপেন্দু পাল

সালটা ১৯৭১, ভারতীয় ফৌজ তখন পাক রেঞ্জার্সকে গুঁড়িয়ে ফেলতে প্রস্তুত৷ লাহোরের রাজপথের দখল নিতে জওয়ানরা দৃপ্ত কদমে এগিয়ে চলেছেন৷ কিন্তু অতর্কিতে বিপদ এল অন্যদিক থেকে৷ মার্কিন ও ব্রিটিশ নৌবাহিনী প্রায় নিঃশব্দে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযানের প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে৷ একদিকে যখন ইউএস সেভেনথ ফ্লিট কলকাতার অভিমুখে এগোচ্ছে, তখন অন্যদিকে, ব্রিটিশ রণতরী মুম্বইয়ে হামলা চালাতে একেবারে প্রস্তুত৷ শেষ মুহূর্তে ভারতের সবচেয়ে পুরনো বন্ধু রাশিয়া তাদের প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহর নিয়ে ভারতের পাশে এসে না দাঁড়ালে সেদিন ব্রিটিশ- মার্কিন যৌথ আক্রমণ ঠেকানো ভারতের পক্ষে কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়াত৷ রুশ নৌবহরে সেদিন ঠাসা ছিল পারমাণবিক অস্ত্র৷ যা দেখেশুনে পিছু হঠতে বাধ্য হয় মার্কিন-ব্রিটিশ রণতরী৷ ভারত বুঝতে পারে, ছোবল না দিলেও ফোঁস করে উঠতে পারমাণবিক অস্ত্রের প্রয়োজনীয়তা কতটা!

Advertisement

এদিকে, সেই যুদ্ধে মার্কিন-ব্রিটিশ হস্তক্ষেপের ফলে পশ্চিমী ফ্রন্টে পাকিস্তানকে গুঁড়িয়ে দিতে পারল না ভারত৷ কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা অনুভব করলেন, নিউক্লিয়ার সাবমেরিন বিনা ভারত মহাসাগরে মার্কিন একাধিপত্য খর্ব করা সম্ভব নয়৷ এই প্রসঙ্গে স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষক এরিক আরনেট মন্তব্য করেছেন, “ভারত মহাসাগরে মার্কিন দাদাগিরি ভারতকে একটি নিউক্লিয়ার সাবমেরিন তৈরি করতে অনুপ্রেরণা জোগায়৷”

ওই ঘটনার প্রায় ৪৫ বছর পর ডিসেম্বরের এক হাড় কাঁপানো শীতে ভারতীয় নৌবাহিনী সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি দেশের প্রথম ও একমাত্র নিউক্লিয়ার সাবমেরিন ‘আইএনএস অরিহন্ত’কে প্রকাশ্যে আনল৷ বেশ কয়েকদিন ধরে সমুদ্রে পরীক্ষামূলক অভিযান চালানোর পর নৌসেনা ঘোষণা করে, এবার যে কোনও কর্তব্য পালনে অরিহন্ত সব দিক থেকে প্রস্তুত। নৌসেনার এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই ভারত আনুষ্ঠানিক ভাবে হয়ে উঠল পৃথিবীর ষষ্ঠ দেশ, যার কাছে নিউক্লিয়ার সাবমেরিন রয়েছে এবং যে দেশ স্থল, জল ও আকাশ থেকে পরমাণু আক্রমণ চালাতে সক্ষম।

অরিহন্তের গর্ভে ৭০০ কিলোমিটার রেঞ্জের কে-১৫ সাবমেরিন-লঞ্চড ব্যালিস্টিক মিসাইল(এসএলবিএম) বা ৩৫০০ কিলোমিটার রেঞ্জের কে-৪ মিসাইল ‘ইনস্টল’ করা এখনও বাকি৷ একবার এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে পারমাণবিক যুদ্ধের সময় বিপক্ষকে মাত দিতে ভারত একাধিক পন্থা অবলম্বন করতে পারবে৷ রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য যে পাঁচটি দেশ, সেই আমেরিকা, রাশিয়া, চিন, ব্রিটেন ও ফ্রান্স ছাড়া কোনও দেশের হাতে পারমাণবিক শক্তিচালিত ডুবোজাহাজ বা নিউক্লিয়ার সাবমেরিন এত দিন ছিল না। আইএনএস অরিহন্ত তৈরি করে ফেলার পর ভারত সেই গোত্রের অন্তর্ভুক্ত হল। আইএনএস অরিহন্তকে আনুষ্ঠানিক ভাবে যুদ্ধের উপযুক্ত বলে নৌসেনা ঘোষণা করার পর, ভারত বিশ্বের সেরা সামরিক শক্তিগুলির তালিকায় অনেক দেশকেই পিছনে ফেলে দিল।

স্থল এবং আকাশ থেকে পরমাণু হামলা চালানোর ক্ষমতা আগেই ছিল ভারতের। শুধু সমুদ্রগর্ভ থেকে পরমাণু হামলা চালানোর ক্ষমতা ভারতের ছিল না। প্রকৃত পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের কাছে এই তিন সক্ষমতা থাকাই জরুরি। কারণ আধুনিক যুদ্ধের কৌশল বলছে, একটি পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের উপর অন্য একটি পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র যদি পরমাণু হামলা চালায়, তা হলে এমন ভাবে হামলা চালানো হবে যাতে প্রতিপক্ষের ভূখণ্ডে যত পারমাণবিক পরিকাঠামো রয়েছে, সেগুলির সব ক’টিকে ধ্বংস করে দেওয়া যায়। সেই কারণেই ‘সেকেন্ড স্ট্রাইক ক্যাপাবিলিটি’ বা পরমাণু হামলা চালানোর বিকল্প পরিকাঠামো হাতে থাকা জরুরি। স্থলভাগে যে সব পরমাণু পরিকাঠামো রয়েছে, সেগুলিতে প্রতিপক্ষ হামলা চালাতে সক্ষম হলেও সমুদ্রের গভীরে লুকিয়ে থাকা পরমাণু অস্ত্রের ক্ষতি করা সম্ভব হয় না। কারণ পরমাণু অস্ত্র নিয়ে নিউক্লিয়ার সাবমেরিন কোথায় কখন লুকিয়ে থাকে, তা প্রতিপক্ষ বুঝতেই পারে না। আইএনএস অরিহন্ত সম্পূর্ণ রূপে প্রস্তুত হয়ে যাওয়ায় ভারত সমুদ্রের গভীরে পরমাণু অস্ত্র এবং মিসাইল মজুত করার সামর্থ্য পেয়ে গেল। অর্থাৎ ভারতে পরমাণু হামলা করে কোনও প্রতিপক্ষ দেশ ভারতীয় ভূখণ্ডে থাকা সব পরমাণু পরিকাঠামো ধ্বংস করে দিলেও, ভারতের পাল্টা পরমাণু হামলা চালানোর পথ বন্ধ হবে না। সমুদ্রের গভীর থেকে আইএনএস অরিহন্ত ভয়ঙ্কর প্রতি-আক্রমণ চালাবে সেই প্রতিপক্ষের উপর।

arihant-3

এই নিউক্লিয়ার সাবমেরিনের নির্মাণ কাজও অন্য অনেক প্রকল্পের মতো খুব গোপনে শুরু করেছিল ভারত৷ কাজ শুরু হয় ১৯৭৪ সালে, অর্থাৎ ভারত-পাক যুদ্ধের প্রায় তিন বছর পর৷ ডিএই বা ‘ডিপার্টমেন্ট অফ অ্যাটমিক এনার্জি’র অধীনে কাজ শুরু হয়, কিন্তু প্রায় ১০০ কোটি টাকা খরচ করার পর ১৯৭৫-এ পরিকল্পনাটি ‘বাতিল’ বলে ঘোষণা করা হয়৷ তখনও এই ডুবোজাহাজে নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর বা পরমাণু চুল্লিটি লাগানোই হয়নি।

ডিএই তাদের অতীত থেকে কোনওরকম শিক্ষা নিতে অস্বীকার করে৷ সাংবাদিক প্রফুল্ল বিদওয়াই এক জায়গায় লিখেছেন, তৎকালীন নেভি ক্যাপ্টেন, একজন রি-অ্যাক্টর ইঞ্জিনিয়ারিং ডক্টরেট ডিএই-র আসল নকশা সম্পর্কে অনাস্থা দেখান৷ যার জেরে তাঁকে তৎকালীন নৌসেনা কর্তৃপক্ষের হাতে ‘আক্রান্ত’ হতে হয়৷ পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয় মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে৷ বেশ কিছুদিন জেলে কাটানোর পর তিনি সসম্মানে মুক্তি পান৷ কোনও জনপ্রিয় হিন্দি সিনেমার প্লটের সঙ্গে মিল পাচ্ছেন বুঝি?

১৯৮৫-তে ওই প্রকল্পের কাজ নতুন করে শুরু করে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডিআরডিও৷ কোড নেম দেওয়া হয়- এটিভি বা ‘অ্যাডভান্সড টেকনোলজি ভেসেল’৷ একজন অবসরপ্রাপ্ত ভাইস অ্যাডমিরালকে ইনচার্জ হিসাবে নিয়োগ করে চেন্নাইয়ের কাছে কালপক্কম নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টে প্রোটোটাইপ রি-অ্যাক্টর তৈরির কাজ শুরু হয়৷

কিন্তু বিধি এবারও বাম! একে তো প্রকল্পের কাজ অত্যন্ত ধীর গতিতে এগোচ্ছিল, তার উপর বেশ কয়েকটি যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা যায়৷ এখন কী হবে দেশের প্রথম নিউক্লিয়ার সাবমেরিনের ভবিষ্যত? সংকটমোচন হয়ে ফের রঙ্গমঞ্চে অবতীর্ণ হয় রাশিয়া৷ ভারতীয় বৈজ্ঞানিকদের পাশে এসে দাঁড়ান রুশ সামরিক ইঞ্জিনিয়াররা৷ যাঁরা অতীতেও ব্রিটিশ-মার্কিন নৌবহরের বিরুদ্ধে ভারতের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন৷ এবার ভারতকে প্রথম পারমাণবিক সাবমেরিন তৈরিতে সাহায্য করতে এগিয়ে এল রাশিয়া৷ শুধু সাহায্যই নয়, ১৯৮৮-তে মস্কোর কাছ থেকে একটি চার্লি ক্লাস নিউক্লিয়ার পাওয়ার্ড সাবমেরিন লিজ নেয় ভারত, যার নাম দেওয়া হয় আইএনএস চক্র৷ কিন্তু ততদিনে ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছে সোভিয়েত ইউনিয়ন৷ জন্ম নিয়েছে রাশিয়ান ফেডারেশন৷ তাই শেষ পর্যন্ত মার্কিন-পন্থী লবির চাপে রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রথম রাষ্ট্রপতি বরিস ইয়েলতসিন লিজের মেয়াদ বাড়াতে অস্বীকার করায় ১৯৯১-এর জানুয়ারিতে সেটি ফিরে যায়৷

এদিকে, ১৯৯৬ পর্যন্ত ভারত পারমাণবিক রণতরীটি তৈরি করতে প্রায় ২৮৫.৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে ফেলেছে৷ গরিব দেশের কাছে সেটা অনেক টাকা৷ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের উপর ঘরে-বাইরে চাপ বাড়ছিল৷ সুযোগ নিতে দেরি করেনি আমেরিকাও৷ ‘আসিয়ান’ ও মার্কিন লবির চাপ বাড়াতে থাকে কেন্দ্রের উপর৷ মার্কিনপন্থী মস্কো সরকারের সঙ্গে ভারতের একটা আপাত দ্বন্দ্বও তৈরি হয়৷ এই সুযোগে আমেরিকা ভারতের বিশাল প্রতিরক্ষা বাজারে পা রাখতে চেষ্টার কোনও ত্রুটি করেনি৷ কিন্তু ভাগ্যদেবী মুখ তুলে চাইলেন৷ ২০০০ সালে রুশ মসনদ থেকে মার্কিনপন্থী সরকারের বিদায় ঘটতেই ফের ভারত-রুশ সম্পর্কের উষ্ণতা ফিরে আসে৷ একদিকে, রুশ ডিজাইনাররা জাহাজটির নকশা তৈরিতে সাহায্য করেন৷ অন্যদিকে, আকুলা ক্লাস হান্টার কিলার সাবমেরিনের প্রেসারাইজড ওয়াটার রি-অ্যাক্টর ভেসেল তৈরিতে ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারের বৈজ্ঞানিকদের সাহায্য করে রুশ সাবমেরিন ডিজাইন ব্যুরো (রুবিন)৷ যদিও ডুবোজাহাজটির চূড়ান্ত নকশা, কলকবজা ও সমরাস্ত্রের ইনস্টলেশন দেশীয় প্রযুক্তিতেই শেষ হয়৷ অ্যাটমিক এনার্জি কমিশনের চেয়ারম্যান অনিল কাকোদর ২০০৯ সালে প্রকাশ্যেই রাশিয়াকে ধন্যবাদ জানান৷

arihant-2

২০০৯-এর ২৬ জুলাই বিশাখাপত্তনমে সাবমেরিনটির চূড়ান্ত কাজ শুরু হয়৷ ২০১০ সালে নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর লাগানো হয় আইএনএস অরিহন্তে। তার পর সেটি পুরোদস্তুর নিউক্লিয়ার সাবমেরিন হয়ে ওঠে। ২০১৩ সালে সেই নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর চালু করা হয়। ২০১৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর সেই কাজ শেষ হয়৷ ৩৬৭ ফুটের জাহাজটি প্রকাশ্যে আসে৷ ভারত অত্যন্ত গোপনে জাহাজটি তৈরি করছিল৷ যেদিন সাবমেরিনটি প্রথমবার প্রকাশ্যে আসে, সেদিন নৌ ও বায়ুসেনার মিগ-২৯কে ও সুখোই-৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমান আগাগোড়া জাহাজটিকে ঘিরে রেখেছিল৷ জলপথে জাহাজটিকে সুরক্ষিত রেখেছিল পোসেইডন পি-৮১৷

কিন্তু আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই৷ এখনও বহু পথ চলা বাকি রয়ে গিয়েছে৷ এই মুহূর্তে চিনের সঙ্গে পাল্লা দিতে ভারতের আরও তিন’টি পারমাণবিক ডুবোজাহাজের প্রয়োজন৷ কারণ, বেজিংয়ের কাছে এখনই সরকারি হিসাব অনুযায়ী ৪টি এরকম জাহাজ রয়েছে, যার সংখ্যা ২০২০ সালের মধ্যে ৮-এ গিয়ে দাঁড়াবে বলে অনুমান৷ ভারতও অবশ্য আরও দুটি অরিহন্ত ক্লাস জাহাজ তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে৷ যাদের কোড নেম এস-২ ও এস-৩৷ ৬০০০ টনের অরিহন্ত ক্লাস সাবমেরিন এখনও রুশ বোরেই ক্লাস জাহাজের কাছে শিশু৷ ৫৭৪ ফুটের এক একটি বোরেই ১৬টি করে ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুঁড়তে পারে, একসঙ্গে ২০০টি শহর ধ্বংস করার হিম্মত রয়েছে৷ তবে ভারতের নেক্সট জেনারেশন এস-৫ আরও বড় হবে৷ ২০২০ সালের মধ্যে সেই কাজ শেষ করে চায় ভারত৷ পাশাপাশি রাশিয়ার কাছ থেকে আরও একটি পারমাণবিক যুদ্ধজাহাজ লিজে নিতে চায় ভারত৷ রুশ ওয়েবসাইটের তথ্য মোতাবেক ৮১৪০ টন ওজনের কাশালট সমুদ্রগর্ভে চলা ডুবোজাহাজের মধ্যে অন্যতম দ্রুত ও মারণক্ষমতা সম্পন্ন৷ একটানা ১৪ দিন জলের নিচে লুকিয়ে থাকতে পারার রেকর্ড রয়েছে জাহাজটির৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement