ফাইল ছবি
ক্রিসমাসের একটা পিঠ যেমন নিবিড় পারিবারিক, অন্য পিঠটি একান্ত নিঃসঙ্গতার। দস্তয়েভস্কি থেকে সমারসেট মম, জেফ্রি আর্চার থেকে ইয়ান ফসে- প্রত্যেকের লেখায়- ক্রিসমাস যেন ভিড়, হিড়িক, হুল্লোড়, আনন্দ ও উপভোগ্য অতিক্রম করে এক শব্দহীন শুভ্রতার কথা বলে। বড়দিন উপলক্ষে বিশেষ নিবন্ধ। কলমে রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়
‘স্যর’ জুলিয়ান ওয়ারউইক লন্ডনের এক বিপুল ব্যারিস্টার। মেয়ে গ্রেস-ও বাবার মতোই ব্যারিস্টার। জেফ্রি আর্চারের ‘নাথিং ভেনচার্ড্’ উপন্যাসে লন্ডনে ক্রিসমাস ডে-র সকালবেলা লাঞ্চের জন্য নিজের হাতে টার্কি কাটছেন ‘স্যর’ জুলিয়ান। উপন্যাসের ২৬ নম্বর চ্যাপ্টারে ক্রিসমাসের সকালে ঘটছে এই ঘটনা, যার শুরু টেলিফোনের শব্দে। “দ্য ফোন বিগ্যান টু রিং। ‘হু উড ইভেন কনসিডার কলিং আস অন ক্রিসমাস ডে!’ ডিমান্ডেড স্যর জুলিয়ান। ‘অ্যান্ড জাস্ট অ্যাজ্ আই অ্যাম অ্যাবাউট টু কার্ভ দ্য টার্কি।’” লন্ডনের ক্রিসমাস একেবারেই পারিবারিক ব্যাপার। কত দূর পারিবারিক? পরিবারের কর্তা যখন বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে লাঞ্চের টেবিলে টার্কি কেটে পরিবেশন করতে যাচ্ছেন, সেই সময় কোন অভদ্র অর্বাচীনের এত দূর স্পর্ধা হল ফোন কল করার?
ক্রিসমাসের একটা পিঠ যেমন নিবিড় পারিবারিক, অন্য পিঠটি একান্ত নিঃসঙ্গতার, বিশেষ করে
যে-মানুষটিকে ঘিরে নেই তার পরিবার, তার জন্য। ‘ডক্টর জিভাগো’ উপন্যাসে এবং দস্তয়েভস্কির লেখায় আমরা এই নিঃসঙ্গ, শীতল, বন্ধু ও সংসার-বর্জিত ক্রিসমাসের আভাস পেয়েছি, দেখেছি তার চেহারা। সম্প্রতি নরওয়ের লেখক ইয়ান ফসে তাঁর ‘সেপ্টোলজি’ উপন্যাসে নরওয়ের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে কিছু মানুষের জীবনে অসহনীয় শীতকাল এবং একা ক্রিসমাসের যন্ত্রণার অবয়বটি দেখিয়েছেন। ‘আমি বলতে চাই মেরি ক্রিসমাস, আর আমি ভাবছি, আই টেক আ শাওয়ার, দেন আই ড্রাই মাই লং গ্রে হেয়ার, অ্যান্ড দেন আই থিংক আই শুড হ্যাভ ব্রট ফ্রেশ ক্লিন ক্লোদস, অ্যান্ড আই টেক দ্য লিফট ডাউনস্টেয়ার্স, নিচে নামতে থাকি, তারপর সামনে ঠান্ডা বরফঢাকা রাস্তা, ভাবি, মেরি ক্রিসমাস বলব, কিন্তু কেউ নেই, অ্যান্ড আই হ্যাভ পুট অন মাই ব্ল্যাক কোট, অ্যান্ড আই ওপেন দ্য ব্ল্যাক ডোর, এবং ড্রাইভারের সিটে বসে পড়ি, গাড়িতে স্টার্ট দিই, সামনে শুধু অন্ধকার আর কেউ নেই, কোনও মেরি ক্রিসমাস নেই, আই ওয়ান্ট টু জাস্ট ড্রাইভ অ্যান্ড বি এম্পটি ইট’স লাইট সো ফিউ আওয়ার্স আ ডে ইন দিস টাইম অফ দ্য ইয়ার অ্যান্ড আই জাস্ট ড্রাইভ অ্যান্ড ডোন্ট থিংক এনিথিং, কিছু নেই, মেরি ক্রিসমাস কাকে বলব, কেউ নেই, সামনে একটা জানলা ছাড়া, শুঁড়িখানার জানলা, আই ফরগেট, টুডে ইজ ক্রিসমাস ইভ্, আর তখনও আমি কালো কোট পরে, গলায় স্কার্ফ জড়িয়ে গাড়িটাকে পার্ক করি শুঁড়িখানার পাশে, ভুলেই গিয়েছি আজ ক্রিসমাস ইভ…।’
বিশেষভাবে ইয়ান ফসের ‘সেপ্টোলজি’-র শেষ খণ্ড ‘আ নিউ নেম’-এর শেষের দিকে ক্রিসমাস যেন শীতল, নিস্তরঙ্গ, নিঃসঙ্গ, মৃত্যুময়। অন্তহীন রোদ্দুরহীনতা, বিস্তীর্ণ শৈত্য; যত দূর চোখ যায়- ভিড়, হিড়িক, হুল্লোড়, মাতামাতি আনন্দ ও উপভোগ, এসবের কোনও চিহ্ন নেই। ক্রিসমাস মানেই রোদ্দুরবিহীন মরা শুভ্রতা। ইয়ান ফসে, যিনি পাতার পর পাতা লিখেছেন ক্রিসমাস ডে বিষয়েই, তাঁর যতিচিহ্নবিহীন গদ্যে, তাঁকে যদি ক্রিসমাসের কলকাতার পার্ক স্ট্রিট- আলোকবন্যা ও মানবপ্লাবনের মধ্যে কিছুক্ষণ চেপে ধরা যায়, তিনি হয়তো শেষ শ্বাস ত্যাগের আগে বলতে পারেন আর্ত অন্তিম উচ্চারণে- এর নাম ক্রিসমাস! ক্রিসমাসে এত মানুষ বাড়ি থেকে বেরিয়ে কীসের সন্ধানে এসেছে এখানে?
ক্রিসমাস নিয়ে আরও একটি অসাধারণ লেখা মনে পড়ে গেল আমার। বহু বছর আগে পড়া, তখনও ছাত্র আমি। লেখাটার নাম, ‘ক্রিসমাস হলিডে’। লেখক, সমারসেট মম। সেই যে আমার ক্রিসমাসের আলোকিত উদ্যাপন, হুল্লোড়, হিড়িক-প্রবণতা ভেঙে চুরচুর হল, আর জোড়া লাগল না। ‘ক্রিসমাস হলিডে’- কী সুন্দর নাম! পড়লেই মনে হয়, ক্রিসমাসের উদ্যাপন ছুটি আর ভ্রমণের মধ্যে। আপাতভাবে এক বর্ণময় লেখার মধ্যে ঢুকেও পড়ি আমরা। সব আলো, সমস্ত উৎসব, যত কিছু হঠাৎ আলোর ঝলকানি, সব কিন্তু সমারসেট মমের ভাষার! যাঁরা এই অনবদ্য উপন্যাসটি এখনও পড়েননি, প্লিজ পড়বেন দু’টি কারণে: এই ক্রিসমাসের সব রোশনাই মমের গদ্যের এবং ভাবনার। এই উপন্যাসে নেই কোনও ক্রিসমাসের সরণিদীপন। এইটুকু অনুভব করার জন্য পড়তেই হবে মম-এর ‘ক্রিসমাস হলিডে’। এই উপন্যাসটি পড়ার আরও বড় একটি কারণ, ‘ক্রিসমাস হলিডে’ নামটির অন্তর-তঞ্চকতা জানা।
খুব সংক্ষেপে, মাত্র দু’-চার লাইনে গল্পটা হল চার্লি ম্যাসন নামের এক তরুণের, যার ধনী ইংরেজ বাপ তাকে প্যারিসে পাঠাচ্ছে ক্রিসমাস এনজয় করতে। কিন্তু হুল্লোড়, হিড়িক, হুজুক, নাচগান, ভিড়, আলো, খাওয়াদাওয়া- এসব কি সত্যিই কিছু দেয়? চার্লি, তার বন্ধু সাইমন এবং প্যারিসের বেশ্যা লিডিয়া- তারা ঢুকে পড়ে ক্রিসমাস ও প্যারিসের সবটুকু জুড়ে! ক্রিসমাসের ছুটিতে ফুটে ওঠে অসহনীয় একাকিত্বের বিপুল বিস্তার। গল্পটা কিন্তু হয়ে ওঠে এক বেশ্যার কাহিনি- যার মধ্যে ছড়িয়ে থাকে এক আকাশ নিঃসঙ্গ দুঃখের ক্রিসমাস। আর সমারসেট মম উপন্যাসটি লিখেছেন সেই হিরণ্ময় গদ্যে, যার পাশে ক্রিসমাসের সমস্ত আলোক-সরণিই ম্লান হয়ে যাবে। ক্রিসমাস হয়ে ওঠে ক্রমশ লিডিয়া নামের এক নিঃসঙ্গ, আর্তিময়, দিশাহারা বেশ্যার জন্য মনকেমনের উদ্যাপন। যে ক্রিসমাস-অনুভবের শেষে, সমারসেট মমের ভাষায়, মনে হয়, “দ্য বটম হ্যাড ফলেন আউট অফ হিজ (চার্লি’স) ওয়ার্ল্ড।”
ক্রিসমাস ইভ। কাঠমাণ্ডুতে আমি। হঠাৎ নামল শীতের বর্ষণ। যেমন শীত, তেমন বৃষ্টি। কিরণ, আমার বন্ধু, তাকে কথা দিয়েছি, আমি ক্রিসমাস ইভ কাটাব তার সঙ্গে, ধূলিখেলে। কাঠমাণ্ডু থেকে পাহাড়ি পথ পেরিয়ে ধূলিখেলে পৌঁছতে লাগে ঘণ্টাদেড়েক। তবে সে তো সকালবেলা! কিন্তু প্রবল শীত এবং অন্ধকার পাহাড়ি পথে প্রবল বর্ষণের মধে্য শুধু হেডলাইট জ্বালিয়ে ধূলিখেল যাওয়া আত্মহত্যার সমান। কিন্তু কিরণ আমার অপেক্ষায়, তার ‘হিমালয়ান হরাইজন’ সরাইয়ের শুঁড়িখানায় নেপালি মদ আর পাহাড়ি একাকিত্ব নিয়ে ক্রিসমাস ইভ্ উদ্যাপন করবে বলে– আর আমি বছর পঞ্চাশের তপ্ত যুবক, কথা রাখব না? তা কি হয়? বিশেষ করে সেই সময় আমার মনের এবং যাপনের যে অবস্থা, ক্রিসমাস ইভের রাত্রে যখন কাঠমাণ্ডুতে বৃষ্টি নামল তোড়ে, এবং সেই তোড় পৌঁছল শিলাবর্ষণের প্রাবল্যে, আমার মন বলল, আইদার ডেথ অর ধূলিখেল মাস্ট হ্যাপেন টু মি দিস ক্রিসমাস ইভ!
এখানে আমার মনের এই অবস্থার হদিশ দিতে আমার বিয়ে ভাঙার ব্যাপারটা চট করে সেরে নিই। বিয়ে ভাঙাটা অনেকটা ল্যান্ডস্লাইডের মতো। পাহাড়ে ধস নামলে তোলপাড়টা শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও একটা উত্তর-আলোড়ন এবং অনিশ্চয়তা চলতেই থাকে। বেশ অনেক দিন আগেই ভেঙেছে আমার দ্বিতীয় বিয়ে। কিন্তু ধস নামা শেষ হওয়ার পরেও মন তখনও খুঁজে পায়নি কোনওরকম স্থিরতা। ঠিক সেই সময়ে কিরণের ডাক এল, তার সঙ্গে পাহাড়ি গ্রাম ধূলিখেলে ক্রিসমাস কাটানোর। কে জানত, ক্রিসমাস ইভের বিকেল থেকে কাঠমাণ্ডুতে নামবে মেঘ-ডাঙা শীতবৃষ্টি। ক্রিসমাস ইভে আমি সঙ্গ চাইছিলাম। ঘন সঙ্গ, উত্তাপ, এবং মদ। তার জন্য যদি জীবন যায় যাবে, তবু বেরিয়ে তো পড়া যাক অন্ধকার শিলাবৃষ্টির পাহাড়ি পথে। গত বসন্তে কিরণই আমাকে আলাপ করিয়ে দিয়েছিল ধুলিখেলের এক মধ্যবয়সিনীর সঙ্গে, নাম উত্তরা। রোদে পোড়া রং। আর পাহাড়ি শরীর। ভাঙা-ভাঙা উংরেজি বলতে পারে। আর ব্যবহারে বেশ রং ঝরাতে পারে। উত্তরা হয়েতা থাকবে, এমন একটা আশা যে ছিল না, তা নয়। কিন্তু উত্তরা অর নো উত্তরা, আমি কিন্তু যাচ্ছি জীবনের রিস্ক নিয়ে বেপরোয়া পথ পেরিয়ে, কিরণের সঙ্গেই ক্রিসমাস ইভ কাটাতে- এই সারসত্য আমি কিন্তু নিজেকে বেশ শক্তপোক্ত বোঝাতে পেরেছি। বাঙালি চেষ্টা করলে কী না পারে!
সেই রাত্রে ধুলিখেলে পৌঁছনোমাত্র যে দু’-একটা হলুদ ল্যাম্প জ্বলছিল রিসর্টের ‘বার’-এ, তা-ও নিভে গেল। দুর্যোগের মধ্যে কোথায় পাহাড় আর জঙ্গলের মধ্যে ছিঁড়ে গিয়েছে তার, কে জানে। মন বলল, বাঁচা গেল। ক্রিসমাস ইভে বেশ লাগল মোমবাতি আর হ্যারিকেনের পাংশু, স্তিমিত প্রচেষ্টা। আমার মনখারাপ, আমার ধস-নামা একাকিত্ব যেন আঁচল পেল এই আলোয়। ভাগ্যের দয়ার কাছে নতজানু হল আমার কৃতজ্ঞতা। কিরণ এসে পিঠে হাত রেখে বলল, চিয়ার্স। হাতে তার ঘরে তৈরি সুরা, যা সিঙ্গল মল্ট স্কচের মহার্ঘ মায়াকে তুড়ি মেরে ওড়ায়। কী জানি কেন, খুব কান্না পেল আমার- মনে পড়ল স্ত্রীকে, ছেলেকে, কিন্তু চোখের জলকে গালে টপকাতে দিইনি।
ক্রিসমাস ইভ নিজের বিপন্ন ব্যথাকে নিজের নিবিড়ে আটকে রাখতে শেখায়। অস্কার ওয়াইল্ডের ‘ডে প্রোফানডিস’, কারাগার থেকে লেখা সেই আর্তিময় পত্র- সে তো গভীর ব্যক্তিগত বেদনার অনন্য অ-প্রকাশ, উচ্চারণ নয়। ধূলিখেলের ক্রিসমাস ইভে, পৃথিবীর সব উৎসব-উজ্জ্বলতা নিভিয়ে ‘ডে প্রোফানডিস’ কোথা থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসল আমার হৃদয়ে। সেই সুদূর নির্জন পাহাড়পুরের ক্রিসমাস হয়ে উঠল আমার বাকি জীবনের একাকিত্বের উদ্যাপন। ২০২৩ থেকে পিছন ফিরে তাকিয়ে মনে পড়ছে- পাহাড় আর অরণ্য আর হঠাৎ রাত্তির আর ঝড়জল-ঘেরা, সেই মোম-আলোর স্তিমিত পানশালা। ছায়া-ছায়া কিছু স্তিমিত নর-নারী বসে আছি আমরা। আমার চোখ বারবার খুঁজছে উত্তরাকে। সে কোথায়? কখন আসবে? দ্বিধান্বিত এসব প্রশ্ন গিলে ফেলাই ভাল। যা পেয়েছি, এই টুকুই উপভোগ করি না কেন? এই যে নিঃসঙ্গ ক্রিসমাস, তা কি সত্যিই ছুঁতে পারে না সেই অন্বেষী অতল, যার নাগাল পাবে না কোনও দিন লক্ষ-লক্ষ মানুষের ভিড়ে আক্রান্ত কোনও আলোকিত মোচ্ছব এবং সমারোহ?
এই প্রশ্নটাই তো তুলেছেন অনিকেত ইশারায় ক’দিন আগে তাঁর ‘প্রফেট সং’ উপন্যাসটির জন্য বুকার পুরস্কার পাওয়া আইরিশ লেখক পল লিন্চ তাঁর ‘ক্রিসমাস ডে’ গল্পে। লিন্চের ‘ক্রিসমাস ডে’ অবিরল সঙ্গহীনতার বার্তা দিয়ে যায় আমাদের, যার পাশে ম্লান হয়ে যায় সব আলো! আবার ফিরে যাই ধূলিখেলে আমার ক্রিসমাসে-কিছুক্ষণের মধ্যে অন্য একরকমের আলো এবং হলকা এল পানশালায়। জ্বালানো হয়েছে আগুন। এই তাপটুকুর বড় প্রয়োজন ছিল। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই মদের গন্ধে মিশল ঝলসানো মাংসের গন্ধ। পরিবেশটা সরে গেল সভ্যতা থেকে যেন অনেক দূরে, আরণ্যক পরিবহে। ততক্ষণে পানশালা বেশ বুঁদ। বাক্যহীন ছায়ারা যে-যার মধ্যে ডুবে আছে। আমার চোখ খুঁজে চলেছে উত্তরাকে। কিন্তু কোথায় সে?
ততক্ষণে এক ছোকরা বাঁশিতে ফুঁ দিয়েছে। নেপালের আরণ্যক সুর- আমার কাছে যা নিয়ে এল দূরের ডাক। জীবনের ব্যাপক ভঙ্গুরতার মধ্যে বাঁশির এই সুর যেন কোনও হারিয়ে যাওয়া প্রাচীন প্রত্যয়ের।
আর মনে এল সেই মত্ত নিঃসঙ্গ ক্রিসমাসের সন্ধ্যায়, রোমান ইন্টেলেকচুয়াল সিসেরোর একটি লাইন: ভগবানের সঙ্গে মানুষের আদ্যিকালের পার্টনারশিপটা আমরা যেন ভুলে না যাই! এবং সেইটি মনে রাখার জন্য প্রয়োজন- নিবিড় একাকিত্ব। ভগবানের ছেলের জন্মদিনেও।
ক্রিসমাস নিয়ে আরও একটি অসাধারণ লেখা মনে পড়ে গেল আমার। বহু বছর আগে পড়া, তখনও ছাত্র আমি। লেখাটার নাম, ‘ক্রিসমাস হলিডে’। লেখক, সমারসেট মম। সেই যে আমার ক্রিসমাসের আলোকিত উদ্যাপন, হুল্লোড়, হিড়িক-প্রবণতা ভেঙে চুরচুর হল, আর জোড়া লাগল না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.