একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, ভারতে ২০২৪ সালে বিয়ের গড় বাজেট ৩৬.৫ লক্ষ টাকা, ২০২৩ সালের তুলনায় যা ৭% বেশি। ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কিং ও ব্রোকারেজ সংস্থা ‘জেফারিজ’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, ১০.৭ লক্ষ কোটি টাকার বাজার নিয়ে ভারতে বিবাহ দ্বিতীয় বৃহত্তম ভোগভিত্তিক বিভাগ, যা খাবার এবং মুদিখানার পরেই আসে। লিখছেন অর্ধেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়।
‘বিয়েবাড়ি’-র কথা উঠলেই আমার বড় দাদুকে খুব মনে পড়ে। দশাসই চেহারায় তিনি চ্যালেঞ্জ করে মাংস আর মিষ্টি খেতে পারতেন। দেখার জন্য লোকজনের ভিড় জমে যেত। কোমরের গামছা কষে এঁটে, হাতা-বালতি বাগিয়ে পরিবেশক ঠায় দঁাড়িয়ে থাকতেন। পাত যেন ততক্ষণ খালি না যায়, যতক্ষণ না কেউ হাত তুলে পরাজয় মেনে নিচ্ছে। পাতপেড়ে বসে কবজি ডুবিয়ে খাওয়ার সাবেক রেওয়াজ থেকে হাল আমলের পাত নিয়ে ঘুরে ঘুরে খাওয়ার বুফে ব্যবস্থা– গত ১০০ বছরে বিয়ের আদল নানাভাবে বদলে গিয়েছে।
‘জীবনস্মৃতি’-তে রবীন্দ্রনাথ যেমন বলেছিলেন যে, ‘তখনকার কালের ভদ্রলোকের মানরক্ষার উপকরণ দেখিলে এখনকার কাল লজ্জায় তাহার সঙ্গে সকলপ্রকার সম্বন্ধ অস্বীকার করিতে চাহিবে’– তেমনই হালের বিয়ের অনুষ্ঠান দেখলে– তখনকার দিন-কাল নিশ্চিত ভিরমি খাবে। একসময় অবিবাহিত মেয়ের বয়স
১১ বছর হয়ে গেলে মেয়ের বাবার ঘুম উড়ে যেত, কেন না জাতিচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা ছিল। আর এখন, মেয়েরা লেখাপড়া শিখে স্বাবলম্বী হয়ে নিজের বিয়ের সিদ্ধান্ত নিজেরাই নিতে পারে, বাপ-মা অত মাথা ঘামান না। বিয়ের মূল সুর হিসাবে ‘দুইটি হৃদয়ে একটি আসন/ পাতিয়া বোসো হে হৃদয়নাথ!/ কল্যাণকরে মঙ্গলডোরে/ বঁাধিয়া রাখো হে দোঁহার হাত’-এর পাশাপাশি আয়োজনে অত্যাধুনিকতার চোখধঁাধানো জৌলুস নতুন যুগের সূচনা করেছে।
কয়েক মাস আগেই অনন্ত আম্বানির বিয়েকে কেন্দ্র করে গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমগুলি
হইচই ফেলে দিয়েছিল। কী নেই সেখানে, কে নেই সেখানে– কয়েক হাজার কোটি টাকার সেই বিয়েকে অনেকেই প্রশংসা করেছেন, আবার অনেকে সমালোচনাও। ভারতে বিয়ে যেমন একদিকে আবশ্যক ধর্মীয় অনুষ্ঠান, তেমনই অন্যদিকে গর্বেরও প্রতীক।
শুভদিন খুঁজে বাহুল্যে ঠাসা (মূলত হিন্দুর) বিয়ের অনুষ্ঠান চিরকালের ধারা। দরিদ্র গৃহস্থ ঘর হোক কিংবা ধনবান, সামর্থ্যানুযায়ী প্রতিটি পরিবার স্মৃতির উপকরণ হিসাবে জীবনের ওই বিশেষ মুহূর্তটিকে যথাসম্ভব সাজিয়ে তোলেন। প্রত্যেকেই চান তঁাদের বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন এবং সামাজিক বৃত্তে যেন বিবাহ অনুষ্ঠানটি প্রশংসিত হয়। অর্থব্যয় হলে হোক, কিন্তু বদনাম যেন না রটে। ভোক্তা-সংস্কৃতির সমালোচকরা অসংযত ব্যয়ের আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানগুলিকে কটাক্ষ করলেও, ভারতের অর্থনীতিতে এর প্রভাবকে কিন্তু উপেক্ষা করা যায় না।
বিয়ে এখন একটি শিল্প। ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কিং ও ব্রোকারেজ সংস্থা ‘জেফারিজ’-এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ১০.৭ লক্ষ কোটি টাকার বাজার নিয়ে ভারতে বিবাহ দ্বিতীয় বৃহত্তম ভোগভিত্তিক বিভাগ, যা খাবার এবং মুদিখানার পরেই আসে। এমনকী, জানা গিয়েছে যে, প্রাক-প্রাথমিক থেকে স্নাতকোত্তর স্তর পর্যন্ত শিক্ষার তুলনায় সমস্ত ভারতীয় বিয়ের অনুষ্ঠানে দ্বিগুণ ব্যয় করে। ভারতে বিয়ের গড় খরচ (‘সিএআইটি’ বা ‘কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডারস’-এর তথ্যানুযায়ী, ১২ লাখ টাকা) মাথাপিছু জিডিপি-র চেয়ে প্রায় পঁাচগুণ বেশি। একটি পরিবার তার বার্ষিক আয়ের প্রায় তিনগুণ ব্যয় করে থাকে। ২০২৩ সালে, অভিজাত বিয়েগুলি ভারতের মোট বিয়ের প্রায় এক শতাংশ ছিল এবং দেশে অনুষ্ঠিত সমস্ত বিয়ের খরচের (গড়ে ১ কোটি টাকা) ১২ শতাংশ অধিকার করেছিল। অন্যদিকে, সর্বনিম্ন ব্যয়কারীরা, যারা বিয়ের সংখ্যার ১৭ শতাংশ ছিল, তারা খরচের (গড়ে তিন লক্ষ টাকা) ক্ষেত্রে চার শতাংশ অবদান রেখেছিল। আর বাদবাকি মধ্যস্তরের বিয়েগুলি যা ছিল, মোট বিয়ের ৫১ শতাংশ এবং মোট খরচের (গড়ে ১০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা)
৬৩ শতাংশ অংশীদারিত্ব রেখেছিল।
বিয়ের এই বাজার গয়না, পোশাক, হোটেল বা বিয়েবাড়ি, কেটারিং, সাজসজ্জা, ভ্রমণ ও লাইভ অনুষ্ঠানের মতো একাধিক স্তরে বিনিয়োগের সম্ভাবনা উন্মুক্ত করেছে। ‘সিএআইটি’ জানাচ্ছে যে, ‘গয়না’ ও ‘কেটারিং’ হল এমন দু’টি সাধারণ ক্ষেত্র, যা অভিজাত থেকে নিম্নবিত্ত– সকলকে দিয়ে বিয়ের বাজেটের সবচেয়ে বেশি অংশ খরচ করায়। হিসাব দেখলে, ২০২৩ সালের সমস্ত বিয়ে মিলিয়ে প্রায় ৩,৫০০ থেকে ৪,০০০ কোটি টাকা কেবল গয়না কিনতে ব্যয় হয়েছে, কেটারিংয়ে ২,৬০০ কোটি, বিভিন্ন ইভেন্ট মিলিয়ে ১,৮০০ কোটি, ছবি তুলতে ১,০০০ কোটি ও অন্যান্য খাতে ২,৫০০ কোটি অবধি খরচ করা হয়েছে। ফলে দেশের কোম্পানিগুলোরও পোয়া বারো। অর্থাৎ, গয়নার ব্র্যান্ড হিসাবে ‘টাইটান’, ‘সেনকো’, ‘কল্যাণ জুয়েলার্স’ ইত্যাদি যৌগিক বার্ষিক বৃদ্ধির হার অনুযায়ী যথাক্রমে– ২৪, ২১ ও ১৬ শতাংশ রেভেনিউ তুলেছে বলে খবর। অন্যদিকে, পোশাকের কোম্পানি ‘মান্যবর’, ‘বেদান্ত ফ্যাশন’, ‘রেমন্ড’, ‘অরবিন্দ ফ্যাশন’ প্রমুখ, এবং অনলাইন ঘটকালি সংস্থা– যথা, ‘ভারত ম্যাট্রিমনি’, ‘জীবনসাথী’ ইত্যাদি ও যেসব বিয়ে কোনও
বিশেষ স্থানে গিয়ে হয়েছে অর্থাৎ, ‘ডেস্টিনেশন ওয়েডিং’– সেখানে যাতায়াতের মাধ্যম হিসাবে প্লেন কোম্পানি ও আতিথেয়তার জন্য বিভিন্ন হোটেল সংস্থা লাভের মুখ দেখেছে। পরোক্ষভাবে লাভবান হয়, গাড়ি সংস্থা, ইলেকট্রনিক্স, রং, ট্রাভেল ব্যাগ ও জুতোর কোম্পানিগুলি।
মনে রাখতে হবে, নভেম্বর-ডিসেম্বর হল বিয়ের মরশুম। এই সময় গড়ে প্রায় ৩৫ লক্ষ বিয়ে হয়ে থাকে। উল্লিখিত ক্ষেত্রগুলি এই সময় তাই তীব্রভাবে গতিশীল হয়ে ওঠে। ফলস্বরূপ এটা কর্মসংস্থানও তৈরি করছে। অনুমান করা হয় যে, প্রায় এক কোটির বেশি মানুষ এই সময় কাজ পেয়ে থাকে। সেটা ওয়েডিং প্ল্যানার, ফোটোগ্রাফার এবং ভিডিওগ্রাফার, কেটারার এবং ডেকরেটর, মেক-আপ আর্টিস্ট এবং হেয়ার স্টাইলিস্ট, সংগীতশিল্পী এবং বিনোদন পেশাদার, বিয়ের প্রয়োজনীয় সামগ্রী তৈরিতে জড়িত কারিগর ইত্যাদি নানাস্তরে বণ্টিত হয়। সরকারও তাই এবার নড়েচড়ে বসেছে। প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং ভারতকে বিশ্বের কাছে বিয়ের গন্তব্যস্থল হিসাবে গড়ে তোলার জন্য পর্যটন মন্ত্রককে বিশেষ জোর দিতে বলেছেন। তিনি গত বছরই ২৬ নভেম্বর তঁার ‘মন কি বাত’ সম্প্রচারের সময় ‘ওয়েড ইন ইন্ডিয়া’ ধারণাটি চালু করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মনে করেন যে, এটা অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সাহায্য করবে। কেননা মানুষ এখন সেলিব্রিটিদের বিভিন্ন সিনেমায় দেখানো সুন্দর-সুন্দর থিমে দূরে গিয়ে বিয়ে করতে আগ্রহী। অনেকে সমুদ্র সৈকতে বিবাহের দিকে ঝুঁকছে।
তবে এখনও এটা অসংগঠিত ক্ষেত্র। কিন্তু অদূর ভবিষ্যতে এটা স্থিতিস্থাপকতা এবং বৃদ্ধির সম্ভাবনা প্রদর্শন করছে। প্রযুক্তির আবির্ভাব বিবাহের পরিকল্পনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে প্রস্তুত। ডিজিটাল পরিষেবাগুলি বৈদ্যুতিন আমন্ত্রণপত্র থেকে শুরু করে নানাবিধ কাজ ভাগ করে নেওয়ার জন্য ডেডিকেটেড অ্যাপ্লিকেশন এবং সোশ্যাল মিডিয়া উদ্যাপন প্রক্রিয়াতে ক্রমবর্ধমান প্রধান ভূমিকা পালন করছে।
তবে কথায় আছে, প্রদীপের তলাতেই থাকে সূচিছিদ্র অঁাধার। তাই একই সঙ্গে এটা অনেকের কাছে ঋণের বোঝা হিসাবেও দেখা দিচ্ছে। যদিও এ-কথা সত্য যে, অনেকেই বিয়ের জন্য ঋণ নেওয়াকে স্বাভাবিকই মনে করে। তবে দেখনদারির চক্করে ঋণ নিয়ে বহু মানুষ সর্বস্বান্তও হচ্ছে। ‘সিচুয়েশন অ্যাসেসমেন্ট অফ এগ্রিকালচারাল হাউজহোল্ডস অ্যান্ড ল্যান্ড অ্যান্ড লাইভস্টক হোল্ডিংস অফ হাউজহোল্ডস ইন রুরাল ইন্ডিয়া, ২০১৯’-এর (এনএসএস ৭৭তম রাউন্ড) তথ্য এক উদ্বেগজনক বাস্তবতাকে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত করে। ছোট জমির মালিক ও কৃষকরা বেশিরভাগ সময় বিয়ের জন্য যে-ঋণ নেয়, তা হয় আত্মীয়-বন্ধুদের কাছ থেকে, নয়তো মহাজনের কাছে। পরবর্তী কালে স্বাভাবিকভাবেই ঋণশোধের ব্যাপারে অনেকেই অসহায় অনুভব করে।
‘ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো’ (এনসিআরবি)-র উদ্ধৃতি দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে যে, কৃষকদের মধ্যে আত্মহত্যার অন্যান্য প্রধান কারণের মধ্যে বৈবাহিক সমস্যা, যৌতুক এবং সামাজিক অসম্মানও অন্তর্ভুক্ত। সর্বনাশেই তো পৌষ মাস ঘাপটি মেরে থাকে। দেখা যাচ্ছে, বিয়েকে কেন্দ্র করে খরচের ব্যাপারে নানা সুবিধা নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাঙ্কগুলি হাজির হয়েছে। আইডিএফসি ফার্স্ট ব্যাঙ্ক, এসবিআই, এইচডিএফসি, আইসিআইসিআই ইত্যাদি বিভিন্ন ব্যাঙ্ক বিয়ের জন্য আর্থিক সুবিধা প্রদান করে থাকে। তাই আতিশয্য বেশি হলে তার প্রভাব যেমন বাজার-অর্থনীতিতে পড়বে, তেমনই মানুষের মনে গেঁথে যাবে অমোঘ মুহূর্তগুলোর খণ্ডচিত্র। আর, সেই গর্বে অনেকেই কঁাধ ঝঁাকিয়ে নেবে। তারিফের এমন সুযোগ আমমানুষের জীবনে ক’টা আসে? তাই একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, ২০২৪ সালে বিয়ের গড় বাজেট ৩৬.৫ লক্ষ টাকা দঁাড়িয়েছে, ২০২৩ সালের তুলনায় যা ৭% বেশি। ওয়েডিং ফার্ম ‘ওয়েডমিগুড’-এর প্রতিবেদনে যদিও বলা হয়েছে, ভেনু্য ও কেটারিংয়ের মতো খরচ বছরে ১০ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় এমনটা হয়েছে। মুনাফার দৌড়ে এটা যে আরও বাড়বে, তা বলা বাহুল্য।
এখানে আর-একটি অভিনব কথা হল, গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বিয়েতে বেশি ব্যয় করলে বিবাহবিচ্ছেদের সম্ভাবনা বাড়তে পারে! গবেষকদের মত, পুরুষদের ক্ষেত্রে বাগদানের আংটির পিছনে দুই থেকে চার হাজার ডলার ব্যয় করলে, ৫০০ থেকে দুই হাজার ডলার খরচকারীর তুলনায় বিবাহ বিচ্ছেদের ঝুঁকি ১.৩ গুণ বেড়ে যায়। ‘ইকোনমিক এনকোয়ারি’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় (অর্থনীতির শিক্ষক অ্যান্ড্রু ফ্রান্সিস-ট্যান এবং হুগো এম. মিয়ালন পরিচালিত) যুক্তরাষ্ট্রে তিন হাজারেরও বেশি ব্যক্তির উপর এই অধ্যয়ন করা হয়েছিল। ভারতের ক্ষেত্রে এরকম কোনও গবেষণা হয়েছে কি না, তা আমার জানা নেই। তবে, দেখা যাচ্ছে যে, খরচে বাহুল্য বাড়লেও একই সঙ্গে বিয়ের সামাজিক মূল্য হ্রাস পেয়েছে। তাই জেন জি-রা অনেকেই এখন দেরিতে বিয়ে করছে অথবা লিভ-ইন সম্পর্কের দিকে ঝুঁকছে। এমনকী, সন্তানের দায়দায়িত্বের ব্যাপারেও শিথিলতা দেখা যাচ্ছে। সন্তানগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিতে অনেকেই পিছপা হচ্ছে। ফলে দেশের প্রজননের বিকাশে প্রভাব পড়ছে। ভবিষ্যতে এটা ‘এজিং’ সমস্যার সৃষ্টি করবে, যেমনটা চিন-জাপানে ঘটেছে। রাশিয়া সন্তান উৎপাদনের জন্য মেয়েদের ভাতা দেওয়ারও প্রস্তাব দিয়েছে। তার জন্য একটা আস্ত ‘মিনিস্ট্রি অফ সেক্স’ খোলার ভাবনাচিন্তাও শুরু হয়েছে।
বিয়ের বাজার-অর্থনীতি ও সামাজিক মূল্যায়নের এমন একটা জটিল সময়ে পৌঁছে মনে পড়ে, প্রায় ১০০ বছর আগে ‘ম্যারেজ অ্যান্ড মরালস’ (বিবাহ ও নৈতিকতা) নামের একটি বই প্রকাশিত হয়েছিল। ১৯৫০ সালে বার্ট্রান্ড রাসেল বইটির জন্য নোবেল পুরস্কারও পেয়েছিলেন। সেখানে রাসেল বিয়ের পরিবর্তিত ভূমিকা, যৌন নীতিশাস্ত্র এবং জনসংখ্যার প্রশ্নগুলিকে অপূর্বভাবে অন্বেষণ করেছিলেন। কৌতূহল হয়, তিনি যদি বেঁচে থাকতেন, তাহলে বইটিতে কী-কী সংযোজন বা বিয়োজন করতেন?
(মতামত নিজস্ব)
লেখক অধ্যাপক, বাসন্তী দেবী কলেজ
[email protected]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.