Advertisement
Advertisement

Breaking News

Agniveer

ভারতীয় সেনার ‘ঠিকা শ্রমিক’! অগ্নিবীর প্রকল্প ঘিরে সংশয়

গোড়া থেকেই সমালোচনা-মুখর ‘অগ্নিবীর’ প্রকল্প।

Doubts, opacity created around the Agniveer project
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:July 19, 2024 1:43 pm
  • Updated:July 19, 2024 1:43 pm  

‘অগ্নিবীর’ প্রকল্প গোড়া থেকেই সমালোচনা-মুখর। কারণ, এটি পূর্ণাঙ্গ সরকারি নিয়োগ নয়। যাদের নিয়োগ হচ্ছে, তারা সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বহুলাংশে বঞ্চিত। তাদের ‘মান’, ‘নৈতিক’ অবস্থান, ভবিষ্যৎ– সব ঘিরেই তৈরি হয়েছে সংশয়, অস্বচ্ছতা। লিখছেন অর্ণব সাহা

চরণজিৎ সিং, কাশ্মীরের নওসেরা সেক্টরে কর্তব্যরত অবস্থায় ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে মৃত ‘অগ্নিবীর’ জওয়ান অজয় সিংয়ের বাবা, ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন। নিজে দিনমজুর। লুধিয়ানার রামগড় সর্দারন গ্রামের অজয় ছিল তঁার একমাত্র পুত্রসন্তান, যিনি বারো ক্লাস অবধি পড়ার পর ২০২২-এ দ্বিতীয় মোদি সরকারের চালু করা ‘অগ্নিপথ’ স্কিমের অধীনে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে নাম লেখায়। ছোট থেকেই দেশের জন্য লড়াইয়ের স্বপ্ন দেখা এই সদ্য-যুবক কাশ্মীরের জঙ্গি-উপদ্রুত এলাকায় মারা গেলেও ভারতীয় সেনাবাহিনী তঁাকে ‘শহিদ’-এর মর্যাদা দেয়নি। ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ১ কোটি টাকার জায়গায় তঁার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে মাত্র ৪৮ লক্ষ টাকা। ‘অগ্নিবীর’ প্রকল্পের নিয়মে অজয়ের পরিবারের জন্য পেনশন নেই। নেই অন্যবিধ সরকারি সুযোগ-সুবিধার সংস্থান। অজয় সিংয়ের মা মনজিৎ কউর ভেঙে পড়েছেন। যেমন, অল্পবয়সি পুত্রের শোকে, তেমনই ছেলের আশৈশব যে-স্বপ্ন ছিল ভারতীয় সেনার জওয়ান রূপে পরিচিতি পাওয়ার, ‘শহিদত্ব’-র সেই স্বীকৃতি না-মেলার ক্ষোভও এতে ইন্ধন জুগিয়েছে যথেষ্ট।

Advertisement

জুন, ২০২২ সালে চালু হওয়া ভারতীয় সেনাবাহিনীর ‘অগ্নিবীর’ প্রকল্প গোড়া থেকেই প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে। প্রকল্প ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিহার, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, ঝাড়খণ্ড জুড়ে যুব-বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। বিভিন্ন রাজ্য থেকে ট্রেনে-বাসে অগ্নিসংযোগের ‘খবর’-ও আসতে থাকে। মনে রাখতে হবে, এই রাজ্যগুলো থেকে বিরাট সংখ্যক যুবক দীর্ঘ দিন ধরেই সেনাবাহিনীতে যুক্ত হন। কিন্তু দ্বিতীয় মোদি সরকারের এই নয়া সেনা-রিক্রুটমেন্ট নীতি এতদিন ধরে চলে আসা ভারতীয় জওয়ানদের প্রাপ্ত বিভিন্ন সরকারি সুযোগসুবিধা একলপ্তে অনেকটাই কাটছঁাট করে দেয়। একাধিক প্রাক্তন সেনাকর্তা, বিরোধী দল কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টির দুই প্রধান যথাক্রমে রাহুল গান্ধী ও অখিলেশ সিং, ‘আপ’ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল এমনকী এও ঘোষণা করেছিলেন, ২০২৪-এ ‘ইন্ডিয়া জোট’ ক্ষমতায় এলে তঁারা এই প্রকল্প সম্পূর্ণ বাতিল করবেন।

[আরও পড়ুন: কোটা বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল বাংলাদেশ, অব্যাহত রক্তক্ষরণ, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩২!]

এমন কী-কী রয়েছে এই প্রকল্পে, যার জন্য প্রধান বিরোধী দলনেতা থেকে শুরু করে সাধারণ কৃষক পরিবারের যুবকেরা এই পরিমাণ বিরোধিতায় নামলেন? প্রথমত, এই নিয়োগ পূর্ণাঙ্গ সরকারি নয়। এই প্রকল্পের অধীনে সাড়ে সতেরো থেকে একুশ বছর বয়সি যুবক-যুবতীরা চার বছরের জন্য নিযুক্ত হবে সেনাবাহিনীতে। তাদের এই নিয়োগকে বলা হয়েছে ‘ট্যুর অফ ডিউটি’, যা কোনওভাবেই পূর্ণ নিয়োগ নয়। ফলে, একই সেনাবাহিনীতে পাশাপাশি থাকছে দুই ধরনের জওয়ান। একদল পূর্ণ সময়ের দেশরক্ষক। তঁাদের রয়েছে নির্দিষ্ট মাসমাইনে, প্রোমোশনের সুযোগ, প্রয়োজনীয় ছুটি নেওয়ার অধিকার, অবসর গ্রহণের পর পেনশন-সহ একাধিক সুবিধা। উল্টোদিকে ‘অগ্নিবীর’ সেনাদের মধ্যে মাত্র ২৫ শতাংশকে চার বছরের পর বাহিনীতে কো-অপ্ট করা হতে পারে। বাকিদের জন্য নেই কোনও পেনশন বা অবসরকালীন সুবিধা। এরা স্পষ্টতই ভারতীয় সেনার ‘ঠিকা শ্রমিক’।

দ্বিতীয়ত, ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাধারণ জওয়ানরা এত দিন যেসব সরকারি সুযোগ পেত, সেগুলো কেড়ে নিয়ে সামান্য ১১ লক্ষ টাকার ‘সেবা-নিধি’ প্যাকেজ হাতে ধরিয়ে এই ঠিকা সেনাদের অবসর নিতে বাধ্য করা হবে। যখন এই অংশটি অবসর নেবে তখন এদের বয়স অল্প, দেশব্যাপী বাড়তে থাকা বিরাট বেকারবাহিনীতে নাম লেখানো ছাড়া তাদের সামনে অন্য কোনও ভবিষ্যৎ থাকবে না। যা সম্পূর্ণ এতদিনের রীতি-বিপরীত।

[আরও পড়ুন: গম্ভীর নন, আগরকরের ইচ্ছাতেই টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সূর্য? দল ঘোষণার পরে জোর চর্চা]

এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে ভারতীয় সেনায় বস্তুত ‘হায়ার অ্যান্ড ফায়ার’ এই বিলগ্নীকরণ নীতিই চালু হতে চলেছে, যা সেনাদের এতদিনের জীবন-জীবিকার নিরাপত্তার পরিপন্থী। অবসরের পর এই ‘অগ্নিবীর’-দের পুলিশ ফোর্স অথবা অন্যান্য আধা-সেনায় চাকরির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে– এ-কথা বলা হলেও এক গভীর অনিশ্চয়তা গ্রাস করছে দেশের সেসব রাজ্যের যুবকদের, যেখানে সেনায় নিয়োগ দীর্ঘদিন ধরেই এক ধরনের জীবিকার নিশ্চয়তা হিসাবে দেখা হয়। হরিয়ানা, হিমাচলপ্রদেশ-সহ উত্তর ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে এবারের লোকসভা ভোটে বিজেপির খারাপ ফলের পিছনে এই ঠিকা সেনা নিয়োগও একটি কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। এবং অবসরের পর, এই অনিশ্চিত বেকারবাহিনী অপরাধ বা অন্য কোনও কাজের সঙ্গে জড়িয়েও যেতে পারে, কারণ, সৈনিক জীবনের এই স্বল্পমেয়াদি অভিজ্ঞতায় তারা অস্ত্রচালনা ছাড়াও এমন কিছু কাজের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছে, যা সামাজিক সুস্থিতির বিরুদ্ধেও তাদের চালিত করতে পারে।

কিন্তু এই প্রকল্পের প্রতি সবচেয়ে বড় অভিযোগ, এর ফলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর মান ক্রমশ নিচে নামবে। দেশের জাতীয় সুরক্ষা ও নিরাপত্তার প্রশ্নটি আর অগ্রাধিকারের জায়গায় থাকবে না। এই অভিযোগও বিরোধী কংগ্রেসের প্রধান নেতৃবৃন্দ-সহ একাধিক প্রাক্তন সেনা-অধিকর্তা প্রকাশ্যে তুলেছেন। একজন পূর্ণসময়ের সৈনিককে যেখানে ন্যূনতম এক থেকে দু’-বছরের কঠোর ট্রেনিং দিয়ে দেশরক্ষার জন্য প্রস্তুত করা হয়, সেখানে ‘অগ্নিবীর’ সেনানীর জন্য বরাদ্দ মাত্র ছ’-মাস! এমনকী, বিশেষজ্ঞদের মত, একটি সম্পূর্ণ যুদ্ধোপযোগী মানসিক কাঠামো গড়ে তুলতে কমপক্ষে চার থেকে ছ’-বছর সময় লাগে। কিন্তু এক্ষেত্রে ওই স্বল্পকালীন ট্রেনিংয়ের পরই তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হতেই পারে শত্রুর কামানের সামনে খাদ্য হিসাবে। অপটু, অর্ধ-দক্ষ এই ঠিকা সেনাকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অভ্যন্তরীণ অথবা বহিঃশত্রুর সামনে অসহায় অবস্থায় ফেলে দেওয়া হতেই পারে! অথচ, ওই প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার মতো পর্যাপ্ত ট্রেনিং আদৌ পেয়েছেন কি না এরা, সে প্রশ্ন উঠতে বাধ্য।

যে-কোনও দেশের সেনাবাহিনীতেই ‘স্পেশালাইজড ট্রেনিং’ একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাকে কার্যত পাশ কাটিয়ে যাওয়া হচ্ছে এই প্রকল্পে। এরা পরিগণিত হবে এক ধরনের ‘সেকেন্ড ক্লাস সোলজার’ রূপে, যাদের মধ্যে দেশপ্রেমের নৈতিক শক্তি, দীর্ঘস্থায়ী লড়াইয়ের উপযুক্ত শারীরিক ও স্ট্র্যাটেজিক সক্ষমতা– সবেরই বিরাট ঘাটতি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষত, বায়ুসেনা ও নৌবাহিনীর মতো বিশেষ দক্ষতার ক্ষেত্রগুলোয় এই ঠিকা সৈনিকদের নিয়োগ জাতীয় সুরক্ষার ক্ষেত্রে বিপর্যয় ঘটাতে পারে। এই স্বল্পকালীন চুক্তি-সেনারা যেহেতু এত অল্প সময়ের ভিতর মূল বাহিনীর সঙ্গে সম্পূর্ণ একাত্ম হওয়ার সময় ও সুযোগ কোনওটাই পাচ্ছে না, তাই তাদের মধ্যে একতার বোধ ও রেজিমেন্টেড কর্মক্ষমতার বিকাশ ঘটতেও সমস্যা হবে, এ-কথা বলাই যায়।

আরও গুরুত্বপূর্ণ হল, ২০৩২-’৩৩ সালের মধ্যে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অর্ধেক অংশই হবে এই ‘অগ্নিবীর’ নামধারী চুক্তিভিত্তিক সেনা, যা ভারতীয় সেনাবাহিনীর শত্রুকে প্রতিহত করার স্বাভাবিক শক্তিকেই খর্ব করতে পারে। বিশেষত, এই মুহূর্তে দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র চিন এবং পাকিস্তানের আগ্রাসী নীতি ভারতকে ‘জিওপলিটিক্যাল’ দিক থেকে ঘিরে ফেলতে চাইছে। চিন তো অরুণাচল প্রদেশের একটা বড় অংশকে নিজেদের কব্জায় নিয়েছে বলেও বিরোধীরা অভিযোগ করছেন।

যদিও সেনাবাহিনীতে স্বল্প সময়ের এই ‘ট্যুর অফ ডিউটি মডেল’ বিশ্বের একাধিক দেশে চালু আছে। ইজরায়েল, আমেরিকা, চিন, রাশিয়া, ব্রিটেন তার নিদর্শন। কিন্তু মনে রাখা উচিত, জাতি-রাষ্ট্রর নিরাপত্তার প্রধানতম খুঁটিই হল সেনাবাহিনী। নয়ের দশকের গোড়ায় নয়া-উদারীকরণের হাওয়ায় এই জাতি-রাষ্ট্রিক বিকাশের মডেলটিই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছিল। বহুজাতিক পুঁজির নতুন মডেল ও নৈতিকতার বাড়বাড়ন্ত সমস্ত ক্ষেত্র থেকেই রাষ্ট্রের হাত গুটিয়ে নিয়ে ‘খোলা’ বাজারের হাতে সরকারি সংস্থাগুলোকে তুলে দেওয়ার এক বিপরীত প্রক্রিয়ার জন্ম দেয়। ঠিকা সেনা নিয়োগের এই প্রকল্পটি সেই নয়া-উদারীকরণ মডেলের সঙ্গেই যুক্ত।

চিন, ইজরায়েল, লাতিন আমেরিকার একাধিক দেশ সেনা নিয়োগের ক্ষেত্রে ‘কন্সক্রিপশন মডেল’ ব্যবহার করে, যেখানে যুবকদের সক্ষম অংশকে একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সামরিক বাহিনীতে নাম লেখাতে বাধ্য করে সরকার। সংবাদমাধ্যমে একাধিক প্রাক্তন সেনাপ্রধান অভিযোগ তুলেছেন, ‘অগ্নিবীর’ প্রকল্প আসলে সেসব দেশের মতোই ভারতেও জনসমাজের ব্যাপক ‘সামরিকীকরণ’-এর পথ প্রশস্ত করছে, যা দেশের মানুষের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের পক্ষে অশনি সংকেত। মনে রাখতে হবে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সমগ্র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় একমাত্র ভারতেই সেনাবাহিনী বারাকে থেকেছে, রাষ্ট্রীয় নেতৃত্বের জায়গা দখল করেনি। ভারতে স্বাধীনতার পর থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও সেনা অভ্যুত্থান ঘটেনি, যা পার্শ্ববর্তী পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ডে ছিল অতি স্বাভাবিক ঘটনা।

‘অগ্নিবীর’ প্রকল্পের মধ্য দিয়ে কি দেশের বিরাট বেকার যুববাহিনীর সামনে সেনাবাহিনীর সর্বাত্মক শক্তিধর হয়ে ওঠার নৈতিকতায় নতুন করে ইন্ধন জোগানোর চেষ্টা করা হল? যদি সেরকম ঘটে, তা হবে একটি অত্যন্ত বিপজ্জনক ঘটনা। কারণ, ভারতীয় গণতন্ত্রের বুনিয়াদ হল– ব্যক্তি-স্বাধীনতা এবং সামরিক শক্তিকে জনজীবনে অহেতুক অনুপ্রবেশ করতে না দেওয়া। এমনকী, ১৯৭৫-এর ‌‌‘জরুরি অবস্থা’-র সময়ও সেনাবাহিনী জনপরিসর দখল করতে নামেনি।

রাশিয়ায় ভ্লাদিমির পুতিন ‘ওয়‌্যাগনর’ বলে প্রাইভেট সেনাবাহিনী গড়ে তুলেছিলেন। যে-বাহিনীকে বলা হত, রুশ রাষ্ট্রের ছায়া-সেনাবাহিনী। এরা বিভিন্ন দেশে গিয়ে অ্যাকশন চালাত। যেমন: সিরিয়া, লিবিয়া, একাধিক আফ্রিকান দেশ। ‘ওয়‌্যাগনর’ রাশিয়ার সরকারের হয়ে বিভিন্ন যুদ্ধাপরাধ ঘটিয়েছে, রুশ প্রশাসন যার দায় নেয়নি। সম্প্রতি এই বাহিনীর নেতৃত্বেই ইউক্রেন দখলে নেমেছিলেন পুতিন, যে যুদ্ধ এখনও থামেনি। রাষ্ট্রের অর্থ ও পেশিশক্তিতে বলীয়ান এই বাহিনীই কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝপথে এসে বাহিনীর কমান্ডার ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন ও দিমিত্রি উৎকিনের নেতৃত্বে রুশ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। বিদ্রোহী বাহিনী রস্তভ-অন-দন পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়ার পর তাদের নিবৃত্ত করা হয়। এক রহস্যময় বিমান দুর্ঘটনায় প্রিগোঝিনের মৃত্যুর পর এই বাহিনীকে বহুলাংশে রুশ সরকারি সেনাবাহিনীর অধীনে আনা হয়। রাশিয়ার এই প্রাইভেট আর্মি বিশ্বায়িত নয়া-উদারবাদী পৃথিবীতে সেনার বেসরকারিকরণের চরম উদাহরণ। নড়বড়ে শক্তিতে বলীয়ান ভারতের ‘অগ্নিবীর’ বাহিনী কি সেই পথেরই দিক্‌নির্দেশ করছে?

(মতামত নিজস্ব)

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement