Advertisement
Advertisement

Breaking News

লিবিয়াতেও বাংলা লাইব্রেরি

পড়া যাবে যে কোনও বই।

Bengali Library in Libya
Published by: Utsab Roy Chowdhury
  • Posted:December 10, 2018 5:31 pm
  • Updated:December 10, 2018 5:31 pm  

অনিন্দ্য সিংহ চৌধুরি: শুনতে আশ্চর্য মনে হলেও যুদ্ধবিধ্বস্ত লিবিয়াতে শুধুমাত্র বাংলা বই নিয়ে তৈরি হয়েছে আস্ত একটা গ্রন্থাগার। এটি একটি নজিরও বটে। কেন এই উদ্যোগ? কারণ, লিবিয়ায় এখন বাংলা ভাষার চর্চা বেড়েছে। তাই জরুরি হয়ে পড়েছে গ্রন্থাগারের।

[পিরামিডের উপর অবাধ যৌনতায় মাতলেন দম্পতি, ভাইরাল ভিডিও]

একটা কথা প্রায়ই শোনা যায়, বিশ্বের যেখানেই যান না কেন, বাঙালি থাকবেই। বাংলা জানে না, এমন লোক পাওয়া সত্যিই দুষ্কর। হয়তো অনেকেই আছেন, যাঁদের পেশার খাতিরে কিংবা অন্য দেশের জন্য বাংলায় কথা বলা কমে গিয়েছে। হয়তো এমনও হতে পারে যে, বিদেশে বহুকাল থাকার জন্য বাংলা কথা বলার অভ্যাস কমে গিয়েছে। অনেকে আবার চাকরির জন্য অন্য ভাষায় কথা বললেও বাড়িতে কিন্তু পরিবারের সঙ্গে নিজের মাতৃভাষাতেই কথা বলেন। অনেকে তো আবার বাড়িতে বাচ্চাদের সঙ্গেও অন্য ভাষাতে কথা বলেন।

Advertisement

বিদেশে থাকলেও এখন এই ডিজিটাল মিডিয়ার যুগে হাতের মুঠোয় বাংলা খবরের কাগজ। এমনকী, বিশ্বের কোথায় কী ঘটছে তা বাংলাতেও দেখা যাচ্ছে। স্মার্টফোনের যুগে তো বাংলা খবরও শোনা যাচ্ছে। তা—ও একেবারে লাইভ। তাই বিদেশে থাকলেও বাংলা ভাষার সঙ্গে একটা যোগ থেকেই যায়। কোনওভাবেই তা কেটে ফেলা সম্ভব নয়। সবচেয়ে বড় কথা বাংলা গানও মুহূর্তের মধ্যে ডাউনলোড হয়ে যাচ্ছে। আর এখন তো বাংলা গল্পের বই থেকে শুরু করে উপন্যাস, প্রবন্ধ অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে। বইমেলাও হচ্ছে বিদেশে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা বাঙালিরা বিভিন্ন সময়েও নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। বাংলা থেকে বহু শিল্পীকেও ডাকা হয়। দুগ্গাপুজোও এখন অনেক দেশে হচ্ছে। হচ্ছে জাঁকজমকও। তাই এখন আগের থেকে বাংলা ভাষার সঙ্গে যোগ অনেক বেড়ে গিয়েছে।

[ছাত্রকে নগ্ন ছবি পাঠিয়ে গ্রেপ্তার বিউটি কনটেস্ট বিজয়ী]

উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হল, বাংলা বইয়ের সঙ্গে যাতে ছোট্টবেলা থেকেই পরিচয় হয়, সেজন্যই তো লাইব্রেরিতে বাংলা বই রাখার প্রবণতা বাড়ছে। বাংলার সাহিত্য পত্রিকা রাখাও ঝোঁক আগের থেকে অনেকটাই ঊর্ধ্বমুখী। এটা ভাবার কোনও কারণ নেই যে, একমাত্র ভারত বা বাংলাদেশের লাইব্রেরিতে শুধু বাংলা বই থাকে। এটা একেবারেই ভুল ধারণা। সুদূর মার্কিন মুলুকের বাঙালি শিশুদের মধ্যেও বাংলার প্রতি আগ্রহ আগের থেকে অনেকটা বেড়েছে। সাম্প্রতিক কালে একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, ইংরেজির সঙ্গে সঙ্গে ভীষণভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাঙালি শিশুরা বাংলা বই পড়ার দিকে ঝুঁকছে। শুধু তাই নয়, আমেরিকার বহু শিশু ইংরেজির মতো বাংলা গল্পের বই পড়ার ব্যাপারে উৎসাহ দেখাচ্ছে। যা সত্যি ইঙ্গিতবাহী।

শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ব্রিটেন নয়, যুদ্ধবিধ্বস্ত লিবিয়াতেও এখন বাংলা ভাষা নিয়ে চর্চা বাড়ছে। এটা আশার কথা যে, লিবিয়ার মতো দেশে বাংলা ভাষার বই নিয়ে তৈরি হয়েছে দুর্দান্ত লাইব্রেরি। লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে বেশ কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ কমিউনিটি স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। যুদ্ধবিধ্বস্ত ত্রিপোলিতে ওই স্কুল ও কলেজটি তুলে দেওয়ার উপক্রম হয়েছিল। কিন্তু নানা চড়াই—উতরাই সত্ত্বেও তা টিকে গিয়েছে। আর সেই বাংলাদেশের সেই কমিউনিটি স্কুল—কলেজের মাথায় নতুন একটা পালক সংযোজিত হয়েছে। সেখানে একটি স্কুল লাইব্রেরি তৈরি হয়েছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার, ওই লাইব্রেরিতে থাকবে বাংলা বই। লিবিয়ার ইতিহাসে যা নজির। এই প্রথম লিবিয়ার মাটিতে এমন প্রতিষ্ঠান, যেখানে ঠাঁই হল বাংলার। বাংলাদেশের ওই লাইব্রেরি তৈরির ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছে লিবিয়ার মানুষজন। অনেকের মত, অনেকদিন ধরেই এ ধরনের লাইব্রেরির খুবই প্রয়োজন ছিল। লিবিয়া প্রশাসনের পদস্থ এক কর্তা জানিয়েছেন, লিবিয়াতেও বাংলা ভাষা নিয়ে ভালরকম উৎসাহ আছে।

মিলন মুহূর্তে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু মেধাবী ছাত্রীর

কেন এই লাইব্রেরি তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? লিবিয়ায় থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিদের বাংলা ভাষার চর্চা বাড়ার স্বার্থেই এই লাইব্রেরি তৈরি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, লিবিয়ার বহু মানুষও নতুন ভাষা শেখার আগ্রহ দেখিয়েছে। যার ফলে বাংলা ভাষার প্রসার আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে। এটা সত্যি ভাল বিষয় যে, বাংলা ভাষা বিশ্বের আরও মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। ওই লাইব্রেরির এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নজরুল ইসলাম, শরৎচন্দ্রের বই যেমন রয়েছে, তেমনই শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, সমরেশ মজুমদার, সত্যজিৎ রায়—সহ বাংলার বহু নামী লেখকের বই আছে। লিবিয়ার মানুষ এবার থেকে বাংলার সাহিত্যের স্বাদ গ্রহণ করতে পারবেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
News Hub