Advertisement
Advertisement

Breaking News

দেশপ্রেমের স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব হল?

স্বাধীনতার ৬৯ বছরে আমি দেশপ্রেমের স্বাধীনতাটুকুও অর্জন করতে পারলাম না?

69 years of Independence, yet to get get freedom to show nationalism!
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 14, 2016 2:31 pm
  • Updated:August 14, 2016 2:31 pm  

আগামিকাল ১৫ আগস্ট৷ স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপনের দিন৷ এমন সময়েও আমাদের বেঁচে থাকার স্বাধীনতায় কিছু অস্বস্তিকর প্রশ্ন কাঁটার মতো বিঁধছে, রক্তপাত ঘটাচ্ছে৷ লিখছেন শান্তনু চক্রবর্তী

ক্লাস নাইনের মেয়েটা দোতলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে রাস্তার মিছিল দেখছিল৷ মিছিল থেকে যে সব স্লোগান উঠছিল, সেইসব শব্দ তার কিশোরী বুকে কোনও ঢেউ তুলছিল কিনা, আমরা জানি না৷ মিছিল থেকে তার বয়সি কিশোর বা আর একটু বড় তরুণ-যুবকেরা নিরাপত্তা বাহিনীর দিকে তাক করে যেভাবে ইট-পাথর ছুড়ছিল, সেই ব্যাপারটা এই মেয়েটি সমর্থন করে কিনা, আমরা তা-ও জানি না! কিন্তু এটা আমরা জেনেছি, ওই বিক্ষোভে স্লোগানে ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়িতে, এই মেয়েটির কোথাও কোনও ভূমিকা ছিল না! তবু নিজের বাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকার অধিকার বা ‘স্বাধীনতা’ দেখানোর স্পর্ধা বা দুঃসাহসের জন্যেই সেনাবাহিনীর তরফে ওই মেয়েটির দিকে ছুটে আসে এক ঝাঁক ছররা বুলেট! কাশ্মীর উপত্যকার বেয়াড়া জনতাকে শায়েস্তা করার জন্য রাষ্ট্রের তরফে নয়া আমদানি যাতে মরবে কম, ঘায়েল হবে বেশি! তো বিক্ষোভ দমনের এই নতুন প্রযুক্তিতে ক্লাস নাইনের ইনসা মালিকের মিষ্টি মুখটা ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেল৷ দুটো ছররা তার ডান চোখ ছুঁয়ে বেরিয়ে গেল! আর কয়েকটা তার বাঁ চোখের ভিতরেই রয়ে গেল৷

Advertisement

সোপিয়ানের ইনসা মালিকের বাঁ চোখটা বাঁচানো যাবে কিনা, ডাক্তাররা এখনও বলতে পারছেন না৷ কিচ্ছু না করেও বাচ্চা মেয়েটার কেন এই ভোগান্তি, আপনি যদি জানতে চান, ‘কর্তৃপক্ষ’ বলবে, ইচ্ছে করে তো কিছু করিনি, এ তো ‘কো-ল্যাটারাল ড্যামেজ’৷ যার কেতাবি বাংলা করলে বলতে হয় ‘আনুষঙ্গিক ক্ষয়ক্ষতি’ আর ব্যবহারিক মানেটা দাঁড়ায় যেমন কম্ম, তেমনি ফল! জানোই তো বিক্ষোভকারীরা পাথর ছুড়লে সেনাবাহিনী গোলাগুলি ছুড়বেই৷ তোমার গলা বাড়িয়ে এত দেখার কী আছে! ঘরের মধ্যে থাকতে পারো না! যেন সেনা বুলেট এর আগে কখনও জানলা গলে ঘরের ভিতরে থাকা মানুষটার কপাল বা বুক এফোঁড়-ওফোঁড় ফুটো করে বেরিয়ে যায়নি! আসলে ‘কো-ল্যাটারাল ড্যামেজ’টা রাষ্ট্রের খুব পছন্দের লব্জ৷ স্বাধীন ভারতের স্বাধীন নাগরিকদের স্বাধীনতার সবক শেখানোর জন্য যখন যেখানে সেনা নামানো হয়েছে, সেই সেনাবাহিনীর ‘স্বাধীনতার’ ব্যাপারটাও রাষ্ট্রকে মাথায় রাখতে হয়েছে৷ সশস্ত্র সেনার সেই ‘স্বাধীনতা’র নাম ‘আফস্পা’ আর্মড ফোর্সেস (স্পেশাল পাওয়ার) অ্যাক্ট! সেনাবাহিনীর এই ‘স্বাধীনতা’ ফলানোর সুবাদে একগাড়ি বরযাত্রীর লোকদের গুলিতে ঝাঁজরা করে দেওয়া বা এক গ্রাম মেয়েদের ধর্ষণ করে ফেলাটা কোনও ব্যাপারই নয়! জঙ্গি সন্দেহ হচ্ছিল তাই গুলি করেছি–মেয়েগুলো কিছুতেই মুখ খুলছিল না, তাই ভয় দেখাতে ধর্ষণ করেছি! হয়ে গেছে! ঘটে গেছে৷ কোল্যাটারাল ড্যামেজ! দেশের মধ্যে সেনাবাহিনীর কাজ করার এইটুকু ‘স্বাধীনতা’ থাকবে না?

ফলে কাশ্মীর থেকে মণিপুর, দেশের ‘আফস্পা আক্রান্ত’ এলাকায় সেনাবাহিনীর ‘যাচ্ছেতাই’ করার ‘স্বাধীনতা’ যত বেড়েছে, মানুষের রোজকার বেঁচে থাকার স্বাধীনতা ততটাই কমেছে৷ তবে শুধু ‘আফস্পা’ কবলিত অঞ্চল বলে নয়, ভারতের মাটিতে সাধারণ মানুষের ‘স্বাধীন’ বেঁচে থাকার অন্যতম শর্তই হল ‘কোল্যাটারাল ড্যামেজ’! বৈচিত্রের মধ্যে ‘ঐক্য’কে প্রাণপণে ধরে রাখার জন্যেই আমাদের রাজ্যে রাজ্যে ‘আফস্পা’ বলিয়ান সেনা নামাতে হয়েছে, আর ‘পরিকল্পনা ও উন্নয়নের’ খাতিরেই সামলাতে হয়েছে ‘আনুষঙ্গিক ক্ষয়ক্ষতি’র ধাক্কা৷ যখনই কোনও নদী প্রকল্প হয়েছে, বড় বাঁধের লকগেটে আটকে গিয়েছে নদীর প্রাকৃতিক স্বাভাবিক জলধারার গতি– তখনই কোথাও শুকিয়ে কাঠ হয়ে গিয়েছে বহু শতাব্দীর নদীভিত্তিক সভ্যতার জীবনরেখা৷ আবার অন্যদিকে নতুন বিপুল জলাধারে জলের তলায় ভেসে গিয়েছে কত প্রাচীন, আদিম অরণ্য, উপত্যকা–কত আদিবাসী গোষ্ঠীর মুক্ত স্বাধীন কৌম জীবনযাপনের লীলাভূমি! গত শতাব্দীর দামোদর থেকে এই শতকের নর্মদা পর্যন্ত একই ছবি৷ ‘ঐক্যে’র চাপে আর ‘উন্নয়নের’ বন্যায় তলিয়ে, ডুবে মরেছে ‘বৈচিত্রের’ স্বাধীনতা৷ কিচ্ছু করার নেই ‘কোল্যাটারাল ড্যামেজ’! ঐক্যের ‘দাবি’ বহু

মানুষের জান-মান-ইজ্জত কেড়েছে! উন্নয়নের চাহিদা বিপন্ন করেছে অনেক স্বাধীন গর্বিত জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্য, অস্তিত্ব৷

অনেকের অনেক রকম ‘ত্যাগ’ তিতিক্ষার দামেই তো আমাদের স্বাধীনতা এসেছে৷ তাই ‘স্বাধীন’ দেশে থাকতে গেলে জনগণকেও তো এটুকু ‘ত্যাগ স্বীকার’ করতেই হবে! আর স্বাধীন ভারতের, স্বাধীন নাগরিকদের ‘ত্যাগের’ প্রাথমিক প্র্যাকটিসটা শুরু হয় ‘স্বাধীনতা’ দিয়েই৷ জীবনযাপনের পায়ে পায়ে স্বাধীনতা ত্যাগের ব্যাপারটা আমাদের অভ্যেসে এমনভাবে ঢুকে গিয়েছে, ছেড়ে যে দিচ্ছি সেটাও আমরা টের পাই না৷ অবশ্য এটা ‘ত্যাগ’ না ‘হরণ’ তাই নিয়ে তর্ক চলতে পারে কিন্তু বিপদের জায়গাটা হল, জিনিসটা আমাদের বড্ড গা-সয়ে গিয়েছে৷ বা দিনকে দিন আরও যাচ্ছে! যেমন, আমাদের রাষ্ট্র তার নাগরিকদের খাদ্য সুরক্ষা বা কাজের অধিকার নিয়ে যতটা না মাথা ঘামিয়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশি ‘চিন্তিত’, ‘উদ্বিগ্ন’ থেকেছে তার নৈতিক চরিত্র নিয়ে৷ কাজকম্ম না জুটুক না খেতে পেয়ে শরীর খারাপ হয় হোক কিন্তু চরিত্র যাতে কিছুতেই ‘খারাপ’ না হয়, সেজন্য ভেবে ভেবে আমাদের আইন প্রণেতাদের রাতের ঘুম ছুটে যায়! আমাদের ‘অশ্লীলতা’ আইন অ্যায়সা কড়া, রাস্তার ধারে হিসি করলে কেউ ফিরেও তাকাবে না, কিন্তু প্রেমিক প্রেমিকারা প্রকাশ্যে চুমু খেলে পুলিশ কান ধরে থানায় নিয়ে যাবে৷ সরকারের রং নির্বিশেষে আমাদের রাষ্ট্র দেশবাসীর শ্লীলতা পবিত্রতা সতীত্ব নাশ হতে কিছুতেই দেবে না৷ সরকারের ক্ষমতায় কুলোলে কোনারক, খাজুরোহোর মন্দিরের গায়ে ভাস্কর্য-রিলিফে সনাতন ভারতীয় কামকলার যে উৎসব দেখা যায়, তার উপর বালি সিমেণ্ট লেপে দিত৷ সেটা পারে না বলেই, ‘প্লে বয়’ ম্যাগাজিন যতদিন টিকে ছিল, তাকে ভারতের সীমানা পেরতে দেয়নি! দু-চার পিস যা ঢুকেছে, জাহাজঘাটায়-এয়ারপোর্টে শুল্ক অফিসাররা খপাখপ সে সব বাজেয়াপ্ত করে দিয়েছে– ভারতবাসী নিরাপদ, নিষ্পাপ থেকেছে! এমনকী সাইবার দুনিয়ার আবিশ্ব খোলা মাঠে পথভোলা ভারতবাসী যাতে ছুটকো-ছাটকা পর্নো সাইটে ঢুকে পড়ে পবিত্রতা খুইয়ে না বসে সেজন্যে ওখানেও সরকারি তরফে খবরদারি করার চেষ্টা হয়েছিল৷

আসলে ভারত রাষ্ট্র তার নাগরিকদের যেমন নাবালক ভাবে দেশের লোকও বোধহয় তেমনই আচমকা ‘প্রাপ্তবয়স্ক’ হয়ে খামোকা ‘চরিত্র খোয়াতে’ ভয় পায়৷ গান্ধীজি কথিত লক্ষ্মী গোপাল সুবোধ বাঁদরদের মতো কান চেপে, চোখ বুজে, মুখে কুলুপ এঁটে থাকতেই তাদের অনেক নিশ্চিন্ত লাগে! ‘খারাপ হওয়ার স্বাধীনতা’ ভোগ করাটা তাদের কাছে বড্ড ঝুঁকির৷ তার চেয়ে পহেলাজ নিহালনির ‘অভিভাবকত্ব’ অনেক স্বস্তির৷ তা নইলে সেন্সর বোর্ড এখনও এতটা দাদাগিরি করে কী করে? এই ২০১৬তেও সেই ১৯৫২-র সিনেমাটোগ্রাফ আইনের জোরে সেন্সর পাবলিককে চমকাচ্ছে৷ সিনেমায় কী কী গালাগালি দেওয়া যাবে না, তার লিস্টি বানাচ্ছে৷ সাম্প্রতিক পর্দায় জেমস বন্ডের প্রায় দেড় মিনিটের কিসিটা চিন, মালদ্বীপ, জর্ডন, জর্জিয়ার দর্শক পুরোটা দেখতে পেলেও, ভারতের পুণ্যবান মানুষকে কেন ১০ সেকেন্ডের বেশি দেখানো যাবে না, তার ব্যাখ্যা শোনাচ্ছে! আমরা আনাড়ি জনগণ ষাট-বাষট্টি বছর ধরে এই চোখরাঙানির বাড়াবাড়িটা সহ্য করে এসেছি বলেই একটা স্রেফ সার্টিফিকেট বা শংসাপত্র দানকারী সরকারি দফতর আমাদের সিনেমা সংস্কৃতির গুরুঠাকুর সেজে বসেছে! এই কাঁচিবরদাররা হেঁকে বলছে, এই দৃশ্যটা যৌনগন্ধী, এখানে শিল্প-টিল্প কিছু নেই! এই রাজনীতিটা খারাপ এতে ওই ‘ওদের’ মনে আঘাত লাগবে! চলবে না! দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষ বন্ধ দরজার ওপারে কী করছে, তার গ্রাফিক ডিটেল দেখানোর স্বাধীনতা আপনার নেই৷ দেশের বাস্তব রাজনীতি ঠিক কোন পথে, তা নিয়ে সিনেমায় কোনও মন্তব্য করার স্বাধীনতার অধিকার কারও নেই৷ সে ‘অধিকার’ ফলাতে গেলেই ছবির নাম পাল্টে, ৮৯ খানা দৃশ্য ছেঁটে ফেলার ফতোয়া জারি হয়ে যাবে৷

আমাদের বই পড়া, আর্ট গ্যালারিতে গিয়ে ছবি দেখা কোনওটাই আমাদের ইচ্ছেমাফিক নয়৷ সবটাই নিয়ন্ত্রিত৷ কোনও বইতে, ছবিতে, শিবাজি-গান্ধীজি, নেতাজি কিংবা দুর্গা, সরস্বতী, যিশু, মহম্মদ, কারও সম্পর্কে আমাদের অভ্যস্ত মুখস্থ, জানাচেনার বাইরে নতুন অন্যরকম কিছু থাকলেই, সেখানে আগে ‘বেসরকারি’ হামলা, পরে সরকারি নিষেধের খাঁড়া নামবে! আমাদের স্বাধীন দেশের, স্বাধীন নাগরিকদের স্বাধীনতা হরণে এ-ও এক মজার ‘তরিকা’! সরকার বা তার এজেন্সিগুলো সবসময় সরাসরি জনতার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে না৷ কিন্তু পরোক্ষ প্রশ্রয়ে, কিংবা জেনেশুনে চোখ বুজে থেকে বা স্রেফ গুরুত্ব না দিয়ে, এমন একটা পরিবেশ পরিস্থিতি তৈরি করে দিতে পারে, যাতে পছন্দের বই পড়া, ছবি দেখা, খাবার খাওয়া, পোশাক পরা সবটাই বিভিন্ন ‘সেনা’, ‘সমিতি’, ‘কমিটি’, ‘সভা’ ইত্যাদি স্বঘোষিত অভিভাবকদের মর্জির উপর নির্ভর করবে৷ যেমন ধরুন, মাঝে মাঝেই খবর হয় অমুক জেলার, অমুক শহরে তমুক মেয়ে স্কুলের ক’জন দিদিমণির পোশাক নিয়ে ‘এলাকায় ক্ষোভ’! এখন এখানে তো রাষ্ট্র বা সরকার গায়ে পড়ে এলাকাবাসীদের ‘বিক্ষোভ’ করতে শিখিয়ে দেয় না! স্কুলের ছাত্রী বা অভিভাবক বা প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকা বা ম্যানেজিং কমিটির ঘ্যামা ক্ষমতাবান কেউ কেউ বা সববাই মিলে আপত্তিটা তোলা হয়৷ তারপর রাষ্ট্র বা সরকারের প্রতিনিধিস্থানীয় কেউ গলা-টলা খাঁকরে বলেন– তা স্থানীয় মানুষের যখন আপত্তি, তখন, মানে…৷ মানেটা যেটা দাঁড়ায় ওই দিদিমণিদের কিছুদিন স্কুলে আসা বন্ধ করতে হয়, তারপর তথাকথিত ‘স্থানীয়’ এলাকা-সমাজ-সংস্কার মোতাবেক ‘শালীন’ পোশাক পরে চাকরি করতে হয়৷

অবশ্য ব্যাপারটা ‘হাতের বাইরে’ চলে গেলে, অন্যের ‘স্বাধীনতা সংহারকরা’ নিজেরাই ‘স্বাধীন’ ক্ষমতার অধিকারী হয়ে উঠলে কী হয়, সে তো এক্ষুনি ‘গো-রক্ষক’ সংঘ সমিতিদের কেন্দ্র বিরোধী হুঙ্কার দেখলেই মালুম হচ্ছে! এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়তো ‘গো রক্ষক’দের মুসলিম নিধন, দলিত নির্যাতনের ‘স্বাধীনতা’য় হস্তক্ষেপ হবে৷ কিন্তু ‘আফস্পা’ প্রমত্ত নিরাপত্তা বাহিনীর ‘স্বাধীনতা’য় হাত দেবে কে? এ ব্যাপারে সমালোচনা করতে গেলে টিভি চ্যানেলে বসে থাকা দেশপ্রেমের ঠিকাদার মোড়লমশাইরা রে রে করে উঠে সহকর্মী সাংবাদিকদেরই জেলে পোরার নিদান দিয়ে বসেন৷ মানে আমি আমার দেশকে কীভাবে ভালবাসব সেটাও অন্যের কথামতো ঠিক হবে৷ আমি আমার দেশপ্রেমের গায়ে সামরিক উর্দি চড়াতে না চাইলেও অন্যেরা জোর করে সেটা চাপিয়ে দিয়ে বলবে, অ্যাইয়ো! এটাই একমাত্র দেশভক্তি, এভাবে ভাবতে না পারলে তুমি ‘অ্যাণ্টি ন্যাশনাল’ গদ্দার৷ আর এ বছরে তো স্বাধীনতা দিবস কীভাবে পালন করতে হবে তারও কেন্দ্রীয় নির্দেশাবলি স্কুল-কলেজে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে৷ এমনকী কোন কোন দেশাত্মবোধক গান গাইতে হবে তার তালিকাও৷ তার মানে আপনার স্বাধীনতা উৎসবও এখন অন্যের ইচ্ছাধীন৷ স্বাধীনতার ৬৯ বছরে আমি দেশপ্রেমের স্বাধীনতাটুকুও অর্জন করতে পারলাম না?

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement