ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সবরীমালা মন্দিরে কেন ঋতুমতী মহিলারা প্রবেশ করতে পারবেন না তা নিয়ে আলোচনার শেষ নেই৷ একশো বছরের রীতি ভেঙে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট৷ সর্বোচ্চ আদালতের নয়া নির্দেশে মহিলারাও এখন মন্দিরে ঢুকে আয়াপ্পাকে দর্শন করতে পারেন৷ সুপ্রিম নির্দেশেই আপাতত উত্তপ্ত গোটা কেরল৷ কিন্তু জানেন কি তিলোত্তমার এক কালীপুজোয় এখনও জারি রয়েছে একই নিয়ম৷ আজও এই পুজোতে ব্রাত্য মহিলারা৷ অবাক লাগলেও, গত ৩৪ বছর ধরে একই নিয়ম জারি রয়েছে চেতলা হাট রোডের কালীপুজোয়৷
যুগ এগিয়েছে, সমাজ বদলেছে৷ কিন্তু আজও ভাবনাচিন্তায় কী এতটুকুও বদল হয়েছে আমাদের? ৩৪ বছর ধরে চেতলা হাট রোডের কালীপুজো আরও একবার সেই প্রশ্নকেই জোরাল করে৷ আগেকার দিনের মহিলা-পুরুষ উভয়েই ভাবতেন ঋতুমতী মহিলারা ‘অশুচি’৷ তাই তাঁদের দিয়ে পুজো অর্চনার কোনও কাজ করানো যাবে না৷ মাসের ওই কয়েকটি দিন ঠাকুর ঘরে যেতেন না তাঁরা৷ সেই ভাবনাকে আজও ধরে রেখেছেন চেতলা হাট রোডের কালীপুজো উদ্যোক্তারা৷ যদিও তাঁদের সাফাই, তারাপীঠের তান্ত্রিকেরা এসে মহিলাদের ছাড়াই পুজো শুরু করেন৷ তাই বছরের পর বছর একই রীতি বজায় রেখেছেন উদ্যোক্তারা৷ দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই বিধি মেনে চলছেন ওই এলাকার মহিলারাও। আচমকা নিয়ম ভাঙলে যদি এলাকার কোনও ‘অমঙ্গল’ হয়, তাই পুজোয় যোগ দিতে চান না তাঁরাও৷
তারাপীঠ থেকে তান্ত্রিক এসে এখনও মূলত কালীর পাঁচটি রূপের পুজো করেন এখানে। পূর্বপুরুষদের নিদান মেনে হয় পাঁঠা বলি। আগে মহিলারা ওই পুজো মণ্ডপে অঞ্জলিও দিতে পারতেন না৷ এখন সামান্য শিথিল হয়েছে নিয়ম৷ শক্তির আরাধনায় দূর থেকেই শামিল হন তাঁরা। মণ্ডপের বাইরে দাঁড়িয়ে পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে এখন অংশগ্রহণ করতে পারেন মহিলারা। নিয়ম ভাঙলে ক্ষতির ভয় পান অনেকেই৷ তাই আজও নিয়মের অন্যথা করেন না তাঁরা৷ পুরনো রীতি মেনে নিয়ে আজও মহিলারা ‘ব্রাত্য’ হয়েই রয়েছেন চেতলা হাট রোডের কালীপুজোয়৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.