সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১০ বছর পার। ঝাড়ু হাতে ঝোড়ো ইনিংস খেলে হ্যাটট্রিক করে ফেললেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লিবাসীর আস্থার পরীক্ষায় এবছরও রীতিমত স্টার মার্কস পেয়ে পাশ করল আপ। আগামী ৫ বছরে রাজধানীর প্রশাসনিক ক্ষমতার রাশ থাকছে আম আদমি পার্টির হাতেই। বিধানসভায় ৭০ টি আসনের মধ্যে ৬৩টি আসন পেয়েছে কেজরি অ্যান্ড কোং। স্কোর : আপ ৬৩, বিজেপি ৭, কংগ্রেস ০, অন্যান্য ০। ভোটের হার এবং আসন সংখ্যা বাড়লেও আশানুরূপ ফলাফল হয়নি গেরুয়া শিবিরের। ২০১৫র তুলনায় প্রাপ্ত ভোটের হার বেড়েছে আম আদমি পার্টির।
২০১০-১৫, ২০১৫-২০, দুই দফায় রাজধানীর রাজ্যপাট সামলেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃ্ত্বাধীন আম আদমি পার্টি। ২০১৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৭০ এর মধ্যে ৬৭টি আসন নিয়ে সরকারে বসেছিল আপ। মাত্র ৩ জন বিজেপি বিধায়ক কার্যত কোণঠাসা ছিলেন। এবারের ভোটে বিজেপির সেই অবস্থার কিঞ্চিৎ উন্নতি হয়েছে। তিন থেকে বেড়ে ৭ হয়েছে তাদের বিধায়ক সংখ্যা। তবে হাই প্রোফাইল কেন্দ্রগুলিতে মুখ থুবড়ে পড়েছে গেরুয়া শিবির। এবারের ফলাফল একনজরে দেখে নেওয়া যাক –
মোট আসন – ৭০
২০১৫ সালের নির্বাচনেও কংগ্রেসের স্কোর ছিল শূন্য। এবারও তার কোনও উন্নতি নেই। ঝাড়ু আর পদ্মের কাছে হাত কোনও বলই পেল না। যদিও কংগ্রেস শিবিরের সাফাই, আপকে জায়গা ছেড়ে দিতেই তারা লড়াই থেকে সরে গিয়েছে। তাই আপের এমন সাফল্যে নিজেদেরই সাফল্য বলে মনে করছে। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে মানুষ যে রুখে দাঁড়িয়েছে, এই ফলাফল তারই বার্তা। বলছেন শীর্ষ নেতারা।
দিল্লি নির্বাচনের ফলাফল উজ্জীবিত করতে পারেনি গেরুয়া শিবিরকে। শাহিনবাগ, জামিয়া, জেএনইউ, বাঙালি মহল্লা মুখ ফিরিয়েছে বিজেপির মেরুকরণ রাজনীতি থেকে। এখানে হিন্দুত্ব কাজ করেনি কোনওভাবেই। অনেক কঠিন লড়াই, ওঠাপড়ার মধ্যে দিয়ে গিয়েও জয়ের শেষ হাসি হেসেছে কেজরিওয়ালের হাতে তৈরি করা দলটাই – যা একেবারেই ‘আম আদমি’র। CAA পরবর্তী সময়ের প্রথম ভোটে বিজেপিও বুঝে নিল রাজধানীর জনমত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.