সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অখেলোয়াড়ি আচরণের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন মহম্মদ সিরাজ এবং ট্র্যাভিস হেড। কিন্তু একই অপরাধ করলেও সমান শাস্তি পেলেন না দুই ক্রিকেটার। অজি ব্যাটারের থেকে অনেক বেশি খেসারত দিতে হল ভারতীয় পেসারকে। কেন এমন সিদ্ধান্ত আইসিসির? সেই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে ক্রিকেটমহলে।
ঠিক কী অপরাধ করেছিলেন দুই তারকা ক্রিকেটার? ঘটনার সূত্রপাত অ্যাডিলেড টেস্টের দ্বিতীয় দিনে হেড আউট হওয়ার পর। সিরাজের বলে ১৪১ বলে ১৪০ রানে আউট হন হেড। তার পরই উত্তেজিত হয়ে রীতিমতো আগ্রাসী ভঙ্গিতে অজি ব্যাটারকে বাইরের পথ দেখান সিরাজ। পালটা হেডও কটূক্তি করেন। দুজনের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় অবশ্য খুব বেশিদূর গড়ায়নি। তবে পরে সাংবাদিক সম্মেলনে হেড দাবি করেন, তিনি কোনও খারাপ কথা বলেননি। বরং সিরাজের বলের প্রশংসাই করেছিলেন। অজি ব্যাটারের দাবি নস্যাৎ করে তৃতীয় দিনের শুরুতে সিরাজ জানান, “আমি সেলিব্রেট করছিলাম। তখনই ও আমাকে খারাপ কথা বলে। তার পর সাংবাদিক সম্মেলনে এসে যা বলল, সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। পরিষ্কার দেখাও যাচ্ছে, হেড আমাকে কী বলেছে।”
গোটা বিষয়টিতে সতীর্থের পাশে দাঁড়ান ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। কিন্তু আইসিসির তোপের মুখে পড়তে হয় সিরাজ ও হেডকে। দুই ক্রিকেটারই দোষী সাব্যস্ত হন। আইসিসির নিয়ম লঙ্ঘনের অপরাধে দুজনের নামের পাশেই এক ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হয়েছে। সেই সঙ্গে আইসিসির কোড অফ কনডাক্ট লঙ্ঘনের শাস্তি হিসাবে সিরাজের ম্যাচ ফির ২০ শতাংশ কেটে নেওয়া হয়েছে। হেডও আইসিসির কোড অফ কন্ডাক্ট লঙ্ঘন করেছেন, কিন্তু তাঁকে জরিমানা গুণতে হবে না।
প্রশ্ন উঠছে, কোড অফ কন্ডাক্ট লঙ্ঘন করলেও কেন সমান শাস্তি পেলেন না দুই ক্রিকেটার? আসলে সিরাজ দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন আর্টিক্যাল ২.৫-এ। কোনও ব্যাটার আউট হলে তাঁকে কটাক্ষ করা বা ব্যাটারকে পালটা আগ্রাসন দেখানোর জন্য উসকানি দিলে ওই ধারা বলবৎ হয়। সেখানে দোষী সাব্যস্তদের জন্য ২০ শতাংশ ম্যাচ ফি কেটে নেওয়ার সাজা রয়েছে। অন্যদিকে, হেড দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন কোড অফ কন্ডাক্টের ২.১৩ ধারায়। আন্তর্জাতিক ম্যাচে কোনও ক্রিকেটার কটূক্তি করলে এই ধারা কার্যকর হয়। তবে এই ধারায় আর্থিক জরিমানার সাজা নেই। তাই হেডকে জরিমানা গুণতে হবে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.