সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জামিনের আবেদন নাকচ হয়ে গেল হার্দিক ও ক্রুনাল পাণ্ডিয়ার সৎ ভাই বৈভব পাণ্ডিয়ার। আইপিএলের (IPL 2024) মধ্যেই পাণ্ডিয়া ভাইদের সঙ্গে কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় বৈভবকে।
হার্দিক ও ক্রুনালের অভিযোগ, তাঁদের সঙ্গে প্রায় ৪.২৫ কোটি টাকার প্রতারণা করেছেন বৈভব। হার্দিক (Hardik Pandya) এবং ক্রুণালের অভিযোগ, তাঁদের যৌথ ব্যবসার চুক্তি ভঙ্গ করেছেন বৈভব।
এমনকী তাঁদের যৌথ সংস্থা থেকে সরাসরি নিজের অ্যাকাউন্টে টাকাও ঢুকিয়েছেন তিনি। ২০২১ সালে তিন ভাই যৌথ ভাবে পলিমারের ব্যবসা শুরু করেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী, ব্যবসায় হার্দিকের ৪০ শতাংশ, ক্রুণালের ৪০ শতাংশ এবং সৎভাই বৈভবের ২০ শতাংশ বিনিয়োগ করার কথা ছিল। ওই একই হারে লভ্যাংশ বণ্টনের কথা ছিল ৩ ভাইয়ের মধ্যে। সম্প্রতি ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বৈভবের জামিন আদালত নাকচ করে দেয়। অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এসপি শিণ্ডে ১০ মে নির্দেশ দেন।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘গুরুতর অর্থনৈতিক অপরাধে’ জড়িত অর্থের পরিমাণ ‘বিশাল’ এবং যেহেতু তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে, তাই জামিনে মুক্তি দেওয়া যাবে না আবেদনকারীকে।
হার্দিক এবং ক্রুণালের (Krunal Pandya) অভিযোগ ছিল, বৈভব তাঁদের সঙ্গে চুক্তি ভেঙে একই ব্যবসা করার জন্য অন্য একটি সংস্থা গড়ে তুলেছেন। যার ফলে তিন ভাইয়ের আসল সংস্থার লাভ এক ধাক্কায় অনেকটা কমে যায়। প্রায় তিন কোটি টাকার ক্ষতি হয়। উলটে বৈভবের সংস্থা ফুলে ফেঁপে উঠছে। এতে ক্ষতির মুখে পড়েন হার্দিক এবং ক্রুণাল। শুধু তাই নয়, বৈভব বেআইনিভাবে যৌথ সংস্থার টাকা নিজের অ্যাকাউন্টে সরিয়ে নেন বলেও অভিযোগ করেন হার্দিক এবং ক্রুণাল।
ভারতীয় দণ্ডবিধির অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ধারা অনুযায়ী, বৈভবের বিরুদ্ধে ফৌজদারী বিশ্বাসভঙ্গ, জালিয়াতি, ভয় দেখানো, যড়যন্ত্রের জন্য মামলা করা হয়েছে।
মুম্বই পুলিশের ইকোনমিক অফেন্সেস উইং (ইওডব্লিুউ) ৮ এপ্রিল বৈভবকে গ্রেপ্তার করে। বৈভবের জামিন আবেদন নাকচ করে দেওয়ার কারণ প্রসঙ্গে জানানো হয়, তাঁকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হলে তিনি বিচারবিভাগীয় প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.