মুম্বইয়ের জার্সিতে হার্দিক পাণ্ডিয়া।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত মরশুমে বহু আড়ম্বরে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে এসেছিলেন হার্দিক পাণ্ডিয়া(Hardik Pandya)। গুজরাট জায়ান্টস থেকে দলবদল করতে খরচও হয়েছিল বিস্তর। এসেই রোহিত শর্মাকে সরিয়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক হয়েছিলেন। সেই নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। হার্দিককে যদি এবার দলে রাখা হয়, তাহলে কি ১৮ কোটি টাকা পাওয়ার যোগ্য ভারতের অলরাউন্ডার? উঠতে শুরু করেছে সেই প্রশ্ন।
এবার মহা নিলামের আগে প্রতিটা ফ্র্যাঞ্চাইজি সর্বাধিক পাঁচজন ক্যাপড প্লেয়ারকে ‘রিটেন’ করতে পারবে। সঙ্গে একজন করে আনক্যাপড প্লেয়ার। প্রথম ক্যাপড প্লেয়ারকে ধরে রাখতে খরচ পড়বে ১৮ কোটি টাকা। দ্বিতীয় ক্যাপড প্লেয়ার ধরে রাখার খরচ ১৪ কোটি টাকা। সেক্ষেত্রে হার্দিককে যদি প্রথম পছন্দ হিসেবে ধরে রাখতে হয়, তাহলে মুম্বইয়ের খরচ পড়বে ১৮ কোটি টাকা। শোনা যাচ্ছে হার্দিক ছাড়াও রোহিত শর্মা, সূর্যকুমার যাদব, ঈশান কিষান, তিলক বর্মারাও থাকতে পারেন মুম্বইয়ের সম্ভাব্য রিটেনশন লিস্টে।
সেটা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে আইপিএল জয়ী কোচ টম মুডি। তাঁর মতে, “গত মরশুমে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে কোনও কিছুই ভালোমতো হয়নি। আমার মতে জশপ্রীত বুমরাহ ও সূর্যকুমার যাদবের ১৮ কোটি টাকা পাওয়া উচিত। হার্দিককে নেওয়া উচিত ১৪ কোটিতে। ওর ফর্ম, ফিটনেস ও পারফরম্যান্স দেখে সেটাই মনে হয়। যদি এই বিষয়গুলো দেখা হয়, তাহলে কি ও আদৌ ১৮ কোটি টাকার প্লেয়ার? এত টাকার যোগ্য কি ও? যদি ১৮ কোটি টাকাই খরচ করতে হয়, তাহলে একজন খাঁটি ম্যাচ উইনার নেওয়া উচিত। গত আইপিএলে হার্দিক ফিটনেস ও পারফরম্যান্স, দুটো সমস্যাতেই ভুগেছে।”
সেই সঙ্গে নিলামে মুম্বইয়ের পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিচ্ছেন টম মুডি। তাঁর বক্তব্য, “গত কয়েক বছরে নিলামে তারা সমস্যায় পড়েছে। যেমন ঈশান কিষান ও জোফ্রা আর্চার। তাঁদের প্রচুর টাকা দিয়ে কেনা হয়েছে। বদলে কী পেল? ঈশানের ব্যাটে কটা জয় এসেছে? সেক্ষেত্রে মুম্বইকে কিছু কঠিন সিদ্ধান্তও নিতে হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.