সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বলতে গেলে দ্বিতীয় সারির দল নিয়েও টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় সম্পন্ন। কোচ গৌতম গম্ভীরের ভারতের সামনে এখন দু’টো লক্ষ্য।
এক, বাংলাদেশকে চুনকাম। টেস্ট সিরিজের পরে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও। দুই, ওপেনিং সমস্যা সারানো।
শনিবার হায়দরাবাদে ভারত যদি বাংলাদেশকে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে হারাতে পারে, তা হলে টেস্ট সিরিজের পরেও নাজমুল হোসেন শান্তদের চুনকাম করে ছাড়বে। কিন্তু সেই সুখাবহের মধ্যেও একটা খচখচানি কাজ করছে ভারতীয় সমর্থকদের মধ্যে। তা হল, টিমের ওপেনিং কম্বিনেশন।
ভারতের নিয়মিত টি-টোয়েন্টি টিমের অধিকাংশ ক্রিকেটার বাংলাদেশ সিরিজে খেলছেন না। তাঁদের বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। ভারতের হয়ে ওপেনিংয়ে যাচ্ছেন সঞ্জু স্যামসন ও অভিষেক শর্মা। কিন্তু তাঁদের ওপেনিং জুটি এখনও নজর কাড়তে পারেনি। প্রথম দু’টো টি-টোয়েন্টিতে সঞ্জু করেছেন যথাক্রমে ২৯ ও ১০। অভিষেক করেছেন ১৫ ও ১৬ রান। তাই বাংলাদেশকে চুনকামের সঙ্গে ওপেনিং সমস্যা মেটানোও টার্গেট থাকবে ভারতের।
তবে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট সে সবে বিশেষ পাত্তা দিচ্ছে না। শুক্রবার প্রাক্ ম্যাচ সাংবাদিক সম্মেলন করতে এসেছিলেন ভারতীয় টিমের সহকারী কোচ রায়ান টেন দুশখাতে। তিনি বলে দেন, ‘‘পরিষ্কার বলছি, আমরা ৫-০ করতে চাই। টেস্ট সিরিজে ক্লিন সুইপ করার পর এবার টি-টোয়েন্টিতেও সেটাই লক্ষ্য আমাদের। শেষ ম্যাচটা জিতে আমরা টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ক্লিন সুইপ করতে চাই। গৌতির (গৌতম গম্ভীরকে যে নামে ডাকেন অনেকে) বার্তা খুব সহজ। দেশের হয়ে প্রতিটা ম্যাচ খেলতে নামার গুরুত্ব সবাইকে বুঝতে হবে। নিজেদের চাপে ফেলতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে ফোকাস ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কোনও কথা না ওঠে।’’ পাশাপাশি ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট একটা আঠারো মাসের প্রকল্প নিয়ে এগোতে চাইছে বলে জানালেন দুশখাতে। সেটা হল, জনা কয়েক প্লেয়ারকে নির্বাচন করা, যাঁরা কি না মহাচাপের মুহূর্ত সামলাতে তৈরি থাকবেন। ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট চাইছে, সেই সমস্ত প্লেয়ারদের নিয়ে একটা ‘কোর গ্রুপ’ তৈরি করতে। আসলে সামনে বাঘা-বাঘা সব টুর্নামেন্ট রয়েছে ভারতের। তা সে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিই হোক কিংবা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। আগামী বছর সব ঠিকঠাক চললে, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালও খেলতে নামবে রোহিত শর্মার ভারত। দুশখাতে বলছিলেন, ‘‘আমরা একটা শক্তিশালী কোর গ্রুপ তৈরি করতে চাইছি। সামনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আছে, এশিয়া কাপ আছে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে। আমরা দেখে নিতে চাই, কোন প্লেয়ার কী জায়গায় রয়েছে এই মুহূর্তে। আমাদের টিমের গভীরতা দেখে ভালো লাগে।’’
দাঁড়ান, এখানেই শেষ নয়। ভারতের সহকারি কোচ এরপর আরও বিশদে গিয়েছেন। বলে দিয়েছেন যে, তাঁরা ক্রিকেটারদের বৃহত্তর একটা ‘পুল’ তৈরি করতে চান। ‘‘আমাদের টিমে এমন সমস্ত প্লেয়ার রয়েছে, যারা কি না বিভিন্ন ভূমিকা পালন করতে পারে। তাদের ভূমিকা নির্ভর করবে, কোন পজিশনে তাদের খেলানো হচ্ছে, তার উপর। নীতীশ রেড্ডিকেই দেখুন। ওকে চার কিংবা পাঁচ নম্বরে খেলানো যায়। আবার ফিনিশার হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। এই দ্বিপাক্ষিক সিরিজে আমরা সে সবই দেখে নিতে চাইছি।’’
একটা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন টিমের মনন কেমন হয়, এবার বোঝা গেল?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.