আর্জেন্টিনার ত্রাতা সেই মার্টিনেজ।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লিও মেসির (Lionel Messi) পেনাল্টি নষ্টের দিন ত্রাতা সেই এমি মার্টিনেজ (Emi Martínez)। বারের নীচে আর্জেন্টিনার গোলকিপার ‘দিবু’র ছায়া দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়ে ওঠে পেনাল্টি শুট আউটের সময়ে। মেসি পেনাল্টি নষ্ট করায় যে অনন্ত চাপ তৈরি হয়েছিল, এমি মার্টিনেজ একার হাতে সেই চাপ সামলান। এমির বীরত্বেই নীল-সাদা জার্সিধারীরা কোপার শেষ চারে পৌঁছল।
ম্যাচ জেতার পরে আর্জেন্টিনার জয়ের নায়ক এমি মার্টিনেজ বলেছেন, টুর্নামেন্টের এই পর্যায়ে বাড়ি যেতে চাননি তিনি। আর্জেন্টিনা আরও এগোবে বলেই মনে করেন তিনি। মিক্সড জোনে মার্টিনেজ বলেছেন, ”সতীর্থদের বলেছি, আমি বাড়ি যেতে প্রস্তুত নই। সমর্থকদের আবেগ অনুভব করি। আমরা কোপা, বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। আমাদের দল আরও এগনোর ক্ষমতা রাখে। ৩৫ দিন ধরে আমরা সবাই একসঙ্গে রয়েছি। আমরা সবাই আবেগপ্রবণ হয়ে। এই অবস্থা থেকে কখনওই ফিরে যেতে চাইনি।”
গতবারের কোপা আমেরিকা ও বিশ্বকাপেও পেনাল্টি বাঁচিয়ে এমি মার্টিনেজ হয়ে উঠেছিলেন নায়ক। এবারের কোপাতেও একই ফর্মে তিনি। কাতারে ঠিক যে জায়গায় শেষ করেছিলেন, কোপায় যেন সেই জায়গা থেকেই শুরু করেছেন এমি। অ্যাস্টন ভিলার গোলকিপার বলেন, ”আমি প্রতিদিন পাঁচশোর মতো শট ডাইভ দিয়ে বাঁচানোর অনুশীলন করি। ভক্তরা টাকা খরচ করে আমাদের খেলা দেখতে চান। আমি তাঁদের নিরাশ করতে চাই না।”
ম্যাচ জেতার পরে দিবুকে দেখা যায় অন্য অবতারে। তাঁর মানবিক মুখ দেখল গোটা বিশ্ব। ম্যাচ হেরে যাওয়ার পরে ইকুয়েডর গোলকিপার আলেকজান্ডার ডমিঙ্গেজকে সান্ত্বনা দিতে দেখা যায় এমি মার্টিনেজকে। আর্জেন্টিনা জয়ের আনন্দের সেলিব্রেশনে যখন মেতে উঠেছে, তখন প্রতিপক্ষ দলের গোলকিপারের পাশে গিয়ে দাঁড়ালেন মার্টিনেজ। মাঠের লড়াই মাঠেই থাক। খেলার শেষে প্রতিপক্ষেরও বন্ধু তিনি। সেটাই দেখিয়ে গেলেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.