সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডেল্টার (Delta) যেমন বৃদ্ধি হয়েছিল এবার ওমিক্রনের (Omicron) ধাক্কায় তেমনই এক সুনামির দিকে এগিয়ে চলেছে গোটা বিশ্ব। সম্প্রতি এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়াসুস। কিন্তু বছরের প্রথম দিনে আশার আলো দেখালেন WHO প্রধান। জানালেন, ২০২২ সালেই পরাজিত হতে পারে করোনা ভাইরাস (Coronavirus)। তবে সেই সঙ্গে শর্তও দিলেন তিনি। জানালেন, সব দেশ একযোগে লড়াই না করলে তা সম্ভব হবে না।
বিবিসি সূত্রে জানা যাচ্ছে, শনিবার যে বিবৃতি দিয়েছেন ঘেব্রিয়াসুস তাতে তিনি তুলে ধরেছেন টিকার অসমবণ্টনের বিষয়টিও। এর আগেও তাঁকে বারবার বলতে শোনা গিয়েছে, করোনার টিকা সারা পৃথিবীতে সমান ভাবে বণ্টন না করলে অতিমারীকে হারানো আরও কঠিন হয়ে উঠবে। এদিনও সেই বিষয়েই সরব হতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
ঠিক কী বলেছেন তিনি? তাঁর কথায়, ”সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদ ও কোনও কোনও দেশের টিকা জমিয়ে রাখার প্রবণতার ফলেই সমবণ্টন হচ্ছে না। এর ফলেই ওমিক্রন মাথাচাড়া দিয়েছে। এই অসাম্য যদি চলতে থাকে তাহলে ভাইরাসের আরও নানা প্রজাতির প্রাদুর্ভাব হতে পারে, যা আমাদের কল্পনা কিংবা প্রতিরোধ ক্ষমতার বাইরে। কিন্তু আমরা যদি এই অসাম্যকে শেষ করতে পারি, অতিমারীও শেষ হবে।”
এর আগে ‘হু’ প্রধানকে বলতে শোনা গিয়েছিল ওমিক্রনের সুনামিতে ভেঙে পড়তে পারে গোটা বিশ্বের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। কিন্তু এবার সেই আশঙ্কার মধ্যেই সোনালি আলোরও হদিশ দিলেন তিনি।
এমনিতেই ওমিক্রনের দাপটে ক্রমেই সারা বিশ্বে বাড়ছে উদ্বেগ। বিশ্বে করোনার মানচিত্রে ভারতের অবস্থাও বেশ করুণ। করোনার নতুন স্ট্রেনের দাপটে নতুন বছরের প্রথমদিন একলাফে অনেকটা বেড়ে গিয়েছে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত সপ্তাহের শেষদিকে দেশের করোনা আক্রান্তের সংখ্যাটা ঘোরাফেরা করছিল ৭ হাজারের আশেপাশে। মাত্র দিন কয়েকেই পুরোপুরি বদলে গিয়েছে ছবিটা। দেশের বর্তমান দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাটা ২২ হাজারের বেশি। দিন কয়েক আগে যে অ্যাকটিভ কেস নেমে এসেছিল ৭০ হাজারের আশেপাশে।। সেটাই এখন লাখ পেরিয়েছে। এই পরিস্থিতিতেই ২০২২ সালকে কোভিড-মুক্তির সাল হিসেবে দেখতে চাইছেন ঘেব্রিয়াসুস।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.