ফাইল ছবি
গৌতম ব্রহ্ম: এনআরএসে করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা করায় কোয়ারেন্টাইনে গেলেন আরও ১৮ চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী। সোমবার তাঁদের মধ্যে একজনকে রাজারহাট কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের বাড়িতেই কোয়ারেন্টাইনে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগে একই কারণে ওই হাসপাতালের ৫৮ জনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু গোটা ঘটনায় হাসপাতালের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। পাশাপাশি, বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, মহেশতলার ৩৪ বছরের এক যুবককে অসুস্থ অবস্থায় ভরতি করা হয় গত ৩০ মার্চ। ১ এপ্রিল রাতে তাঁর উপসর্গ ধরা পড়ে। তবুও তাঁকে আইসোলেশনে না রেখে আইসিইউতে রাখা হয় বলে জানা গিয়েছে। এরপরের দিন রোগীর নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এরপর আইসিইউতে ওই যুবক মারা যান। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই রোগীর উপসর্গের কথা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। মেডিসিন ওয়ার্ডে রেখেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। এবার নিয়ম মেনে তাঁকে আইসোলেশনে রাখা হয়নি। এই ঘটনায় হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ ছড়িয়েছে। এদিকে রবিবার থেকেই হাসপাতালের মেল মেডিসিন ও আইসিইউ বিভাগ বন্ধ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি, কোয়ারেন্টাইনে থাকা সকলের সোয়্যাপ টেস্ট শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে ৬৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এমনকী সচেতনতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে, সকলকে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন দেওয়া শুরু হয়েছে।
হাসপাতালের চিকিৎসক ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের অভিযোগ, “জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন ওই যুবক। তাঁকে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসার করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তাতে কান দেননি অধ্যক্ষ। তারই খেসারত গুনতে হচ্ছে আমাদের।” একইসঙ্গে তাঁরা গোটা ঘটনায় বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.