সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুম্বইয়ে ক্রমশ জটিল হচ্ছে করোনা পরিস্থিতি। গত ৪৮ ঘণ্টায় এশিয়ার বৃহত্তম বসতি ধারাভিতে তিনজন করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। এক সংক্রমিতের মৃত্যুও হয়েছে। এদিকে শুক্রবার সকালে আরও এক চিকিৎসকের দেহে করোনার জীবাণুর হদিশ মিলেছে। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর গোটা পরিবারকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। এমনকী গোটা বিল্ডিং সিল করে দেওয়া হয়েছে। এদিকে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় সামাজিক দূরত্ব মানছেন না বাসিন্দারা। ফলে গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা আরও জোরালো হচ্ছে।
বুধবার সন্ধ্যায় ধারাভিতে প্রথম করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। এর ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই মৃত্যু হয় বছর ওই প্রৌঢ়ের। মুম্বইয়ের সিওন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। অভিযোগ, সময়মতো তিনি ভেন্টিলেটর পাননি। এরপর বৃহস্পতিবার ধারাভি থেকেই দ্বিতীয় করোনা আক্রান্তের খবর মেলে। তিনি বৃহন্মুম্বই পুরসভার সাফাই কর্মী ছিলেন। ওরলি এলাকার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। কিন্তু ধারাভি এলাকায় সাফাই কাজে যুক্ত ছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রেই সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। একইসঙ্গে চরম আতঙ্কে ভুগছিলেন মুম্বইকাররা। কারণ এশিয়ার বৃহত্তম বসতি হল ধারাভি। এই ধারাভি বসতিতে প্রায় ১৫ লাখ লোক একসঙ্গে বসবাস করেন। এমনকী বেশকিছু কারখানা রয়েছে। সেখানেও অনেকে কাজ করেন। মুম্বইয়ের স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য বলছে, এই বস্তিটিতে অনেক টিবি রোগী রয়েছেন। প্রত্যেক মরসুমে এখানে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার মতো রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় নিয়ম করে। সেখানে করোনা ভাইরাসের মতো এত ছোঁয়াচে একটি সংক্রমণ থেকে কী করে মানুষ রক্ষা পাবে, তা নিয়ে অনেকেই কার্যত হতাশ। অনেকেই সন্দেহ করছেন, সংক্রমণ চারিয়ে গেছে ইতিমধ্যেই। পর্যাপ্ত টেস্ট হচ্ছে না বলে হয়তো ধরা পড়ছে না। আর এই এলাকায় একবার সংক্রমণ ছড়ালে তা গোষ্ঠী সংক্রমণের রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করেছিলেন বিশেষজ্ঞরাও। ক্রমশ সেই আশঙ্কাই সত্যি হচ্ছে। ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ে এই এলাকায় তিনজনের আক্রান্ত হওয়ার খবরে সেই আশঙ্কা এবার সত্যি হওয়ার পথে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.