ফাইল চিত্র
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুণের (Pune) সেরাম ইনস্টিটিউটের (Serum Institute) তৈরি কোভিশিল্ডের (Covishield) করোনা প্রতিরোধের ক্ষমতা নিয়ে বড়সড় ঘোষণা করল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআর। করোনাজয়ীরা কোভিশিল্ডের একটি টিকা নিলেই রুখে দিতে পারবেন করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকে। সম্প্রতি নিজেদের গবেষণায় সেই তথ্যই জানতে পেরেছেন আইসিএমআর-এর বিশেষজ্ঞরা। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, করোনাজয়ীদের ক্ষেত্রে একটি টিকাতেই শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটা বেড়ে যাচ্ছে।
আইসিএমআর-এর ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, করোনা আক্রান্ত না হয়ে যাঁরা কোভিশিল্ডের একটি বা দুটি টিকা নিয়েছেন, তাঁদের তুলনায় করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর যাঁরা একবারই টিকা নিয়েছেন, তাঁদের করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই বেশি। অর্থাৎ করোনাজয়ীদের ক্ষেত্রে কোভিশিল্ডের একটি ডোজেই কাজ হবে। সেক্ষেত্রে তাঁদের নতুন করে করোনা আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কম। এমনকী ভাইরাসের নয়া ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষেত্রেও তাঁদের দেহে যথেষ্ট অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে যাবে।করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট রুখতে হিউমোরাল-সিমিলার ইমিউন রেসপন্স জরুরি। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, করোনাজয়ীদের শরীরে একটি ডোজেই এই ইমিউন রেসপন্স তৈরি হয়ে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, করোনার এই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু। বিশ্বের একাধিক দেশ-সহ ভারতেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য এই B.1.617.1 ভ্যারিয়েন্ট দায়ী। সেরামের তৈরি কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন এই ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কতটা কার্যকরী, তা জানতেই এই গবেষণাটি করা হয়েছে। ‘Neutralisation of Delta Variant with Sera of Covishield vaccines and Covid-19 Recovered Vaccinated Individuals’ নামে গবেষণাটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আইসিএমআর, পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি, কম্যান্ড হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগ এবং পুণের আর্মড ফোর্সেস মেডিক্যাল কলেজের বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে আগের তুলনায় দৈনিক সংক্রমণ কমলেও করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে উদ্বিগ্ন দেশবাসী। স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানাচ্ছে, তৃতীয় ঢেউয়ের প্রভাব সবচেয়ে বেশি দেখা যেতে পারে অক্টোবর-নভেম্বরে। তা সত্ত্বেও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিতীয় ঢেউয়ের তুলনায় অনেকটাই কম হবে। তবে করোনা যদি নিজেকে আরও মিউটেড করে, তাহলে তৃতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ ছড়ানোর গতি আরও বাড়বে বলেই সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.