Advertisement
Advertisement

Breaking News

হ্যান্ড স্যানিটাইজার

সাধ্যের মধ্যেই ‘মুক্তি’ হ্যান্ড স্যানিটাইজার, বিকোচ্ছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর উদ্যোগে

বাজারের চাহিদা মেটাতে স্যানিটাইজার প্রস্তুত করছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি।

Self help grop are making hand sanitiser and Mask in Purulia
Published by: Sucheta Chakrabarty
  • Posted:March 21, 2020 5:12 pm
  • Updated:March 21, 2020 5:12 pm  

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: করোনার আতঙ্কে বাজারে বাড়ছে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের চাহিদা। সেই বিপুল চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে তা জোগান দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি। তাই অভাব পূরণে আসরে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর হাতেই তুলে দিলেন মাস্ক ও স্যানিটাইজার তৈরির দায়িত্ব। আর তারা সেই কাজ করেই তাক লাগিয়ে দিলেন সকলকে।

Advertisement

‘মুক্তি’ নামে হ্যান্ড স্যানিটাইজারে ছেয়েছে পুরুলিয়ার বাজার। রাজ্যবাসীর চাহিদা মেটাতে  স্বনির্ভর গোষ্ঠীর তত্ত্বাবধানে প্রস্তুত করা হচ্ছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক, তা মিলছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির বিপনীতে। শুধুমাত্র বাজারে অমিল নয় এই হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক নিয়ে কালোবাজারিও শুরু হয়েছে রাজ্যে। দাম বাড়িয়ে তা বিক্রি করা হচ্ছে। উপায় না দেখে প্রয়োজনের তাগিদে তাই দ্বিগুণ দামে কিনছেন আমজনতারা।

তবে, স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির চেষ্টায় প্রস্তুত করা হ্যান্ড স্যানিটাইজারের দাম রাখা হয়েছে মানুষের সাধ্যের মধ্যেই। রঘুনাথপুরের এক ব্লকের আলো মহিলা সংঘের পঞ্চাশ মিলিলিটারের এই হ্যান্ড স্যানিটাইজারের দাম রাখা হয়েছে পঞ্চাশ টাকা। ফলে তা বাজারে আসতেই নজর কেড়েছে সকলের।একই ভাবে কাশীপুর ব্লকে মাস্ক তৈরি করছে জন অধিকার স্বনির্ভর দল, স্বনির্ভর এসআইচজি-সহ আরও চারটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী। শুক্রবার সেই মাস্কই কাশীপুর ব্লক সদরে বিলি করে কাশীপুর ব্লক প্রশাসন। পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদার বলেন, “বাজারে বিপুল মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই আমরা স্বনির্ভর দলকে তৈরি করতে বলেছি। সেইসঙ্গে এই কাজে লাভের মুখ দেখতে পারেন গোষ্ঠীগুলি।” 

[আরও পড়ুন: করোনার সংক্রমণ রোখার চেষ্টা, রাম নবমীর শোভাযাত্রা বাতিলের সিদ্ধান্ত VHP’র]

জেলা প্রশাসন সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, এই মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিভিন্ন ব্লকগুলির পঞ্চায়েতে পাঠানো হবে। কিছুদিন আগেই এই গোষ্ঠীগুলিকে মাস্ক ও স্যানিটাইজার তৈরিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিয়ে শহরতলির বিভিন্ন দোকানে কালোবাজারি চললেও পুরুলিয়া জেলা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ রাস্তায় নেমে আচমকা দোকানে হানা দেয়। তারাই জানায়, এই জেলায় মাস্ক নিয়ে কোনও কালোবাজারি হয়নি। বাজারে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির প্রস্তত করা হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক সাধ্যের মধ্যে সঠিক গুণমানের হওয়ায় বিপণি থেকে বেশি দামী হ্যান্ড স্যানিটাইজার কিনতে আর রাজি নন পুরুলিয়াবাসী।

[আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কে অগ্নিমূল্য বাজার, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অভিযানে পুলিশ-টাস্ক ফোর্স]

ছবি: সুনিতা সিং

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement