Advertisement
Advertisement

Breaking News

China

করোনা বড় বালাই, ভূমিকম্পে বাড়ি কাঁপলেও বেরনো নিষেধ! প্রশ্নের মুখে চিনের কোভিড বিধি

ভাইরাল হয়ে গিয়েছে এমনই এক ভিডিও।

People stopped from fleeing during earthquake under China's zero-COVID policy। Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:September 6, 2022 2:10 pm
  • Updated:September 6, 2022 2:53 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একে অতিমারীর (Pandemic) আতঙ্ক। তার মধ্যেই ভয়াবহ ভূমিকম্পে (Earthquake) বিপর্যস্ত চিনের (China) সিচুয়ান প্রদেশের কাংডিং। ২০১৭ সালের পর থেকে গত পাঁচ বছরে এমন শক্তিশালী কম্পন আর অনুভূত হয়নি এই এলাকায়। কিন্তু এহেন পরিস্থিতিতেও একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে যা দেখে চমকে উঠতে হয়। সেই ভিডিওয় দেখা গিয়েছে প্রবল কম্পনে কেঁপে ওঠা সত্ত্বেও একটি বাড়ি থেকে কাউকে বেরতে দেওয়া হচ্ছে না স্রেফ কোভিড বিধি মেনে চলতে! চিন যে করোনাকে হারাতে কতটা মরিয়া, তা প্রশাসনের এমন আজব পদক্ষেপ থেকেই পরিষ্কার।

উল্লেখ্য, মার্কিন ভূতত্ত্ববিদের সমীক্ষা অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে সোমবারের কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৬। এর জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দীর্ঘ ৪৩ কিমি এলাকা। এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। কম্পনের ভরকেন্দ্র ছিল লুডিং শহরে। যা চেংডু থেকে ২২৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সিচুয়ান প্রদেশ এমনিতেই ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা। বিশেষ করে এখানকার পশ্চিমের পার্বত্য অঞ্চলে ভূমিকম্প প্রায়ই হয়। কিন্তু এবারের কম্পন ছিল ভয়াবহ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: প্রথম রাতের কুমারীত্ব পরীক্ষায় ‘ফেল’, ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা করেও ত্যাগ বধূকে]

আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। করোনা পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে মানুষকে ভূমিকম্পের সামনে অসহায় অবস্থায় থাকতে দেওয়া যায় কি? প্রশাসনের এমন কড়াকড়িতে নিন্দায় মুখর ওয়াকিবহাল মহল। ভিডিওয় দেখা গিয়েছে। একটি বিল্ডিং থেকে কাউকে বেরতে দেওয়া হচ্ছে না। দরজায় দাঁড়ানো মাস্ক ও পিপিই কিট পরিহিত এক নিরাপত্তা কর্মী হাত উঁচিয়ে সকলকে বেরতে নিষেধ করছেন। এমন অমানবিক দৃশ্য দেখে বিস্মিত সকলেই।

চেংডুতে এমনিতেই জারি কড়া কোভিডবিধি (COVID Pandemic)। বর্তমানে সেখানে লকডাউনে ঘরবন্দি মানুষ। তারই মধ্যে তীব্র কম্পন অনুভূত হওয়ায় ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। কেঁপে ওঠে বহুতল বিল্ডিংগুলিও। সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে কম্পনের জেরে একাধিক এলাকায় ধস নামার ফুটেজও। বন্ধ হয়ে গিয়েছে যান চলাচলের রাস্তা। কমপক্ষে ২১ জনের মৃত্যুর খবর এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত করা হয়েছে। আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত অন্তত ১০ হাজার মানুষ। ভূমিকম্প পরবর্তী কম্পন অর্থাৎ আফটার শকেও বেড়েছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। জানা গিয়েছে, মূল ভূমিকম্পের ঘণ্টাখানেক পরই তিব্বতে কম্পন অনুভূত হয়। যার মাত্রা ছিল ৪.৩।

[আরও পড়ুন: কমছে সংক্রমণ, কাটছে করোনার প্রভাব, দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৫২ হাজার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement