সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃতীয় দফা লকডাউনে পরিযায়ী শ্রমিকদের বিক্ষোভে ফের উত্তপ্ত সুরাট। বাড়ি ফেরার দাবিতে রাজপথে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। পুলিশ কর্মীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে তাঁদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। পাথরের ঘায়ে জখম হন দুজন পুলিশ কর্মী। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়তে হয়। বিক্ষোভের জেরে অন্তত ১০০ জন শ্রমিককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এনিয়ে চারবার শ্রমিক বিক্ষোভে উত্তাল হল সুরাট।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সুরাটের মোরা গ্রামে ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড ও বিহার থেকে প্রচুর শ্রমিক কাজ করতে আসেন। তাঁরা মোরা গ্রামে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন। হাজিরা হাউস সংলগ্ন সমুদ্রতট এলাকায় একাধিক বহুজাতিক সংস্থার অফিস রয়েছে। লকডাউনের নিয়ম শিথিল হতেই অল্পসংখ্যক কর্মী নিয়ে তারা কাজও শুরু করে দিয়েছিল। কিন্তু অন্যান্য এলাকার পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ট্রেন, বাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাঁদের বাড়ি পাঠানো হচ্ছে। তা দেখে হাজিরা এলাকায় কর্মরত শ্রমিকরাও বাড়ি ফেরার দাবিতে সরব হন। সেই দাবিতে শনিবার রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ভাঙা হয় সামাজিক দূরত্বের নিয়মবিধি। পুলিশ গোটা পরিস্থিতি সামাল নিতে এলে উত্তেজনার পারদ আরও তুঙ্গে ওঠে। অভিযোগ, পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয় ইট-পাটকেল। পাথরের ঘায়ে জখম হন দুই পুলিশকর্মী। বিক্ষুব্ধদের বোঝাতে গেলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শেষপর্যন্ত কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। পরে ১০০ জন বিক্ষুব্ধ শ্রমিককে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঘটনা প্রসঙ্গে যুগ্ম পুলিশ কমিশনার ডিএন প্যাটেল বলেন,”ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, বিহার ও উত্তরপ্রদেশের পরিযায়ী শ্রমিকরা বাড়ি ফেরার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল। পুলিশকর্মীরা তাঁদের শান্তভাবে বোঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। পালটা পাথর ছুঁড়তে শুরু করে তারা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। ১০০ জন শ্রমিককে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের শারীরিক পরীক্ষা করা হবে।” তিনি আরও জানান, “পাথরের ঘায়ে দুজন পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.