ছবি: প্রতীকী
সৌরভ মাজি, বর্ধমান: প্রতিদিন চার-পাঁচজন করে আক্রান্ত হচ্ছেন। সোমবার সর্বশেষ রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত পূর্ব বর্ধমানে ২৪ ঘণ্টায় ৯ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। যা একদিনের হিসেবে সর্বোচ্চ। একদিকে, আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। অন্যদিকে, হাজার হাজার নমুনা পরীক্ষা না পড়েই থাকছে, রিপোর্ট আসছে না। ফলে তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা যেমন বাড়ছে, তেমনই সংক্রমণও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল।
জেলা প্রশাসন সূত্রে সর্বশেষ পাওয়া হিসেবে জেলায় লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৯ হাজার ৩১৭টি। তার মধ্যে পরীক্ষা হয়েছে ৫ হাজার ১৫৭টির। এখনও পরীক্ষা হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে ৪ হাজার ১৭০টি নমুনা। এইসব নমুনা অধিকাংশই যাঁরা আক্রান্ত হতে পারেন, এমন সন্দেহ করেই সংগ্রহ করা হয়েছিল। ফলে রিপোর্ট না মেলায় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে। মাইনাস ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় লালারস সংরক্ষণ করা প্রয়োজন বল জানা গিয়েছে। আবার নমুনা সংরক্ষণের মত পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও নেই জেলায়। ফলে তা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। জেলা শাসক বিজয় ভারতী অবশ্য জানিয়েছেন, পরীক্ষার হার বাড়াতে বর্ধমান মেডিক্যালে আরটি-পিসিআর মেশিনে পরীক্ষা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, মাইনাস ৮০ ডিগ্রিতে রাখার মত রেফ্রিজারেটরেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন বর্ধমান মেডিক্যাল, কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল ও দুর্গাপুরের সনকা হাসপাতাল মিলিয়ে প্রায় ৩৫০ নমুনার পরীক্ষা করা হচ্ছে। রিপোর্ট মিলছে। আর প্রতিদিন জেলার ৮টি কেন্দ্র থেকে গড়ে ৬০০-এর বেশি নমুনা সংগ্রহ হচ্ছে। ফলে অর্ধেকের বেশি নমুনা পরীক্ষা না হয়ে পড়ে থাকছে। এইভাবে চলতে থাকলে কিছুদিনের মধ্যেই সংক্রমণ ধরা ছোঁয়ার বাইরে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকেই।
এদিন বর্ধমান শহরের সদরঘাটের পূর্ত দপ্তর স্ট্যাকইয়ার্ড সংলগ্ন এলাকায় এক পরিযায়ী শ্রমিক করোনা আক্রান্ত হয়েছে। এছাড়া গলসির বিক্রমপুর, মেমারি-২ ব্লকের ঝিকরা ও বড়পলাশন, আউশগ্রাম-২ ব্লকের ভেদিয়া, রায়না-১ ব্লকের মাদানগর ও খেমটা এবং জামালপুরের জৌগ্রামের ময়না একজন করে পরিযায়ী শ্রমিকের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এছাড়া বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলার রিপোর্টও পজিটিভ এসেছে। ওই মহিলার বাড়ি পশ্চিম বর্ধমানের বারাবনির পানুরিয়া গ্রামে। সকলকেই দুর্গাপুরের কোভিড-১৯ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.