সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জাপানের সুপার কম্পিউটার ‘ফুগাকু’ (Fugaku)-কে এবার ব্যবহার করা হবে করোনা গবেষণায়। হাই পারফরম্যান্স যুক্ত বিশ্বের দ্রুততম সুপার কম্পিউটারকে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত। এই সুপার কম্পিউটারকে কাজে লাগিয়েই করোনার জেনেটিক মিউটেশন বিশ্লেষণের কাজ শুরু করা হবে।
বিশ্বের দ্রুততম ‘ফুগাকু’ সুপার কম্পিউটারটি তৈরি করেছে জাপানি টেক জায়ান্ট ফুজিৎসু ও রিকেন (Fujitsu and Riken )। সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত এই দুই টেকনোলজি ফার্মের তৈরি সুপার কম্পিউটার ফুগাকুর মধ্যে রয়েছে দেড় লক্ষ হাই-পারফরম্যান্স প্রসেসিং ইউনিট। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘সামিট’ (Summit) সিস্টেমের থেকেও দ্রুতগতির ও উন্নত হাই-স্পিডযুক্ত সুপার কম্পিউটার ‘ফুগাকু’। মার্কিন ‘সামিট’ সিস্টেমটি তৈরি করেছে ওক রিজ ন্যাশনাল ল্যাবরেটরি। বিশ্বের সেরা ৫০০ সুপার কম্পিউটিং সিস্টেমের মধ্যে দু’নম্বরে রয়েছে সামিট সিস্টেম। রিকেন টেকের ডিরেক্টর সাতোশি মাৎসউকা (Satoshi Matsuoka) বলেছেন, “মার্কিন সুপার কম্পিউটার সামিট সিস্টেমের থেকেও ২.৮ গুণ বেশি স্পিডে কাজ করতে পারে ‘ফুগাকু’। বিশ্বের আধুনিক সুপার কম্পিউটার যেমন এইচপিসিজি, এইচপিএল-এআই ও গ্রাফ ৫০০-র থেকেও এগিয়ে রয়েছে ফুগাকু।” সাতোশির দাবি, “বিশ্বে প্রথম কোনও সিঙ্গল সিস্টেম সুপার কম্পিউটার ইতিহাস তৈরির পথে এগিয়ে চলেছে।”
জানা যায়, ছ’বছর ধরে এই সুপার কম্পিউটার তৈরি করেছে ফুজিৎসু টেক গ্রুপ। তাদের আশা আগামী বছরেই এই সুপার কম্পিউটার কাজ শুরু করে দেবে। তবে করোনা গবেষণার কাজে এই প্রথম সুপার কম্পিউটারকে ব্যবহার করা হবে। ভাইরাসের জিনের গঠনের বদল বা জেনেটিক মিউটেশন বিশ্লেষণের কাজে সাহায্য করবে এই কম্পিউটার। এমনকী, জনবহুল জায়গায় ভাইরাসের ড্রপলেট কীভাবে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে তার ডেটাও অ্যানালিসিস করবে বিশ্বের দ্রুততম কম্পিউটারটি। সর্বোপরি ভাইরাস সংক্রমণ থেকে মুক্তির উপায়ও বার করা যাবে এই হাই-পারফরম্যান্সযুক্ত সুপার কম্পিউটিং সিস্টেমকে কজে লাগিয়ে। ইতিমধ্যেই COVID গবেষণার কাজে সুপার কম্পিউটারের প্রযুক্তিকে কাজে লাগানোর প্রস্তাব দিয়েছে দিল্লির ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.