Advertisement
Advertisement
Durga Puja

করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তে দায়ী দুর্গাপুজো, অতীন ঘোষের দাবির পালটা দিলেন উদ্যোক্তারা

কলকাতায় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির দায় কার? এ নিয়ে শুরু তরজা।

Forum for Durgotsav reatcs strongly on Atin Ghosh's comment on spreading corona virus just after Durga Puja | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:October 23, 2021 9:03 pm
  • Updated:October 23, 2021 9:17 pm

সংবাদ প্রতিদিনি ডিজিটাল ডেস্ক: উৎসবের মরশুম কাটতেই রাজ্যের করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতি ফের উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে। দিনদিন সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়ছে। যার মধ্যে শীর্ষে কলকাতা। কিন্তু করোনার তৃতীয় ঢেউ রুখতে এত বিধিনিষেধ সত্ত্বেও কেন পরিস্থিতির অবনতি? এর নেপথ্যে বাংলার দুর্গাপুজোকেই (Durga Puja) দায়ী করেছেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তথা কাশীপুর-বেলগাছিয়ার তৃণমূল বিধায়ক অতীন ঘোষ (Atin Ghosh)। তাঁর এই দাবির পালটা উত্তর দিয়েছে ফোরাম ফর দুর্গোৎসব। তাদের দাবি, আদালত, রাজ্য সরকারের বেঁধে দেওয়া নিয়ম মেনেই দুর্গাপুজোর আয়োজন করা হয়েছে। মণ্ডপে দর্শনার্থীদের ভিড় সামলাতে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাই সংক্রমণ বৃদ্ধির পিছনে কোনওভাবেই দুর্গাপুজোকে দায়ী করা যায় না।

শুক্রবার এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে শাসকদলের বিধায়ক তথা কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের অধিকর্তা অতীন ঘোষ বলেন, ”দুর্গাপুজোর সময় সংক্রমণ যাতে না বাড়ে, তার জন্য আমরা কড়া ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্মীদের ছুটি বাতিল করে তাঁদের সর্বক্ষণ কাজের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছিল। দুর্গাপুজো কমিটিগুলোকেও নির্দিষ্ট নিয়মবিধি মেনে আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া হয়। মণ্ডপে মাস্ক, স্যানিটাইজার রাখার ব্যবস্থাও ছিল। কিন্তু দেখা গিয়েছে, পুজোয় অনেকেই মাস্ক (Mask) ছাড়া ঘুরতে বেরিয়েছেন। তারপর থেকেই সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।” পাশাপাশি তিনি এই দাবিও করেছিলেন যে কলকাতায় ১০০ শতাংশ টিকাকরণ (Vaccination) হয়েছে। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, এখনও ১০ থেকে ১৫ শতাংশ নাগরিক টিকা পাননি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: আর জি কর হাসপাতালের অচলাবস্থা কাটাতে আইনের দ্বারস্থ, হাই কোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

এবার অতীন ঘোষের বক্তব্যের পালটা যুক্তি দিয়েছে কলকাতার সবচেয়ে বড় পুজো উদ্যোক্তা – ফোরাম ফর দুর্গোৎসব (Forum for Durgotsav)। সংস্থার তরফে সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ”রাজ্য সরকার ও হাই কোর্টের নির্দেশ মেনেই আমরা পুজোর সবরকম আয়োজন করেছিলাম। মণ্ডপের ৩০ ফুটের মধ্যে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। মাস্ক, স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা ছিল। যাঁদের মুখে মাস্ক ছিল না, তাঁদের মাস্কও দেওয়া হয়েছে। ফলে আমাদের তরফে সতর্কতাবিধি মানার ক্ষেত্রে কোনও ত্রুটি হয়নি। কিন্তু মানুষ মণ্ডপ ছাড়াও রাস্তায় ঘুরেছেন। তখন যদি মাস্কবিহীন অবস্থায় ঘোরেন, তার দায় তো আয়োজকদের নয়।” তাঁর আরও বক্তব্য, ”শুধু পুজোই বা কেন, পুজোর আগে গড়িয়াহাট, হাতিবাগান, এসপ্ল্যানেড চত্বরে কেনাকাটার জন্য মানুষজন ভিড় করেছিলেন, সেসময় সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য কারা দায়ী?”

[আরও পড়ুন: হু হু করে বাড়ছে সবজির দাম, কালোবাজারি রুখতে বাজারে হানা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের]

কলকাতা পুরসভার (KMC) দায়িত্বপ্রাপ্ত অতীন ঘোষের দাবি এবং ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের পালটা যুক্তিতে পুজোর পর রাজ্যে করোনা সংক্রমণের নেপথ্যে আসলে কোন ফ্যাক্টর দায়ী, তা নিয়ে শুরু হয়ে গেল তরজা। তবে কারণ যাই হোক, বাস্তব চিত্র এই যে বহু মানুষই মাস্কবিহীন অবস্থায় রাস্তায় বেরিয়েছেন, এখনও বেরচ্ছেন। করোনা টিকার দুটি ডোজ নেওয়াকেই হয়ত তাঁরা রক্ষাকবচ বলে মনে করছেন। তাই করোনাবিধিতে কিছুটা ঢিলেমি। আচমকাই বেড়ে চলা সংক্রমণ রুখতে হলে জনগণকেই আরও সচেতন হতে হবে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement