সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আশঙ্কা শেষ পর্যন্ত সত্যি হয়ে গেল। নোভেল করোনা ভাইরাসের দাপটের সঙ্গে লড়াই করে হার মানলেন দমদমমের ৫৭ বছরের বৃদ্ধ। রাজ্যে তিনিই প্রথম করোনা ভাইরাসের বলি। সূত্রের খবর, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সল্টলেকের এক বেসরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর খবর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে পাঠানো হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনে।
গত ১৯ তারিখ থেকে জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে এই ব্যক্তি ভরতি হয়েছিলেন সল্টলেকের বেসরকারি হাসপাতালে। তাঁর রক্ত ও লালারস পরীক্ষার জন্য নাইসেডে পাঠানো হয়। নাইসেড থেকে পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পর দেখা যায়, তিনি করোনা পজিটিভ। তাঁকে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা শুরু হয়। তাঁর প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় তাঁকে ECHMO সাপোর্টে রাখা হয়। তবে ৫৭ বছরের ওই ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা যে দিনদিন অবনতির দিকে যাচ্ছে, তাও বোঝা যাচ্ছিল। শেষে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
ওই ব্যক্তির মার্চের প্রথমদিকে মধ্যপ্রদেশের বিলাসপুর থেকে ট্রেনে বাড়ি ফিরেছিলেন। তারপর তাঁর নিউমোনিয়া হওয়ায় বাগুইআটির একটি নার্সিংহোমে গিয়ে চিকিৎসা করান। কিন্তু এর কয়েকদিন পর তিনি আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন তাঁর করোনা টেস্ট করানো হয়। পজিটিভ ধরা পড়ে। তবে ক্রমশ তাঁর পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে থাকে। তারই মধ্যে স্ত্রী, মা, শাশুড়ির পাশাপাশি ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে আসেন বেশ কয়েকজন। তাঁদের সকলকে আইসোলেশনে রাখা হয়। রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয় নাইসেডে পরীক্ষায়। তাঁদের রিপোর্ট আসবে সন্ধ্যায়। তারপর বোঝা যাবে, আরও ক’জনের সংক্রমণ ঘটেছে এই ব্যক্তির থেকে। মৃত্যুর পর তাঁর দেহ কীভাবে সৎকার করা হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তৈরি হয়। নবান্নের বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, শেষকৃত্য যেন একেবারে নিয়ম মেনে পালন করা হয়। যাতে সৎকারের সময়ে জীবাণু না ছড়িয়ে পড়ে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, তাঁর দেহে করোনার জীবাণু থাকায় বিশেষ ব্যাগে করে মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.