কৃষ্ণকুমার দাস: ক্রমশ কঠিন হচ্ছে কলকাতার করোনা পরিস্থিতি। গত ২৪ ঘণ্টায় একধাক্কায় ১২টি কনটেনমেন্ট জোন বেড়েছে। কলকাতার পরিস্থিতি সামাল দিতে বোরো কো-অর্ডিনেটরদের সঙ্গে কলকাতা পুরবোর্ডের মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম বৈঠক করেন। সোমবার তিনি কলকাতা বড়বাজার সংলগ্ন একাধিক বোরো পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি, লকডাউনে কলকাতা পুরসভার যে সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মী, ডাক্তাররা কাজে যোগ দেননি, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।
লকডাউন চলাকালীন বহু ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মী কাজে যোগ দিতে চাইছেন না। এমনকী, শহরের বাইরে বাড়ি বলে কাজে না আসার অজুহাত দিচ্ছেন। এবার তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানালেন মুখ্য প্রশাসক। তাঁর সাফ কথা, “দুদিনের নোটিশ দেওয়া
হবে, তার মধ্যে ওঁরা কাজে যোগ না দিলে কড়া ব্যবস্থা নেব। চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের বরখাস্ত করা হবে। স্থায়ী কর্মীদের সাসপেন্ড করা হবে।” এমনকী, শহরের বাইরে থাকা কর্মীদের থাকার জন্য কলকাতায় হোটেল, গেস্টহাউস ভাড়া নেওয়া হয়েছে। এমনকী, তাঁদের বাড়ি
থেকে নিয়ে আসার দায়িত্বও প্রশাসনের। এরপরও কাজে যোগ না দিলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে জোড়াবাগান, বড়বাজার এলাকায় করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে আরও মাইক্রোপ্ল্যানিং করার কথা ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে। তবে বড়বাজার এলাকা থেকে বাজার সরানো হচ্ছে না বলেই জানিয়েছেন ফিরহাদ। বদলে মালবাহি লরি বাইরে মাল খালাস করা
হতে পারে। তবে স্বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে পুলিশ। জানা গিয়েছে, পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে লালারস পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এজন্য কলকাতার রাস্তায় নামছে মোট সাতটি অ্যাম্বুল্যান্স। ইতিমধ্যে প্রায় সাড়ে তিনশো লালারসের নমুনা সংগ্রহ করেছে। আগামী কয়েকদিনে বারশো নমুনা সংগ্রহ করা হবে। এজন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এদিকে রেশন নিয়েও বেশকিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.