সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্কুলের গন্ডি পেরিয়েছেন বহুদিন। কিন্তু শিক্ষকরা আজও তাঁদের মনের মণিকোঠায়। তাই তো লকডাউনের দিনেও সেই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সাউথ পয়েন্টের প্রাক্তনীরা। সংকটের সময়ও তাঁদের দোরে-দোরে পৌঁছে দিচ্ছেন খাবার, ওষুধ, মুদিখানার সামগ্রী। শিক্ষক-শিক্ষিকারদের যে কোনও প্রয়োজনে ছুটে যাচ্ছেন ওঁরা ৪০ জন। তবে কেবলমাত্র সংকটের সময় নয়, বছরভরই স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাশে থাকে সাউথ পয়েন্টের প্রাক্তনীদের সংগঠন ‘পয়েন্টার হু কেয়ার’।
করোনা রুখতে দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন চলছে। অত্যাবশকীয় পণ্যের দোকান খোলা রয়েছে। খোলা রয়েছে বাজারও। বয়সের ভারে সেই দোকান, বাজার অবধি পৌঁছনো দায়। অনেকের বাড়িতে ছেলেমেয়েরা নেই। কেউ কর্মসূত্রে তো কেউ আবার পড়তে গিয়ে বিদেশ-বিভুঁইয়ে আটকে পড়েছেন। ফলে বাড়িতে একাই সাউথ পয়েন্টের ষাটোর্ধ্ব শিক্ষিক-শিক্ষিকারা। ছেলেমেয়েরা কাছে নেই তো কি, ছাত্রছাত্রীরা তো সন্তানসম। তাঁরাই পাশে রয়েছেন। হোয়্যাটসঅ্যাপে আসছে ওষুধের তালিকা, কখনও আবার মুদিখানার ফর্দ। প্রাক্তনীদের দোকান থেকেই সেই তালিকা মিলিয়ে ওষুধ কিনে প্রদীপ, অনুপম, সিদ্ধার্থ, রাজ, শর্মিলা, অর্পিতারা পৌঁছে যাচ্ছেন শিক্ষিক-শিক্ষিকাদের কাছে। রাস্তায় বের হওয়া তো নিষিদ্ধ, তাহলে কীভাবে বের হচ্ছেন তাঁরা?
এ প্রসঙ্গে পয়েন্টার হু কেয়ারের সদস্য প্রদীপ চক্রবর্তী জানান, “সংগঠনের কর্ণধারের গাড়িটির জন্য বিশেষ পাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।” তবে তাঁদের কর্মকান্ড আপাতত দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় সীমাবদ্ধ। কারণ, উত্তর কলকাতা ও শহরতলিতে ছড়িয়ে থাকা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের খোঁজ তাঁরা পাচ্ছেন না। প্রদীপবাবুর একান্ত অনুরোধ, উত্তর কলকাতা ও তৎসংলগ্ন এলাকার সাউথ পয়েন্টের প্রাক্তন শিক্ষক-শিক্ষিকারা যেন তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ জন্য তিনি ( প্রদীপ চক্রবর্তী- 7980518847) ও অনুপম সেনের (9830304429) ফোন নম্বরও দিয়েছেন।
বারবার অভিযোগ ওঠে, ছাত্রছাত্রীরা নাকি স্কুল পার করলেই সব ভুলে যান। সমাজের কাছে নাকি প্রাক্তন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কোন কদর থাকে না। এ সমস্ত যে স্রেফ কথার কথা, তা আরও একবার প্রমাণ করে দিল পয়েন্টার হু কেয়ার। ওঁদের কথায়, “A pointer is always be a pointer, সে আটেই হোক আর আশিতে!”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.