Advertisement
Advertisement
রেলে করোনা

দু’কামরার ট্রেনে বাদুরঝোলা রেলকর্মীরা, বাড়ছে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা

ইতিমধ্যে রেলের বেশকিছু কর্মী সংক্রামিত হয়েছেন।

Corona scare: frontline rail workers are going for work on small train

প্রতীকী ছবি

Published by: Paramita Paul
  • Posted:March 28, 2020 10:25 am
  • Updated:March 28, 2020 10:25 am  

সুব্রত বিশ্বাস: রেলের ‘ফ্রন্ট-লাইন’ কর্মীরা কতটা নিরাপদ?  অভিযোগ, নিরাপত্তাজনিত সামগ্রী জোগান দিলেও ‘হু’ ও সরকারের বেঁধে দেওয়া আইনকে মোটেই মানছে না রেল। সামাজিক দূরত্বের যে মাপকাঠি দিয়েছে সরকার তা লঙ্ঘিত হচ্ছে। পূর্ব রেলের মেনস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিতকুমার ঘোষ শিয়ালদহের ডিআরএমকে লিখিতভাবে অভিযোগে জানান, ফ্রন্ট লাইন কর্মীদের বিভিন্ন স্টেশনের থেকে কর্মস্থলে নিয়ে যাওয়ার জন্য যে দু’কামরার ট্রেন চালাচ্ছে রেল, তাতে কর্মীদের তুলনায় জায়গা এতটাই কম যে, একে অন্যে ঘাড়ে চড়ে যেতে হচ্ছে। এতে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে।

পশ্চিম রেলের আট জন ও ভোপালের এক গার্ডের শরীরে করোনা ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এদের মধ্যে গ্রান্ট রোডের পাঁচ আরপিএফ কর্মী ও মুম্বই সেন্ট্রালের নন্দুরবারের তিন ট্র্যাক মেনটেনার্স রয়েছেন। তাঁদের হোম কোয়ারান্টাইনে পাঠানোর পাশাপাশি আইসোলেশনে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে চিকিৎসক। চালক, গার্ড, ট্রাক মেনটেনার্স, সিগন্যালের কর্মী, স্টেশন মাস্টার, ডেপুটি এসএম, আরপিএফ—সহ অন্য অনেক বিভাগের কর্মীরা রয়েছেন যাঁরা এখনও কাজ করছেন। এখন পণ্য পরিবহণের মতো জরুরি পরিষেবা দিচ্ছে রেল। এই পরিবহণ চালু রাখতে এখন বহু ফ্রন্ট লাইন কর্মীকে নিয়মিত কাজে যেতে হচ্ছে। এই কাজে যেমন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যাচ্ছে না, তেমনই তাঁদের যাতায়াতে রেল যে দু’কামরার ট্রেন দিচ্ছে, তাতে প্রচণ্ড ভিড় হচ্ছে। পাশাপাশি এইসব কর্মীরা কাজে যাওয়ার পথে পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ার কর্মীদের হাতে মারও খাচ্ছেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন : দেশে করোনার বলি আরও এক বিদেশি, দিল্লিতে প্রাণ হারালেন ইয়েমেনের নাগরিক]

পূর্ব রেলের মেনস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিতকুমার ঘোষ পুলিশ কমিশনারকে এই অত্যাচার বন্ধের আরজিও জানান লিখিতভাবে। অমিতবাবু জানান, বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী জরুরি পরিষেবায় বাধা না দেওয়ার নির্দেশের পর এই অত্যাচার কিছুটা কমেছে। হাওড়ার ডিআরএম ইশাক খান জানান, ফ্রন্ট লাইন কর্মীরা যেখানে কাজ করছেন সেই স্থল স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। যে ট্রেনে যাচ্ছেন তার কামরাও স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। তবে দু’দিন সেই ট্রেনে অনেকে চড়ে যাওয়ায় ভিড় হয়েছিল। শুক্রবার বিষয়টি জেনে সেই ট্রেনে আরপিএফ নিযুক্ত করা হয়েছে। ফলে ভিড় হয়নি এদিন।

[আরও পড়ুন : লকডাউনে বাইরে বেরিয়ে হাঁচির আহ্বান জানিয়ে ফেসবুক পোস্ট, ধৃত তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী]

পূর্ব ও দক্ষিণ—পূর্ব রেল পণ্য পরিবহণের মতো জরুরি পরিষেবা চালিয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার পূর্ব রেলে চল্লিশটি কয়লার রেক, দশটি চালের রেক, আটটি স্টিলের রেক, পাঁচটি পেট্রোলের রেক, তিনটি নুনের রেক, দু’টি গমের রেক ও একটি পিঁয়াজের রেক চালায়। দক্ষিণ—পূর্ব এদিন নয়টি রেক চালায়। যার মধে্য দুটো কয়লা, তিনটি পেট্রোলজাত ও চারটি নুনের।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement