সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার (Corona Virus) দ্বিতীয় ঢেউ যে ভাবে আছড়ে পড়েছে তাতে সাধারণ মানুষ কিছুটা হলেও ভীত হয়ে পড়ছেন। তাই আগে থেকে বাড়িতে ওষুধ, অক্সিজেন (Oxygen) মজুত করার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। এমনকী সামান্য উপসর্গ দেখা দিলেই অনেকে হাসপাতালে ভরতি হতে চাইছেন। কিন্তু অযথা ভীত হয়ে এ সব করার কোনও প্রয়োজন নেই বলে জানালেন এইমসের (AIIMS) ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া।
রবিবার রণদীপ গুলেরিয়ার সঙ্গে মেদান্তর চেয়ারম্যান নরেশ ত্রেহান, এইমসের মেডিসিন বিভাগের প্রধান নভীত উইগ এবং হেল্থ সার্ভিসের ডিরেক্টর জেনারেল সুনীল কুমার সাধারণ মানুষের জন্য এক ভিডিও বার্তা দেন। সেখানে রণদীপ গুলেরিয়া বলেন, “করোনা নিয়ে বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষের মধ্যে যথেষ্ট ভয় ছড়িয়ে পড়েছে। এর ফলে অনেকেই অক্সিজেন সিলিন্ডার বা রেমডিসিভির মজুত করতে শুরু করেছেন বাড়িতে। তাই হাসপাতালগুলিতে অনেক সময় এর অভাব দেখা দিচ্ছে।”
এর পরই তিনি বলেন, করোনার সংক্রমণ সাধারণ সংক্রমণ। ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ মানুষের করোনায় জ্বর, সর্দি, কাশি, গা ব্যাথা দেখা যায়। এর জন্য কখনওই রেমডিসিভিরের মতো ওষুধ প্রয়োজন নেই। এর জন্য সাধারণ জ্বর, কাশির ওষুধ খেলেই হবে। আপনি ৭ থেকে ১০ দিনেই ভাল হয়ে যাবেন। তাই এই সাধারণ সংক্রমণের জন্য অক্সিজেন বা রেমডিসিভির বাড়িতে মজুতের প্রয়োজন নেই।
রণদীপ গুলেরিয়া আরও জানিয়েছেন, ১০ থেকে ১৫ শতাংশ আক্রান্তের অতিরিক্ত ওষুধ যেমন রেমডিসিভির, অক্সিজেন বা প্লাজমা প্রয়োজন হয়। আর তার মধ্যে ৫ শতাংশেরও কম রোগীর ভেন্টিলেটর প্রয়োজন হয় করোনায় আক্রান্ত হলে। তাই এই তথ্য যদি দেখা যায়, তবে আমাদের ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। করোনায় পজিটিভ রিপোর্ট এলেও হাসপাতালে ভরতির জন্য লাইন দেওয়ারও প্রয়োজন নেই।
#WATCH | AIIMS Director Dr Guleria says, “…Remdesivir not a magic bullet, it’s given to only patients who are hospitalised, have moderate to severe disease & whose oxygen saturation is below 93…Don’t misuse Oxygen & Remdesivir. Most patients can recover by isolating at home.” pic.twitter.com/jx7oUIXIOw
— ANI (@ANI) April 25, 2021
মেদান্তের চেয়ারম্যান ডক্টর ত্রেহান জানিয়েছেন, “৯০ শতাংশ করোনা রোগী সঠিক সময়ে সঠিক ওষুধে বাড়িতেই ঠিক হয়ে যান। আরটি-পিসিআর রিপোর্ট পজিটিভ এলে স্থানীয় চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে ওষুধ খেতে হবে। কারণ এখন সব চিকিৎসকই করোনার চিকিৎসা বিধি জানেন। ফলে ৯০ শতাংশ রোগীই বাড়ি থেকেই সেরে উঠছেন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.