সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘরের লক্ষ্ণণরেখা পার না করার আবেদন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী ২১ দিন যে যেখানে আছেন, সেখানেই থেকে যাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু কে শোনে কার কথা! দেশজুড়ে লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে হায়দরাবাদ পুলিশ স্টেশন ও অন্ধ্রপ্রদেশ-তেলেঙ্গানা সীমানায় দিনভর উত্তেজনা ছড়ায়। এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে ফিরতে চেয়ে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। এরই মধ্যে তেলেঙ্গানা সরকার বিশেষ পাস রুজু করছে বলে খবর। যা আরও বিতর্ক তৈরি করেছে।
করোনার সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী ২১ দিন যে যেখানে আছেন, তাঁকে সেখানে থাকতে আবেদন জানান। কিন্তু কে শোনে কার কথা! লকডাউন ঘোষণার পরও অনেকেই বাড়ি ফিরতে চাইছেন। কেউ কেউ আবার মাঝ রাস্তায় আটকে পড়েছেন।বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই হায়দরাবাদ পুলিশ স্টেশনের সামনে লম্বা লাইন পড়ে যায়। এদিকে দুই রাজ্যের সীমানায় প্রচুর মানুষ জমায়েত করেন।
জানা গিয়েছে, তেলেঙ্গানায় অন্ধ্রপ্রদেশের প্রচুর পড়ুয়া আটকে রয়েছেন। সেখানে খাবার নেই, প্রয়োজনীয় পণ্যের জোগানে টান পড়েছেন। কেউ কেউ পরিবারের চিন্তায় আকুল। তাই তাঁরা লকডাউনের মাঝেই বাড়ি ফেরার রাস্তা ধরেছেন। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মত চেপে বসেছে তেলেঙ্গানা সরকারের পাস।সূত্রের খবর, আটকে থাকা অন্ধ্রপ্রদেশের পড়ুয়াদের বাড়ি ফেরাতে একটি বিশেষ পাস দিয়েছে সরকার। যাতে রাজ্যে পুলিশ তাঁদের না আটকায়। কিন্তু অন্ধ্রপ্রদেশের সীমানায় তাঁরা আটকে যান। সংক্রমণের ভয়ে ওই পড়ুয়াদের এ রাজ্যে ঢুকতে দিতে নারাজ পুলিশ। ওদিকে তেলেঙ্গানায় ফিরতে চান না ওই পড়ুয়ার। ফলে লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে দুই রাজ্যের সীমানায় চরম উত্তেজনা ছড়ায়। অ্ন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের কথায়, “প্রধানমন্ত্রী ঘরের বাইরে বের হতে নিষেধ করেছেন। তারপরেও এঁরা রাস্তায় বের হয়েছেন। এদিকে তেলেঙ্গানা পুলিশের তরফে আমাদের পাসের বিষয় কিছুই জানানো হয়নি।” ফলে চরম সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.