অর্ণব আইচ: গোমূত্র পানেই মিলবে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি। ভুয়ো এই তথ্য দিয়ে মানুষকে গোমূত্র খাওয়ানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হল বিজেপি নেতা নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়কে। মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেপ্তার করে জোড়াবাগান থানার পুলিশ। ওই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গোটা দেশ এখন করোনা আতঙ্কে ত্রস্ত। কীভাবে করোনা সংক্রমণ রোখা সম্ভব, তা নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। সন্দিহান বিশেষজ্ঞরাও। এই পরিস্থিতিতে গোমূত্রকেই পথ্য হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন উত্তর কলকাতার বিজেপি নেতারা। সোমবার জোড়াসাঁকোয় গোপুজো করে গোমূত্র পান করান গেরুয়া শিবিরের নেতা নায়ারণ চট্টোপাধ্যায়। করোনার পথ্য বলে এক পুলিশকর্মীকেও গোমূত্র পান করান তিনি। এরপর সেই পুলিশকর্মীই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। তাঁর অভিযোগ, নারায়ণবাবু চরণামৃত বলে তাঁকে গোমূত্র পান করিয়েছিলেন। এ বিষয়ে তাঁকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রাখা হয়েছে বলেই জানান তিনি।
যদিও শুধু নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় নয়। উত্তর কলকাতার একাধিক নেতার বিরুদ্ধে উঠেছে গোমূত্র পান করানোর অভিযোগ। উত্তর কলকাতায় গোমাতার পুজোর আয়োজক বিজেপি নেতাদের দাবি, “এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাস রোখার মতো কোনও ওষুধ পাওয়া যায়নি। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই মারণ চিনা ভাইরাসকে একমাত্র রুখতে পারে গোমূত্রই। তাই গোমাতার পুজো করে আমরা সকলে গোমূত্র পান করছি। সবাইকে দিচ্ছি পান করতে।” বিজেপি নেতাদের এই দাবি ঘিরে বিভিন্ন মহলে হইচই পড়ে গিয়েছে। বেশিরভাগ মানুষ ‘কুসংস্কার’ বলে এই ঘটনাকে আখ্যা দিয়েছেন। বিজেপির এই গোমূত্র পানের বিরোধিতা করেছেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি পালটা বলেন, “ভারত প্রযুক্তি বিদ্যায় বিশ্বসেরা। সেই ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে গোমূত্র পান করিয়ে অবৈজ্ঞানিক বিষয়ের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে বিজেপি। আমার বিশ্বাস সাধারণ মানুষ কোনওভাবেই বিভ্রান্ত হবেন না। তাঁরা জানেন চিকিৎসা ছাড়া গোমূত্রের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসকে ঠেকানো সম্ভব হবে না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.