সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আতঙ্কের কারণ নেই, তবে সতর্ক থাকার জন্য নানা স্তরে প্রচার করা হচ্ছে। সাবধানতা অবলম্বনও চলছে। কিন্তু এসব প্রচার যে স্রেফ প্রচারের স্তরেই রয়ে গিয়েছে, তা বোঝা গেল আরও একবার। পঞ্জাবের লুধিয়ানার কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে পালিয়ে গেলেন ১৬৭ জন। ১২ জনকে খুঁজে পাওয়া গেলেও বাকিদের নিয়ে খোঁজে তল্লাশি চলছে।
সময় যত যাচ্ছে, নোভেল করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা টের পাওয়া যাচ্ছে। দেশজুড়ে বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগামী দু’সপ্তাহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এই সময়টা খুবই সচেতনতার সঙ্গে কাটানো প্রয়োজন। যে কোনও সন্দেহভাজন ব্যক্তিকেই আইসোলেশনে রাখা হচ্ছে। ভালভাবে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হচ্ছে তাঁদের। নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে রীতিমত শশব্যস্ত প্রতিটি সচেতন নাগরিক।
কিন্তু এই সচেতনতায় ছেদ পড়ল পাঞ্জাবের লুধিয়ানার সাম্প্রতিকতম ঘটনা। COVID-19 জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কায় ১৬৭ জনকে রাখা হয়েছিল কোয়ারেন্টাইনে। কিন্তু নজরদারি এড়িয়ে সেখান থেকে পালিয়ে গেলেন তাঁরা। স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বে থাকা সেন্টার থেকে কীভাবে এতজন একসঙ্গে উধাও হয়ে গেল, তা নিয়ে উঠছে বড়সড় প্রশ্ন। এই ঘটনার পর করোনা-যুদ্ধে পাঞ্জাব ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে।
যদিও এই খবর ছড়িয়ে পড়তে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মীদেরই নির্দেশ দেওয়া হয়, নিখোঁজ ব্যক্তিদের খুঁজে আনতে। তল্লাশিতে নেমে ১২ জনের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। তাঁদের ফের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রাজেশে বগ্গা নামে এক চিকিৎসকের কথায়, “খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্য দপ্তরের দুটি আলাদা টিমকে তাঁদের খুঁজে আনার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। তারা ১২ জনকে খুঁজে পেয়েছে। এদের সবাইকে খুঁজে আনার দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে স্বাস্থ্য দপ্তরের।” এদিকে, পর্যবেক্ষণে থাকা ব্যক্তিরা কোথায় গিয়েছেন, সেখানকার মানুষদের মধ্যে কতটা সংক্রমণ ছড়িয়েছে, তা নিয়েও ঘোর সংশয় তৈরি হয়েছে। এসব এড়াতে বাংলা-সহ দেশের মোট ১৪ রাজ্যে বলবৎ হয়েছে মহামারি আইন। চিকিৎসা এড়িয়ে গেলে শাস্তির নিদান আছে তাতে। কিন্তু তার মধ্যে পাঞ্জাব নেই। লুধিয়ানার ঘটনার পর কি এখানেও অমরিন্দর সিং প্রশাসনও তা লাগু করবে? সেই প্রশ্নও থাকছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.