সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চোখের সামনে মাকে আত্মহত্যার চেষ্টা করতে দেখেছেন। তার পর গোটা রাত হাসপাতালে কেটেছে। নিজের দিকে তাকানোর সময় এখন নেই। মা যে এখনও ট্রমায়! ইতিমধ্যেই হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন, জানালেন টলিউডের কেশসজ্জা শিল্পীর মেয়ে।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, কোনও কারণে শিল্পীকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ার পর সংগঠনের কাজে নিযুক্ত অনুমতি তাঁকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শিল্পী নিজে থেকে কোনও কাজ করতে পারবেন না, সেকথা লিখিতভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, দিনের পর দিন কাজ করতে না পেরে বিপুল ঋণে জর্জরিত হয়ে যান কেশসজ্জা শিল্পী। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য তিনি। চূড়ান্ত হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
সকালে সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালের পক্ষ থেকে কেশসজ্জা শিল্পীর মেয়েকে ফোন করা হয়েছিল। ম্যানেজমেন্টের পড়ুয়া জানান, এখনও ট্রমায় রয়েছেন তাঁর মা। হাসপাতাল থেকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে সাতদিন বাদে আবার সেখানে নিয়ে যেতে হবে দেখাতে। হরিদেবপুর থানায় যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, তার কিছু প্রসেসিং এখনও বাকি রয়েছে, শিল্পীকন্যা রবিবার গিয়ে তা করবেন।
কেশসজ্জা শিল্পী কখনও বাড়িতে বলেছেন তাঁর সমস্যার কথা? প্রশ্নের উত্তরে শিল্পীর মেয়ে বলেন, “কাজের জায়গায় সমস্যা হচ্ছে সেটা কখনও কখনও বলেছিল। আমরা বলেছিলাম ঠিক আছে যেমন চলছে চলুক। পরে দেখা যাবে। কিন্তু দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া বলে তো একটি বিষয় থাকে।” এরপরই আবার তিনি বলেন, “আমার পেশা ও মায়ের পেশা আলাদা, ভিতরে কী হচ্ছে না হচ্ছে, অত ডিটেইল কখনও কথা হয় না। শুধু সমস্যা হচ্ছে বলেছিল। ভিতরের ডিটেলস কিচ্ছু জানি না। কে আছেন? কারা আছেন? কী ব্যপার আমার পক্ষে এতকিছু এখন বলা সম্ভব নয়।”
শনিবারই হাসপাতালে শিল্পীকে দেখতে গিয়েছিলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়, সুদীপ্তা চক্রবর্তী, রূপাঞ্জনা মিত্র, সুদেষ্ণা রায়রা। সোশাল মিডিয়ায় প্রথম থেকেই এ বিষয়ে সোচ্চার সুদীপ্তা। রবিবার ফেসবুকে (ভেরিফায়েড পেজ থেকে নয়) অভিনেত্রী লেখেন, “২০০২ সাল… আমার শুটিং অ্যাটেনডেন্ট হয়ে ফিল্ম / টিভি ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ শুরু করে (কেশসজ্জা শিল্পীর নাম)। তার পর চুল বাঁধার কাজ শিখে, হেয়ার ড্রেসার গিল্ডের কার্ড নিয়ে পেশাদার হেয়ার ড্রেসার হয়। ২২ বছর ধরে চিনি ওকে। ওর স্বামী বহুদিন ধরে অসুস্থ। চুল বাঁধার কাজ করেই ও সংসারটা একা টানে। ওর প্রতি হওয়া যে কোনও অন্যায়ে ওর পাশে থাকব আমি। আগামিকাল ‘বিনোদিনী অপেরা’র শো আছে। সেখানেও কাজ করার কথা ওর। কাল আসতে পারবে কি না জানি না। আগে ও সুস্থ হয়ে উঠুক। আগুনটা ধরে গেলে কী হতে পারত, সেটা ভেবে এখনো শিউরে উঠছি। এই অন্যায়ের প্রতিবাদ আমি করবই। কেউ আটকাতে পারবে না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.