Advertisement
Advertisement
Kiran Dutta

‘জীবনের সবচেয়ে বড় ভূত…’, কার কথা বলছেন ‘বং গাই’ কিরণ?

বিশ্বাস-অবিশ্বাসের কথাও বললেন বাংলার ডিজিটাল স্টার।

The Bong Guy Kiran Dutta about Ghost before Bhoot Chaturdashi
Published by: Suparna Majumder
  • Posted:October 23, 2024 5:11 pm
  • Updated:October 23, 2024 5:29 pm  

সুপর্ণা মজুমদার: ভূত! কালের নিয়মে হলে ভালো কথা, অশরীরী হলেই বিপদ। তখন আবার ভবিষ্যৎ নিয়ে ভয় শুরু হয়ে যায়। ‘বং গাই’ কিরণ দত্ত(Kiran Dutta)

কি ভূতে বিশ্বাস করেন? ভয় পেয়েছেন কখনও কোনও মুহূর্তে? আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ফোর্বস ম্যাগাজিনে তো নাম তুলে ফেলেছেন। এখন তার জীবনের ভূত কে বা কারা? ভূত চতুর্দশীর(Bhoot Chaturdashi) আগেই জানালেন সেই সমস্ত কথা।

Advertisement

বিশ্বাস-অবিশ্বাসের মাঝে ভূত
কিরণ: ভূতে বিশ্বাস করি না, কিন্তু ভয় পাই। জানি অদ্ভূত কথা (হাসি)। আমার ভিডিওতেও একবার বলেছিলাম। যদি বিজ্ঞানের যুক্তি দিয়ে ভাবি ভূতের অস্তিত্ব আছে কি না তাহলে বলতে পারি, না বিশ্বাস নেই। ভূতের পডকাস্টগুলো শুনলে কিংবা ভূত নিয়ে সিরিয়াস আলাপ-আলোচনা শুনলে আমার হাসিই পায়। কিন্তু ভয়টা আবার আছে। আমি একা ভূতের সিনেমা দেখতে পারি না কিংবা একা সানডে সাসপেন্সও শুনতে পারি না। ভয় লাগে, কীসের ভয় তা আমি জানি না। হ্যাঁ, যদি ভূতে বিশ্বাস করি কি না তা জানতে চান, তাহলে বলতে পারি যে সাদা শাড়ি পরা ভূত থাকতে পারে তা বিশ্বাস করি না। তবে হ্যাঁ, নেগেটিভ এনার্জি থাকতে পারে।

Kiran-Dutta-1

জীবনের ভূত
কিরণ: আমার মনে হয় সবার জীবনের ভূত হচ্ছে খারাপ মানুষেরা। ভূতের সিনেমা, ভূতের গল্প দেখে যতটা যা আইডিয়া হয়েছে তাতে মনে হয় যে তেনারা অকারণে কারও ক্ষতি করার চেষ্টা করে না। কোনও অতীতের ঘটনা থাকে বা প্রতিশোধ নিতে চায়, অথবা কেউ যদি তাদের জায়গা দখল করে তাহলে বিরক্ত হয়। মানুষের কোনও কারণ লাগে না। একজন অচেনা মানুষও এসে আমার কোনও ক্ষতি করে দিতে পারে। ফলে আমার মনে হয়, খারাপ মানুষেরা আমার এবং সবার জীবনেই সবচেয়ে বড় ভূত।

ভৌতিক অভিজ্ঞতা
কিরণ: এই অভিজ্ঞতা এখনও হয়নি। বন্ধুদের নানা সময়ে বলতে শুনি এটা হয়েছে, ওটা হয়েছে, আমার তেমন কোনও ভৌতিক অভিজ্ঞতা সেভাবে নেই। তবে চোখের ভুল হয়তো হয়েছিল। আমি এখন যেই ফ্ল্যাটে আছি সেখানে এসেছিলাম ২০২১ সালে। তখন ফ্ল্যাটে কাজ হচ্ছিল। চারদিকে তারের ছড়াছড়ি। একটা ঘর একটু থাকার মতো ছিল। সেখানেই থাকতাম। দিনের বেলা লোকজন এসে কাজ করত। রাতের বেলা একাই থাকতাম। একদিন ভোররাত তিনটে-সাড়ে তিনটে নাগাদ জল খেতে উঠেছিলাম। আচমকা মনে হল, একটা ঘরে দরজা সামান্য খোলা আর ওখানে কেউ যেন বসে আছে। অত রাতেই সোসাইটির একজন পরিচিতকে ফোন করে বসি। তাঁকে কিছু বলিনি, কিন্তু কথা বলতে বলতেই দরজার দিকে এগিয়ে গেলাম। চাইছিলাম যেন কলে থাকি, কিছু হয়ে গেলে উনি তো অন্তত জানতে পারবেন। দরজা খোলার পর দেখলাম কেউ নেই। ওনাকে জাস্ট কেমন আছেন জানতে চাইছিলাম। বলেছিলেন, ভালো আছি ভাই, সাড়ে তিনটের সময় ফোন করার জন্য ধন্যবাদ। (হাসি) জানি না সেটা কী ছিল। কিন্তু ভয় পেয়েছিলাম।

Kiran-Dutta-The-Bong-Guy-1

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement